পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-ত্রিদেব সম্পবন্ধে বিজ্ঞানশাস্ত্র কি বলে। DBDD DBD DDBD S DBDD BBDD BD DBB BBD DDDB DBDB DDDB DBBBD DDDBD বৎসরে দশ লক্ষ বক্ষ হয়, সেখানে বৎসর বৎসর প্রতি বক্ষের সহস্ৰ সহস্ৰ বাত্তাকুবীজে বিংশতি বৎসরে কত কোটি কোটি কোটি বাত্তাকুবাক্ষ হইবে, তাহা কে মনে ধারণা করিতে পারে ? সকল বীজ রক্ষা পাইলে, কয় বৎসর পথিবীতে বাৰ্ত্তাকুর স্থান হয় ? চেতন সম্বন্ধেও ঐরােপ। যে পরিমাণে সন্টি, তাহার সহস্রাংশ রক্ষিত হয় না। যদি স্রস্টা এবং পালনকত্তা এক, তবে তিনি যাহার পালনে অশক্ত, তাহা এত প্রচুর পরিমাণে সন্টি করেন। কেন ? জীবের রক্ষা যাঁহার অভিপ্রায়, তিনি অরক্ষণীয়ের সন্টি করেন কেন ? ইহাতে কি অভিপ্ৰায়ের অসঙ্গতি দেখা যায় না ? ইহাতে কি এমত বোধ হয় না যে সম্পটা ও পাতা এক, এ কথা না বলিয়া, স্ৰজটা পথক, পাতা পথিক, এ কথা বলাই সঙ্গত ? ইহার একটি উত্তর আছে-জীবধবংসের জন্য একজন সংহারকত্তা কলপনা করিয়াছ। সন্ট জীবের ধবংস তাঁহার কাৰ্য্য-যন্ত সন্টি হয়, তত যে রক্ষা হয় না, ইহা তাঁহারই কাৰ্য্য। পাতা এবং সন্টিকত্তা এক, কিন্তু তিনি যত সন্টি করেন, তত যে রক্ষা করিতে পারেন না, তাহার কারণ, এই সংহারকত্তার শক্তি। নচেৎ সকলের রক্ষাই যে তাঁহার অভিপ্ৰায় নহে, এমত কলপনীয় নহে। যেখানে তিনি সব্বশক্তিমান নহেন, কলপনা করিয়াছ, সেখানে তিনি যে সকলকে রক্ষা করিতে পারেন না, ইহাই বলা উচিত; সকলের রক্ষা যে তাঁহার অভিপ্রেত নহে, ইহা বলিতে পার না। উত্তর এই। ইহারও প্রত্যুত্তর আছে। জগতের অবস্থা, জগতে যে সকল নিয়ম চলিতেছে সে সকলের অথবা সেই সংহারিকাশক্তির আলোচনা করিলে ইহাই সহজে বঝা যায় যে, এ জগতে অপরিমিতসংখ্যক জীব রক্ষণীয় নহে-অতএব অপরিমিত জীবসন্টি নিৰ্ম্মফল। সামান্য মনষ্যের সামান্য বদ্ধি দ্বারা এ কথা প্রাপণীয়। অতএব যিনি প্ৰজটা ও পাতা, তিনিও ইহা অবশ্য বিলক্ষণ ODBB D DDB DD BBBBDB BSBLSS DBD DD DDBDBD S iuBDBDS প্ৰণালী অপব্ব কৌশলসম্পন্ন, ইহার ভূরি ভুরি প্রমাণ আছে। যাঁহার এত কৌশল, তিনি কখনও আদরদশী হইতে পারেন না। যদি তাঁহাকে আদরিদশী বলিয়া সম্বীকার কর, তাহা হইলে সেই সকল কৌশল যে চৈতন্যপ্রণীত, এ কথা আর বলিতে পরিবে না; কেন না, আদরদশী চৈতন্য হইতে সেরাপ কৌশল অসম্ভব। তবে বলিতে হইবে যে, তিনি জানিয়া নিৰ্ম্মফল সন্টিতে প্রবত্ত। দরিদশী চৈতন্য যে নিৰ্ম্মফল সন্টিতে প্রবত্ত হইবেন, ইহা সঙ্গত বোধ হয় না। কারণ, নিস্ফলতা বদ্ধি বা প্রবত্তির লক্ষ্য হইতে পারে না। অতএব ইহা সিদ্ধ, যিনি পালনকত্তা, অপরিমিত জীবসটি তাঁহার ক্রিয়া নহে। এজন্য পালনকত্তা হইতে পথক চৈতন্যকে সন্টিকত্তা বলিয়া কলপনা করা অসঙ্গত নহে। ইহাতেও আপত্তি হইতে পারে যে, স্ৰন্টা ও পাতা পথক স্বীকার করিলেও অবশ্য স্বীকার করিতে হইতেছে যে, স্ৰন্টা নিস্ফল সন্টিতে প্রবত্ত; দরিদশী চৈতন্য নিৰ্ম্মফল কায্যে প্রবত্ত হইতে পারে না, এ আপত্তির মীমাংসা কই হইল ? সত্য কথা, কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখা যে, পাতা হইতে স্রষ্টা যদি পথক হইলেন, তবে সন্ট জীবের রক্ষা তাঁহার উদ্দেশ্য বলিয়া বিবেচনা করিবার আর কারণ নাই। সন্টি তাঁহার এক মাত্র অভিপ্ৰায়; এবং সন্টি হইলেই তাঁহার অভিপ্ৰায়ের সফলতা হইল-রক্ষা না হইলেও সে অভিপ্ৰায়ের নিম্ৰফলতা নাই। অতএব ভ্ৰািন্টা, পাতা, এবং হত্তা পথক পথক চৈতন্য, এমত বিবেচনা করা অসঙ্গত এবং প্রমাণবিরদ্ধে নহে-ইহাই হিন্দধমের নৈসগিক ভিত্তি, এবং এই স্রন্টা, পাতা ও হত্তা ব্ৰহ্মা, বিষ্ণ, মহেশ্বর বলিয়া পরিচিত। কিন্তু এতৎসম্বন্ধে আমাদের কয়েকটি কথা বলিবার আছে। প্রথম, আমরা বলিতেছি না যে, এই ত্রিদেবের উপাসনা এইরপে ভারতবর্ষে উৎপন্ন হইয়াছে। আমরা এমত বিশ্বাস করি না যে, ভারতীয় ধৰ্ম্মস্থাপকগণ এইরােপ বৈজ্ঞানিক বিচার করিয়া ত্রিদেবের কলপনায় উপস্থিত হইয়াছিলেন। ইহাদিগের উৎপত্তি বেদগীত বিষ্ণ, রািদ্রাদি হইতে। বৈদিক বিষ্ণ, রােদাদি বৈজ্ঞানিক সঙ্কলপ নহে, ইহার যথেস্ট প্রমাণ বেদেই আছে। কিন্তু পাতৃত্ব হত্ত্বত্ব স্লন্টত্বের সচেনাও বেদে আছে। তবে অদ্বিতীয় দর্শনশাস্ত্ৰবিং ভারতীয় পশ্চিডতগণ কত্তক এই ত্রিদেবোপাসনা গহীত হইয়াছিল, জনসাধারণে উহা বদ্ধমােল, ইহাতে অবশ্য এমত বিবেচনা করা কত্তব্য যে, উহার সদঢ় নৈসগিক ভিত্তি আছে। লোকবিশ্বাসের সেই গঢ় নৈসগিক ভিত্তি কি, তাহাই আমরা দেখাইলাম। SKany