পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विवश अवक-श्राष्ौना अबर नबौना প্রাচীনাদিগের সম্প্রদায়ের তুলনায় তাঁহারা ধৰ্ম্মেম লঘ সন্দেহ নাই। বিশেষ যে সকল ধৰ্ম্ম গহন্থের ধৰ্ম্ম বলিয়া পরিচিত, সেইগলিতে এক্ষণকার যাবতীগণের লাঘব দেখিয়া কমন্ট श्। সত্ৰীলোকের প্রথম ধৰ্ম্ম পাতিব্ৰত্য। অদ্যাপি বঙ্গমহিলাগণ পথিবীতলে পাতিব্ৰত্য-ধৰ্ম্মে তুলনারহিতা। কিন্তু যাহা ছিল তাহা কি আর আছে ? এ প্রশেনর উত্তর শীঘ্ৰ দেওয়া যায় না। প্রাচীনগণের পাতিব্ৰত্য যেরপে দঢ়গ্ৰন্থির দ্বারা হৃদয়ে নিবদ্ধ ছিল, পাতিব্ৰত্য যেরপ তাহাদিগের অস্থি মজা শোণিতে প্রবিল্ট ছিল, নবীনাদিগেরও কি তাই ? অনেকের বটে, কিন্তু অধিকাংশের কি তাই ? নবীনাগণ পতিব্ৰতা বটে, কিন্তু যত লোকনিন্দাভিয়ে, তত ধৰ্ম্মমভয়ে নহে। তাহার পর, দানাদিতে প্রাচীনাদিগের যেরপে মনোনিবেশ ছিল, নবীনাদিগের সেরাপ দেখা যায় না। প্রাচীনাগণের দািঢ় বিশ্বাস ছিল যে, দানে পরমাথের কাজ হয়। যে দান করে, সে সবগে যায়। এক্ষণকার যাবতীগণের সবগে বিশ্বাস তত দঢ় নহে; তাহদের পরলোকে সবগপ্রাপ্তিকামনা তত বলবতী নহে। ইংরেজি সভ্যতার ফলে দেশে নানাবিধ সামগ্রীর প্রাচুৰ্য্য হওয়াতে সকলেরই অর্থের প্রয়োজন বাড়িয়াছে, সত্ৰীলোকদিগেরও বাড়িয়াছে; এজন্য দানে তােদশ অন্যরাগ আর নাই। তত দান করিলে আর কুলায় না। টাকায় যে সকল সখি কেনা যায়, তাহার সংখ্যা এবং বৈচিত্ৰ্য বাড়িয়াছে; দানের আধিক্য করিলে, এখন অনেক বাঞ্ছনীয় সখে বঞ্চিত হইতে হয়। সতরাং সত্ৰীলোক (এবং পরিষে) আর তত দানশীল নহে। হিন্দীদিগের একটি প্রধান ধৰ্ম্মম অতিথিসৎকার। যে গহে আসে, তাহাকে আহারাদির দ্বারা পরিতুলটকরণ পক্ষে এতদ্দেশীয় লোকের তুল্য কোন জাতি ছিল না। প্রাচীনগণ এই গণে বিশেষ গণেশালিনী ছিলেন। নবীনাদিগের মধ্যে সে ধৰ্ম্ম একেবারে বিলপ্ত হইতেছে। গহে অতিথি অভ্যাগত আসিলে প্রাচীনারা কৃতাৰ্থ হইতেন, নবীনাগণ বিরক্ত হয়েন। লোককে আহার করান প্রাচীনাদিগের প্রধান সখি ছিল, নবীনগণ ইহাকে ঘোরতর বিপদ মনে করেন । ধৰ্ম্মেম যে নবীনাগণ প্রাচীনাদিগের অপেক্ষা নিকৃষ্ট, তাহার একটি বিশেষ কারণ অসমাপণ শিক্ষা। লেখাপড়া বা অন্য প্রকারের শিক্ষা তাহারা যাহা কিঞ্চিৎ প্রাপ্ত হয়েন, তাহাতেই বঝিতে পারেন যে, প্রাচীন ধমের শাসন অমলক । অতএব তাহাতে বিশ্বাস হারাইয়া, ধৰ্ম্মেমরি যে বন্ধন ছিল, তাহা হইতে বিমাক্ত হয়েন। তাহার স্থানে আর নতন বন্ধন কিছই গ্রন্থিবদ্ধ হইতেছে না। আমরা লেখাপড়ার নিন্দা করিতেছি না। ধৰ্ম্ম ভিন্ন বিদ্যার অপেক্ষা মাল্যবান বস্তু যে পথিবীতে কিছই নাই, ইহা আমরা ভুলিয়া যাইতেছি না। তবে বিদ্যার ফল, ইহা সব্বত্র ঘাঁটিয়া থাকে যে, তাহাতে চক্ষ ফটে, মিথ্যাকে মিথ্যা বলিয়া বোধ হয়, সত্যকে সত্য বলিয়া জানা যায়। বিদ্যার ফলে লোকে, প্রাচীন ধৰ্ম্ম টত ধৰ্ম্মেমরি মলের অলীকত্ব দেখিতে পায়; প্রাকৃতিক যে সত্য ধৰ্ম্মম , তাহা সত্য বলিয়া চিনিতে পারে। অতএব বিদ্যায় ধৰ্ম্মেমরি ক্ষতি নাই, বরং বদ্ধি আছে। সচরাচর পন্ডিতে যাদশ ধৰ্ম্মিঠ, মাখে তােদশ পাপিষ্ঠ হয়। কিন্তু অলপ বিদ্যার দোষ এই যে, ধমের মিথ্যা মল তন্দ্বারা উচ্ছিন্ন হয়; অথচ সত্য ধৰ্ম্মেমরি প্রাকৃতিক মল সংস্থাপিত হয় না। সেটকু কিছল অধিক জ্ঞানের ফল। পরোপকার করিতে হইবে, এটি যথার্থ ধৰ্ম্মম নীতি বটে। মাখেও ইহা জানে, এবং মািখ দিগের মধ্যে ধৰ্ম্মেম। যাহাদের মতি আছে, তাহারাও ইহার বশবত্তীর্ণ হয়। তাহার কারণ এই যে, এই নৈতিক আজ্ঞা প্রচলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে; মাখের তাহাতে দৈবজ্ঞা বলিয়া বিশ্বাস আছে। দৈববিধি লঙ্ঘন করিলে ইহলোকে ও পরলোকে ক্ষতিপ্রাপ্ত হইতে হইবে বলিয়া মািখ সে নীতির বশবত্তীর্ণ; পশ্চিডতও সে নীতির বশবত্তী, কিন্তু তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্রোক্ত বলিয়া তদাক্তি অনসরণ করেন না। তিনি জানেন যে, ধৰ্ম্মেমরি কতকগালি প্রাকৃতিক নিয়ম আছে, তাহা অবশ্য পালনীয়; এবং পরোপকারবিধি সেই সকল নিয়মের ফল। অতএব এ স্থলে ধৰ্ম্মেমরি ক্ষতি হইল না। কিন্তু যদি কেহ ঈদশ পরিমাণে মাত্র বিদ্যার আলোচনা করে যে, তদ্দ্বারা প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রে বিশ্বাস বিনন্ট হয়, অতচ যতদর বিদ্যার আলোচনায় প্রাকৃতিক ধৰ্ম্মেম বিশ্ববাস জন্মে, ততদার না যায়, তবে তাহার পক্ষে ধন্মের কোন মল থাকে না। লোকনিন্দাভয়ই তাহাদিগের একমাত্ৰ ধৰ্ম্মবন্ধন হইয়া উঠে। সে বন্ধন অতি দৰবল। আধনিক অলপশিক্ষিত যবেক যাবতীগণ কিয়দংশে এই অবস্থাপন্ন ; এজন্য ধৰ্ম্মমাংশে তাঁহারা প্রাচীনাদিগের সমকক্ষ নহেন। যাঁহারা স্ত্রীশিক্ষায় Rdt 90