পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেইশ। মান্য : বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত তিনটি প্রস্তাব (জৈষ্ঠ, আষাঢ় ১২৮০ ও কাত্তিক ১২৮২) এবং “বঙ্গদেশের কৃষক" নামীয় ধারাবাহিক প্রবন্ধের কিয়দংশ লইয়া “সাম্য” ১৮৭৯ খ্রীস্টাব্দে পত্তিকাকারে প্রকাশিতু হয়। “সাম্যে প্রচারিত মত পর্বত্তী কালে বঙ্কিমচন্দ্ৰ “ভুল” বিবেচনা করিতেন। এজন্য তিনি ইহা আর পুনর্মুদ্রণ করান নাই। “সাম্যে মিলের মতামত অনেক স্থান “বঙ্কিমবাবা বলিলেন, ‘এক সময়ে মিলের আমার উপর বড় প্রভাব ছিল, এখন সে সব গিয়াছে।” নিজের লিখিত প্রবন্ধের কথা উঠিলে বলিলেন, ‘সাম্যাটা সব ভুল, খাব বিক্রয় হয় বটে, কিন্তু আর ছাপাব। না” ” ("বঙ্কিম-প্রসঙ্গী", প, ১৯৮) সাম্য বিলপ্ত করিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ “বিবিধ প্রসঙ্গ-দ্বিতীয় ভাগে”, “বঙ্গদেশের কৃষক’ প্ৰবন্ধটি সম্পণে সন্নিবিষ্ট করেন। “সাম্যের বিষয়বস্তুর আলোচনা প্রসঙ্গে অক্ষয়কুমার দত্তগঞ্জ অন্যান্য कथा भ6द ब6aन्म : “সে যাহা হউক, বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত তিনটি প্রস্তাবের প্রথম প্রস্তাবে বঙ্কিম সাধারণভাবে সমাজে ছোট বড়, ধনী দরিদ্র, বিজিত বিজেতা, রাজপরিষ ও সাধারণ প্ৰজা, সন্দর অসন্দের, বন্ধিমান মািখ প্রভৃতি নানাবিধ বৈষম্যের কথা আলোচনা করিয়াছেন। প্রসঙ্গক্রমে প্রাচীন ভারতে উৎকট বৰ্ণবৈষম্যজনিত সামাজিক মৰ্য্যাদা ও অধিকারের তারতম্য লোপের জন্য বদ্ধদেব কর্তৃক চেন্টার কথাও আলোচিত হইয়াছে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে রুসো ও তৎসমসাময়িক ফরাসী সমাজের অবস্থা এবং তৃতীয় প্রস্তাবে বঙ্গীয় সমাজে সন্ত্রীপরিষে অধিকারবৈষম্যের কথা বিশেষভাবে বর্ণিত হইয়াছে। এই সকল বৈষম্য প্রদর্শন করিবার সময় বঙ্কিমচন্দ্র অনেক স্থলেই সমচিত ধীরতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করিতে পারেন নাই।” (“বঙ্কিমচন্দ্র”, প, ২২৬) ਸ਼ ਚ এই ভাগে ‘কৃষ্ণচরিত্র’, ‘ধৰ্ম্মতত্ত্ব’, ‘শ্ৰীমদভগবদগীতা’ এবং ‘দেবতত্ত্ব ও হিন্দধম-হিন্দধৰ্ম্মম বিষয়ক এই গ্রন্থ চতুষ্টয় সন্নিবেশিত হইল। বঙ্কিমচন্দুের মনোবিবৰ্ত্তন ক্রমে ক্রমে কি ধারায় ঘটিতেছিল। তাহার কিঞ্চিৎ আভাস আমরা আরম্ভে দিতে প্ৰয়াস পাইয়াছি। পাশ্চাত্ত্য দশন ও ভাবধারার আলোচনায় তাঁহাকে ধীরে ধীরে অন্তমখীন করে এবং শেষে হিন্দ দর্শন ও শাস্ত্রে, বিশেষ শ্ৰীমদভগবদগীতায় তিনি “সম্পণে” হিন্দুধৰ্ম্ম উপলব্ধি করেন। তিনি ‘নবজীবন ও ‘প্রচারে” ধারাবাহিকভাবে হিন্দধৰ্ম্মবিষয়ক তিনটি প্রবন্ধ লিখিতে শৱ করেন। এই তিনটি প্রবন্ধের একটি অন্য দ্বিতীয়টি দেবতত্ত্ববিষয়ক এবং তৃতীয়টি কৃষ্ণচরিত্র। রর : দই বৎসরের মধ্যেও উক্ত প্ৰবন্ধত্রয় শেষ না হওয়ায়, বঙ্কিমচন্দ্ৰ অগত্যা ১৮৮৬ শ্ৰীস্টাব্দে ইহার একটি ‘কৃষ্ণচরিত্র-প্রথম ভাগ’ শিরোনামে পািন্তকাকারে প্রকাশিত করিলেন। ইহার ‘বিজ্ঞাপনে” তিনি লেখেন, “আগে অনশীলন ধৰ্ম্ম পািনর্মাদ্রিত হইয়া তৎপরে ‘কৃষ্ণচরিত্র’ পানামািদত হইলেই ভাল হইত। কেন না, “অনশীলন ধৰ্ম্মে যাহা তত্ত্ব মাত্র ‘কৃষ্ণচরিত্রে” তাহা দেহবিশিষ্ট। অনশীলনে যে আদশে উপস্থিত হইতে হয়, কৃষ্ণচরিত্র কৰ্ম্মক্ষেত্ৰস্থ সেই আদশ। আগে তত্ত্ব বােব ইয়া, তারপর উদাহরণের দ্বারা তাহা স্পষ্টীকৃত করিতে হয়। কৃষ্ণচরিত্র সেই উদাহরণ '. বঙ্কিমচন্দ্র ১২৮১ চৈত্র সংখ্যা “বঙ্গদর্শনে অক্ষয়চন্দ্র সরকার কর্তৃক সম্পাদিত “প্রাচীন কাব্য সংগ্রহের আলোচনা কালে কৃষ্ণচরিত্র” সম্পবন্ধে সর্বীয় অনসন্ধিৎসার পরিচয় প্রদান করেন। এই অনসন্ধিৎসা কখনও ক্ষান্ত না হইয়া ক্রমশঃ চরিতার্থতাই খাজিতেছিল। ১২৯১ আশ্বিন সংখ্যা হইতে ‘প্রচারে” কৃষ্ণচরিত্র ধারাক্রমে প্রকাশিত হইতে থাকে। ‘কৃষ্ণচরিত্র, প্রথম ভাগে” ইহা গ্লখিত হয় (ইং. ১৮৮৬)। প্রথম ভাগ গ্রন্থনের পরও, ‘প্রচারে? পরবত্তীৰ্ণ আরও কিছু অংশ বাহির হয়। ইহার পর একেবারে ১৮১২ শ্ৰীস্টাব্দে ‘কৃষ্ণচরিত্র”। সম্পণে গ্ৰন্থ প্রকাশিত হুইল । ਅੰ ଐr · কৃষকের