পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विविध अवक-शब्रान बाबाछिद्ध छिन्माब्र कवि বাবাজি বলিলেন, “বাপ হে! কলপনা করিয়াছি, পরামর্শ দিয়া আগামী বৎসর কছিমন্দিী সেখকে দিয়া দাগোৎসব করাইব!” আমি । ফল কি ? বাবাজি । ছাগমাংস কিছ গরপাক। মরগী বড় লঘােপাক, অতএব বৈষ্ণবের পক্ষে বিশেষ উপযোগী। আমি। মসলমানের বাড়ী খাইতে আছে ? বাবাজি। এ কাণ দিয়ে শনিস ও কাণ দিয়ে ভুলিস ? যখন সৰ্ব্বত্র সমান জ্ঞান, সকলকে আত্মবৎ জ্ঞানই বৈষ্ণবধৰ্ম্মম , তখন হিন্দ ও মসলমান, এ ছোট জাতি, ও বড় জাতি, এরপ ভেদজ্ঞান করিতে নাই। যে এরূপ ভেদ-জ্ঞান করে, সে বৈষ্ণব, নহে। আজ তোমাকে বৈষ্ণবধৰ্ম্মম কিছ বঝাইলাম। আর একদিন তোমাকে ব্রহ্মোপাসনা এবং কৃষ্ণোপাসনা বঝাইব । ধন্মের প্রথম সোপান, বহ, দেবের উপাসনা; দ্বিতীয় সোপান, সকাম ঈশ্বরোপাসনা; তৃতীয় সোপান, নিস্কাম ঈশ্বরোপাসনা বা বৈষ্ণবধৰ্ম্মম অথবা জ্ঞানযক্তি ব্ৰহ্মোপাসনা। ধমের চরম কৃষ্ণোপাসনা। ৩ । রাধাকৃষ্ণ* আমি একটা প্রাচীন গীত আপন মনে গায়িতেছিলাম। ‘इवख् 0ऊ0७ 6य७ व्ा, काथ,”- এইটকু গায়িতে না গায়িতে, বাবাজি “অহঃ” বলিয়া, একেবারে কাঁদিয়া অজ্ঞান। আমি থাকিতে পারিলাম না, হাসিয়া ফেলিলাম। ক্রুদ্ধ হইয়া বাবাজি বলিলেন, “হাসিলি কেন রে। বেটা ?” আমি বললাম, “তুমি হাঁ করতেই কাঁদ, তাই আমি হাসি।” বাবাজি । হাঁ ক’রে যা বলেছিস, সে কথাটা কিচ্ছ বঝেছিস ? না শালিক পাখির মত কিচির কিচির করিস ? আমি। বাবােব না কেন ? রাধা কৃষ্ণকে বলছেন যে, তুমি আমাদের ব্রজ ছেড়ে যেও না। বাবাজি। ব্রজ কি বলা দেখি ? আমি। কৃষ্ণ যেখানে গোর, চরাতেন। আর গোপীদের নিয়ে বাঁশী বাজাতেন। বাবাজি। অধঃপাতে যাও। ‘ব্ৰজ’ ধাতু কি অর্থে বল দেখি ? আমি । ব্রজ ধাতু! অম্ৰাট ধাতুই তা জানি। আবার ব্ৰজ ধাতু কি ? বাবাজি ৷ ব্ৰজ গমনে। ব্ৰজ, অর্থাৎ যা যায়। আমি । যা যায়, তাই ব্ৰজ ? গোরা যায়, বাছির যায়, আমি যাই, তুমি যাও—সব ব্ৰজ ? বাবাজি। সব ব্রজ। জগৎ কাকে বলে, বল দেখি ? আমি। এই বিশ্বব্ৰহ্মান্ড জগৎ । বাবাজি। “জগৎ’ কোন ধাতু হইতে হইয়াছে ? আমি । ধাতু ছাড়া যা জিজ্ঞাসা করিবেন বলিব, ও কথাটা শনিলেই কেমন ভয় করে। বাবাজি। গম ধাতু হইতে জগৎ শব্দ হইয়াছে। যা যায়, তাই জগৎ। বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড নশ্বর, তাই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড জগৎ । ব্রিজ শবদ আর জগৎ শবদ একাথবাচক । আমি। ব্রজ। তবে একটা জায়গা নয় ? আমি বলি, বন্দোবনই ব্রজ। বাবাজি। বন্দোবন নামে যে শহর এখন আছে, তাহা বাঙ্গালার বৈষ্ণব ঠাকুরেরা তৈয়ার করিয়াছেন। আমি। তবে পরাণে বন্দোবন কাকে বলিয়াছে ? বাবাজি। “বন্দো যন্ত্র তপস্তেপে তত্ত বান্দাবনং সন্মািতম৷” যে স্থানে বান্দা তপস্যা করিয়াছিলেন (‘করেন’ বলিলেই ঠিক হয়), সেই বন্দোবন।

  • প্রচার, ১২:১২, আষাঢ় ।

R. M. Nə