পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী ভোগৈশ্বৰ্য্যপ্রসক্তানাং তয়াপহতচেতসাম। ব্যবসায়াত্মিক বদ্ধিঃ সমাধৌ ন বিধীয়তে। ত্ৰৈগণ্যবিষয়াঃ বেদাঃ নিস্ত্ৰৈগণ্যো ভবাজ্ঞজন৷৷ ৩ । ভাগবতপরাণে নারদ বলিতেছেন যে, পরমেশ্বর যাহাকে অনগ্রহ করেন, সে বেদ ত্যাগ 03 8 SRS, 8 S | শব্দব্ৰহ্মণি দন্ডপারে চরন্ত উর-বিস্তরে। মন্ত্রলিঙ্গব্যবচ্ছিন্নং ভজন্তো ন বিদঃ পরম৷ যদা যস্যানগোহাতি ভগবানাত্মভাবিতঃ। স। জহাতি মতিং লোকে বেদে চ পরিনিঠিতম ৷ ৪ । কঠোপনিষদে আছে যে, বেদের দ্বারা আত্মা লভ্য হয় না।-যথা “নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যো ন মেধয়া না বহনা শ্রতেন।” শাস্ত্রানসন্ধান করিলে এরপ কথা আরও পাওয়া যায়। পাঠক দেখিবেন, বেদ মানিব কেন ? এ প্রশেনর আমরা কোন উত্তর দিই নাই। দিবারও আমাদের ইচ্ছা নাই। যাঁহারা সক্ষম, তাঁহারা সে মীমাংসা করিবেন। আমরা পািব্বগামী পন্ডিতদিগের প্রদশিত পথে পরিভ্রমণ করিয়া যাহা দেখিয়াছি, তাহাই পাঠকের নিকট নিবেদিত হইল * ©ाड-द०७द ऊाझऊवष* Pझाक्षीन्न कन्न ? ভারতবষ এতকাল পরাধীন কেন ? এ প্রশেনর উত্তরে সকলে বলিয়া থাকেন, ভারতবষীয়েরা হীনবল, এইজন্য। ‘Effeminate Hindoos’ ইউরোপীয়দিগের মখাগে সববদাই আছে। ইহাই ভারতের কলঙ্ক। কিন্তু আবার ইউরোপীয়দিগের মখেই ভারতবষীয় সিপাহীদিগের বল ও সাহসের প্রশংসা শানা যায়। সেই সত্ৰীস্বভাব হিন্দ দিগের বাহ বলেই কাবাল জিত হইল। স্বীকার করন বা না করন, সেই সত্ৰীস্বভাব হিন্দীদিগের কাছে—মহারাষ্ট্র এবং শীকের কাছে অনেক রণক্ষেত্রে তাঁহারা পরাস্ত হইয়াছেন। আধনিক হিন্দীদিগের বলবীৰ্য্য এখন যাহাই হউক, প্রাচীন হিন্দীদিগের অপেক্ষা যে তাহা ন্যুন, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। শত শত বৎসরের অধীনতায় তাহার হ্রাস অবশ্য ঘটিয়া থাকিবে। প্রাচীন ভারতবষীয়গণ পরজাতি কর্তৃক বিজিত হইবার পাবে যে বিশেষ বলশালী ছিলেন, এমত বিবেচনা করিবার অনেক কারণ আছে—দবেবল বলিয়া তাঁহারা পরাধীন হয়েন নাই। আমরা স্বীকার করি যে, এই পক্ষ সমর্থন করা সহজ নহে, এবং এতদ্বিষয়ে পৰ্য্যাপ্ত প্ৰমাণপ্রাপ্তি দঃসাধ্য। এই তক কেবল পরাবত্তি অবলম্বন করিয়া মীমাংসা করা সম্ভব, কিন্তু দভাগ্যক্রমে অন্যান্য জাতীয়দিগের ন্যায়। ভারতবষীয়েরা আপনাদিগের কীত্তিকলাপ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখেন নাই। প্রাচীন ভারতবষীয় পরাবত্তি নাই। সতরাং ভারতবষীয়দিগের যে গ্লাঘনীয় সমর-কীত্তি ছিল, তাহাও লোপ হইয়াছে। যে গ্রন্থগালিন “পরাণ” বলিয়া খ্যাত আছে, তাহাতে প্রকৃত পরাবত্ত কিছই নাই। যাহা কিছ আছে, তাহা অনৈসগিক এবং অতিমানষ উপন্যাসে এরপ আচ্ছন্ন যে, প্রকৃত ঘটনা কি, তাহা কোন রাপেই নিশ্চিত হয় না। ভাগ্যক্রমে ভিন্নদেশীয় ইতিহাস-বেত্তাদিগের গ্রন্থে দাই স্থানে প্রাচীন ভারতবষীয়দিগের যাদ্ধাদির উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথম, মাকিদনীয় আলেকজান্ডর বা সেকন্দর দিগ্বিজয়ে যাত্রা করিয়া ভারতবষে আসিয়া যাদ্ধ করিয়াছিলেন। রচনাকুশল যবন-লেখকেরা তাহা পরিকীত্তিত করিয়াছেন। দ্বিতীয়, মসলমানেরা ভারতবর্ষ জয়াৰ্থ যে সকল উদ্যম করিয়াছিলেন,

  • এই প্রবন্ধে বেদ পােরাণাদি হইতে যাহা উদ্ধত করিয়াছি, তাহা মাির সাহেবকৃত বিখ্যাত সংগ্ৰহ হইতে নীত হইয়াছে।

S98