পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबक्ष अबका-फख* যায় না। বিলাসী ও পাপিষ্ঠ, যে ইন্দ্ৰিয়তৃপ্তিকেই সখি মনে করে, তাহারও উপাদান যত্নে ও কন্টে আহরণ করিতে হয়। ধৰ্ম্মমালোচনায় যে অসীম আনিব্বচনীয় আনন্দ, তাহার উপভোগের জন্য প্রয়োজনীয় যে ধৰ্ম্মমন্দিরের নিম্পন সোপানে যে সকল কঠিন ও ককােশ তত্ত্বগলি বন্ধর প্রস্তরের মত আছে, সেগালিকে আগে আপনার আয়ত্ত কর। অতএব আপাততঃ ধৰ্ম্মম বিষয়ক প্রবন্ধ ককােশ বোধ হইলেও তাহার প্রতি অনাদর করা অনচিত। চিত্তশদ্ধি* হিন্দধমের সার চিত্তশদ্ধি যাহারা হিন্দধম্পেমর বিশেষ অন্যরাগী অথবা হিন্দধমের যথার্থ মন্মের অন্যসন্ধানের ইচ্ছােক, তাহাদিগকে এই তত্ত্বের প্রতি বিশেষ মনোযোগ করিবার জন্য অন্যুরোধ করি। হিন্দধৰ্ম্মান্তগত আর কোন তত্ত্বই ইহার ন্যায় মন্মগত নহে। সকারের উপাসনা বা নিরাকারের উপাসনা, একেশ্বরবাদ বা বহদেবে ভক্তি, দ্বৈতবাদ বা অদ্বৈতবাদ, জ্ঞানবাদ, কৰ্ম্মবাদ বা ভক্তিবাদ, সকলই ইহার নিকট অকিঞ্চিৎকর। চিত্তশদ্ধি থাকিলে সকল মতই শব্দ্ধ, চিত্তশদ্ধির অভাবে সকল মতই অশদ্ধ। যাহার চিত্তশদ্ধি নাই, তাহার কোন ধৰ্ম্মমই নাই। যাহার চিত্তশদ্ধি আছে, তাহার। আর কোন ধমেই প্রয়োজন নাই। চিত্তশদ্ধি কেবল হিন্দধমেরই সার, এমত নহে, ইহা সকল ধৰ্ম্মেমরি সার। ইহা হিন্দধমের সার, খ্রীস্টধর্মের সার, বৌদ্ধধর্মের সার, ইসলামধন্মের সার, নিরীশ্বর কোমৎধৰ্ম্মেমারও সার। শ্রেষ্ঠ পজিটিভিসন্ট। যাঁহার চিত্তশদ্ধি নাই, তিনি কোন ধৰ্ম্মমাবলম্পবীদিগের মধ্যে ধাৰ্ম্মিক বলিয়া গণ্য হইতে পারেন না। চিত্তশদ্ধিই ধৰ্ম্ম। তবে প্রধানতঃ হিন্দধম্মেমই ইহা প্রবল। যাঁহার চিত্তশদ্ধি নাই, তিনি হিন্দ নহেন। মন্দবাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের সমস্ত বিধি বিধানানসারে কাৰ্য্য করলেও তিনি হিন্দী নহেন। এই চিত্তশদ্ধি কি, তাহা দই একটা লক্ষণের দ্বারা বঝাইতেছি। চিত্তশদ্ধির প্রথম লক্ষণ ইন্দ্ৰিয় সংযম। “ইন্দ্ৰিয় সংযম” ইতি বাক্যের দ্বারা এমন বঝিতে হইবে না যে, ইন্দ্ৰিয়সকলের একেবারে উচ্ছেদ বা ধবংস করিতে হইবে। ইন্দ্ৰিয়গণকে সংযত করিতে হইবে, কেবল ইহাই বঝিতে হইবে। উদাহরণ, ঔদরিকতা একজাতীয় ইন্দ্রিয়পরতা, কিন্তু এ ইন্দ্রিয়ের সংযমবিধিতে এমন বঝিতে হইবে না যে, পেটে কখন খাইবে না বা কেবল বায় ভক্ষণ করিবে বা কদায্য আহার করিয়া থাকিবো। শরীররক্ষার জন্য এবং সর্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যে পরিমাণ এবং যে না। ইন্দ্ৰিয়সংযম তত কঠিন ব্যাপার নহে। ইহাও বলা যাইতে পারে যে, সংযতেন্দ্ৰিয়ের পক্ষে উত্তম আহারাদিও অবিধেয় নহে, যদি তাহাতে সাপাহা না থাকে। স্থলে কথা এই যে, ইন্দুিয়ে আসক্তির অভাবই ইন্দ্ৰিয়সংযম। আত্মরক্ষাথে বা ধৰ্ম্মম রক্ষাথে অর্থাৎ "ঐশিক নিয়মরক্ষাথে যতটকু ইন্দ্ৰিয়ের চরিতার্থতা আবশ্যক, তাহার অতিরিক্ত যে ইন্দ্ৰিয়পরিতৃপ্তির অভিলাষ করে, তাহারই ইন্দ্ৰিয় সংযত হয় নাই; যে না করে, তাহার হইয়াছে। যাহার ইন্দ্ৰিয়পরিতৃপ্তিতে সখি নাই, আকাঙক্ষা নাই, কেবল ধৰ্ম্মম রক্ষা আছে, তাহারই ইন্দ্ৰিয় সংযত হইয়াছে। এমন অনেক লোক দেখা যায় যে, ইন্দ্ৰিয়পরিতৃপ্তিতে একেবারে বিমখ, কিন্তু মনের কলষ uBDDDDB BB DDDSS BBDBBKBD D DDB BDD BB DDB DBDB BD BDDB জন্য অথবা ধৰ্ম্মেমরি ভণে পীড়িত হইয়া তাহারা সংযতেন্দ্ৰিয়ের ন্যায় কাৰ্য্য করে, কিন্তু ভিতরে ইন্দ্রিয়ের দাহ বড় প্রবল। আজন্ম মাতৃত্যু পৰ্যন্ত তাহারা কখনও সখলিত পদ না হইলেও তাহারা

  • প্রচার, ১২:১২, ফালগন ।

S BDBBDBBuD DBDDDDDuDuBBDD আত্মবশ্যৈবিধেয়াত্মা প্ৰসাদমধিগচ্ছতি ৷ গীতা। ২য় অ্য। ৬৪ । অর্থ। রাগ দ্বেষ হইতে বিমাক্ত আত্মবশ্য যে ইন্দ্ৰিয়গণ, তন্দ্বারা বিষয়সকল উপভোগ করিয়া বিধেয়াত্মা ব্যক্তি শান্তি প্ৰাপ্ত হইয়া থাকেন। SCI