बकिकम ब्रा5नाबढ़ी তবে, পালনকৰ্ত্তা চৈতন্য সংহারকত্তা চৈতন্য পথক, এরপ বিবেচনা অসঙ্গত নহে, একথা বলিবার কারণ কি ? কারণ এই যে, যিনি পালনকত্তা তাঁহার অভিপ্ৰায় যে জীবের মঙ্গল, জগতে ইহার বহতর প্রমাণ দেখা যায়। কিন্তু মঙ্গল তাঁহার অভিপ্রেত হইলেও অমঙ্গলেরই আধিক্য দেখা যায়। যাঁহার অভিপ্ৰায় মঙ্গলসিদ্ধি, তিনি আপনার অভিপ্ৰায়ের প্রতিকলতা করিয়া অমঙ্গলের আধিক্যই সিদ্ধ করবেন, ইহা সঙ্গত বোধ হয় না। এই জন্য সংহার যে পথিক চৈতন্যের অভিপ্ৰায় বা অধিকার, এ কথা অসঙ্গত নহে, বলা হইয়াছে। তবে এরপে মতের স্থল কারণ, পালনে ও ধবংসে দশ্যমান অসঙ্গতি। সজেন ও পালনে বুলি অভিপ্ৰায়ের অসঙ্গতি দেখা যায়, তবে স্রষ্টা ও পাতা পথিক, এরূপ মতও অসঙ্গত ८ का । সজনে ও পালনে এরপ অসঙ্গতি আধনিক ইউরোপীয় বিজ্ঞানের দ্বারা সিদ্ধ হইতেছে। নহিলে ডাবিনের “প্রাকৃতিক নির্বাচন” পরিত্যাগ করিতে হয়। যে মতকে প্রাকৃতিক নিব্বাচন বলে, তাহার মলে এই কথা আছে যে, যে পরিমাণে জীব সম্প্রস্ট হইয়া থাকে, সেই পরিমাণে কখন রক্ষিত বা পালিত হইতে পারে না। জীবকুল অত্যন্ত বদ্ধিশীল-কিন্তু পথিবী সংকীর্ণ। সকলে রক্ষিত হইলে, পথিবীতে স্থান কুলাইত না, পথিবীতে উৎপন্ন আহারে তাহদের পরিাপোষণ হইত না। অতএব অনেকেই জলিময়াই বিনন্ট হয়-অধিকাংশ অপডমধ্যে বা বীজে। ধবংসপ্রাপ্ত হয়। যাহাদিগের বাহ্য বা আভ্যন্তরিক প্রকৃতিতে এমন কিছ বৈলক্ষণ্য আছে যে, তন্দ্বারা তাহারা সমানাবস্থাপন্ন জীবগণ হইতে আহারসংগ্রহে, কিমবা অন্য প্রকারে জীবনরক্ষায় পট, তাহারাই রক্ষাপ্রাপ্ত হইবে, অন্য সকলে ধবংসপ্রাপ্ত হইবে। মনে কর, কোন দেশে বহন জাতীয় এরােপ চতুষ্পপদ আছে যে, তাহারা বক্ষের শাখা ভোজন করিয়া জীবনধারণ করে, তাহা হইলে যাহাদিগের গলদেশ ক্ষমাদ্র, তাহারা কেবল সর্ববনিম্নস্থ শাখাই ভোজন করিতে পাইবে; যাহাদের গলদেশ দীঘ, তাহারা নিম্নস্থ শাখাও খাইবে, তদপেক্ষা উদ্ধাবস্থ শাখাও খাইতে পরিবে। সতরাং যখন খাদ্যের টানাটানি হইবে-সৰ্ব্ববনিম্নস্থ শাখাসকল ফরাইয়া যাইবে, তখন কেবল দীঘস্কন্ধেরাই আহার পাইবে-হসােবস কন্ধেরা অনাহারে মরিয়া যাইবে বা লিপ্তবংশ হইবে। ইহাকেই সুপ্রাকৃতিক নির্বাচন। দীর্ঘক্ষন্ধের প্রাকৃতিক নির্বাচনে রক্ষিত হইল। স্পিকন্ধের বংশলোপ প্রাকৃতিক নিব্বাচনের মল ভিত্তি এই যে, যত জীব সন্ট হয়, তত জীব কদাচ রক্ষা হইতে পারে না। পারিলে প্রাকৃতিক নিকবাচনের প্রয়োজনই হইত না। দেখ, একটি সামান্য বক্ষে কত সহস্ৰ সহস্ৰ বীজ জন্মে; একটি ক্ষদ্র কীট কত শত শত অগ্ৰড প্রসব করে। যদি সেই বীজ বা সেই অন্ড, সকলগলিই রক্ষিত হয়, তবে অতি অলপকাল মধ্যে সেই এক বক্ষেই বা সেই একটি কীটেই পথিবী আচ্ছন্ন হয়, অন্য ব্যক্ষ বা অন্য জীবের স্থান হয় না। যদি কোন কীট প্রত্যহ দাইটি অন্ড প্রসব করে (ইহা অন্যায় কথা নহে), তবে দই দিনে সেই কীট সন্তান হইতে চারিটি, তিন দিনে আটটি, চারি দিনে ষোলটি, দশ দিনে সহস্ৰাধিক, এবং বিশ দিনে দশ লক্ষের অধিক কীট জন্মিবে। এক বৎসরে কত কোটি কীট হইবে, তাহা শাভঙ্কর হিসাব করিয়া উঠিতে পারেন না। মনষ্যের বহনকাল বিলম্বে এক একটি সন্তান হয়, এক দম্পতি হইতে চারি পাঁচটি সন্তানের অধিক সচরাচর হয় না; অনেকেই মারিয়া যায়; তথাপি এমন দেখা গিয়াছে যে, পাঁচিশ বৎসরে মনষ্যসংখ্যা দ্বিগণ হইয়াছে। যদি সম্পর্বত্র এইরােপ বদ্ধি হয়, তবে হিসাব করিলে দেখা যাইবে যে, সহস্ৰ বৎসর মধ্যে পথিবীতে মনষ্যের দাঁড়াইবার স্থান হইবে না। হস্তীর অপেক্ষা অলপপ্রসবী কোন জীবই নহে; মনষ্যেও নহে। কিন্তু ডাবিন হিসাব করিয়া দেখিয়াছেন যে, অতি ন্যানকলোিপও এক হস্তিদম্পতি হইতে ৭৫০ বৎসর মধ্যে এক কোটি নবতি লক্ষ হস্তী সম্পভূত হইবে। এমন কোন বর্ষজীবী ব্যক্ষ নাই যে, তাহা হইতে বৎসরে দাইটি মাত্র বীজ জন্মে না। লিনিয়স হিসাব করিয়াছেন যে, যে বক্ষে বৎসরে দাইটি মাত্র বীজ জন্মে, সকল বীজ রক্ষা পাইলে, তাহা হইতে বিংশতি বৎসরে দশ লক্ষ বক্ষ হইবে।* এক্ষণে পাঠক ভাবিয়া দেখান, একটি বাত্তাকুবক্ষে কতগলি বাৰ্ত্তাকু-পরে ভাবন, একটি বাত্তাকুতে কতগলি বীজ থাকে। তাহা হইলে একটি বাত্তাকুবক্ষে কত অসংখ্য বীজ জন্মে,
- Origin of Species-6th Edition, p. 51.
余4协
