পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DDD BBDSDBDB BDBDBD DDBBDBLD DD BBB না। আমাক ইংরাজি বা সংস্কৃত বা বাঙ্গালা লেখক এইরূপ লিখিয়াছেন, আমিও এরপ লিখিব, এ কথা কদাপি মনে স্থান দিও না। ১২। যে কথার প্রমাণ দিতে পরিবে না, তাহা লিখিও না। প্রমাণগলি প্রযক্ত করা সকল সময়ে প্রয়োজন হয় না, কিন্তু হাতে থাকা চাই। বাঙ্গালা সাহিত্য, বাঙ্গালার ভরসা। এই নিয়মগলি বাঙ্গালা লেখকদিগের দ্বারা রক্ষিত হইলে, বাঙ্গালা সাহিত্যের উন্নতি বেগে হইতে থাকিবে। छिटुक्रब अम्बटुक विख्ढानभाञ्छ कि बटुब्श* প্রচলিত হিন্দধমের শিরোভাগ এই যে, ঈশ্বর এক, কিন্তু তিনটি পথক পথক মাত্তিতে তিনি বিভক্ত। এক সজন করেন, এক পালন করেন, এবং এক ধবংস করেন। এই ত্রিদেব লোক-প্রথিত । জন ভািটয়ার্ট মিলের মাতৃত্যুর পর, ধৰ্ম্ম সম্পবন্ধে তৎপ্রণীত তিনটি প্রবন্ধ প্রচারিত হইয়াছে। তাহার একটির উদ্দেশ্য, ঈশ্বরের অস্তিত্বের মীমাংসা করা। মিলের মত যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পবন্ধে যে সকল প্রমাণ ঈশ্বরবাদীরা প্রয়োগ করেন, তাহার মধ্যে একটিই সারবান। জগতের নিম্পমাণ-কৌশল হইতে তাঁহার মতে, নিমাতার অস্তিত্ব সিদ্ধ হয়। এটি প্রাচীন কথা, এবং অখন্ডনীয়ও নহে। ডাবিনের মত প্রচারের পকেবও ইহার সদত্তর ছিল; এক্ষণে ডাবিন দেখাইয়াছেন যে, এই নিৰ্ম্মােণ-কৌশল সম্ভবতঃই ঘটে। মিলও ডাবিনের এই মত অনবগত ছিলেন, এমন্ত নহে; তিনি সর্বীয় প্রবন্ধ-মধ্যে তাহার উল্লেখ করিয়াছেন, এবং বলিয়াছেন যে, যদি এই মতটি প্রকৃত হয়, তবে উপরিকথিত নিম্পমাণ-কৌশল ঈশ্বরের অস্তিত্ব-প্রতিপাদক হয়। না। কিন্তু ডাবিনের মত প্রচারের অলপকাল পরেই মিলের প্রস্তাব লিখিত হয়। সে মতের সত্যাসত্য পরীক্ষিত এবং নিববাচিত হওয়ার পক্ষে কালবিলম্বের প্রয়োজন। কালবিলম্বের সে ফল তিনি পান নাই। অতএব তিনি এই মতের উপর দঢ়রপে নিভাির করিতে পারেন নাই। দুৰ্ভুকুরতে পারলে তাঁহাকে স্বীকার করতে হইত যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিছুই 2भाध का । এখনও অনেকে ডাবিনের প্রতিবাদী আছেন—কিন্তু বহতর পশিডতগণ কর্তৃক তাঁহার মত আদত এবং স্বীকৃত। অধিকাংশ বিজ্ঞানবিদ এবং দর্শনবিদ, পন্ডিতেরা এক্ষণে ডাবিনের মতাবলম্বী। কিন্তু ডাবিনের মত প্রকৃত হইলেও ঈশ্বর নাই, এ কথা সিদ্ধ হইল না। ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পবন্ধে প্রমাণাভােব ঈশ্বরের অনস্কৃিত্বের প্রমাণু নহে। কোন পদার্থের অস্তিত্বের প্রমাণাভাবে তাহার অনস্তিত্ব প্রমাণ হইবে, যদি বিচারের। এরপ নিয়ম সংস্থাপন করা যায়, তাহা হইলে অনেক স্থানে প্ৰমাদ ঘটে। ঈশ্বর আছেন, এ কথা সত্য হউক না হউক, কথা অসঙ্গত কেহ বলিতে পরিবে না। প্রায় এইরপ ভাবেই মিল ঈশ্বর স্বীকার করিয়াছেন। ডাবিন স্বয়ং পস্টতঃ ঈশ্বর স্বীকার করেন। অতএব প্রমাণ থাক বা না থাক, ঈশ্বর স্বীকার করা যাউক। কিন্তু যদি ঈশ্বর আছেন, তবে তাঁহার প্রকৃতি কি প্রকার ? এ বিষয়ে একটি প্রভেদ এ স্থলে সম্পন্টীকরণ আবশ্যক। কতকগলি ঈশ্বরবাদী আছেন, তাঁহারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াও তৎপ্রতি স্ৰন্টা বিধাতা ইত্যাদি পদ ব্যবহার করেন না। অন্যে বলেন ঈশ্বর ইচ্ছাপ্রবত্ত্যাদিবিশিস্ট-এই জগতের নিম্পমাতা; ইচ্ছাক্রমে এই জগতের সন্টি করিয়াছেন। উপরিকথিত দার্শনিকেরা বলেন, আমরা সে সকল কথা জানি না, জানিবার উপায়ও না; ইহাই কেবল জানি যে, সেই জগৎ-কারণ অজ্ঞেয়। হবার্ট সেপন্সর এই সম্প্রদায়ের মািখপাত্র। তাঁহার দশনে ঈশ্বর জগদ্ব্যাপক জ্ঞানাতীত শক্তি মাত্র।

  • বঙ্গদর্শন, ১২৮২, বৈশাখ। বঙ্গদর্শনে এই প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল, “মিল, ডাবিন এবং হিন্দধৰ্ম্ম।” বত্তমান শিরোনামে বিজ্ঞান শব্দের অর্থে Science বুঝিতে হইবে।

f The consciousness of an Inscrutable Power manifested to us through all phenomena has been growing ever clearer-First Principles, p. 108. ইহা লেখার পর

  • ミー>b ܓa9