পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाँधकन ब्रानाबक्शी আমরা যে সকল কথা বলিলাম, তাহার তিনটি গারতের তাৎপৰ্য্য দেখা যায়। ১। শ্রমোপজীবীদিগের অবনতির যে সকল কারণ দেখাইলাম, তাহার ফল। ত্রিবিধ। প্রথম ফল, শ্রমের বেতনের অলপতা। ইহার নামান্তর দরিদ্রতা। দ্বিতীয় ফল, বেতনের অলপতা হইলেই পরিশ্রমের আধিক্যের আবশ্যক হয়; কেন না, যাহা কামিল, তাহা খাটিয়া পোষাইয়া লইতে হইবে। তাহাতে অবকাশের ধবংস। অবকাশের অভাবে বিদ্যালোচনার অভাব। অতএব দ্বিতীয় ফল মােখাতা। তৃতীয় ফল, বদ্ধপজীবীদিগের প্রভুত্ব এবং অত্যাচার বদ্ধি। ইহার নামান্তর দাসত্ব। দারিদ্র্য, মাখতা, দাসত্ব। ২। ঐ সকল ফল একবার উৎপন্ন হইলে ভারতবর্ষের ন্যায় দেশে প্রাকৃতিক নিয়মগণে স্থায়িত্ব লাভ করিতে উন্মখ হয়। দেখােন গিয়াছে যে, ধনসম্পgয়ই সভ্যতার আদিম কারণ। যদি বলি যে, ধনলিপিসা সভ্যতাবদ্ধির নিত্য কারণ, তাহা হইলে অত্যুক্তি হইবে না। সামাজিক উন্নতির মালীভুত মনীষািহদায়ের দাইটি বত্তি; প্রথম জ্ঞানলিপসা, দ্বিতীয় ধনলিপসা। প্রথমোক্তটি মহৎ এবং আদরণীয়, দ্বিতীয়টি, SARST aSK Fod Sissist BMG i foTo "History of Rationalism in Europe' নামক গ্রন্থে লেকি সাহেব বলেন যে, দাইটি বত্তির মধ্যে ধনলিপসাই মনষ্যেজাতির অধিকতর মঙ্গলকর হইয়াছে। বস্তুতঃ জ্ঞানলিপিসা কাদাচিৎক, ধনলিপিসা সব্বসাধারণ; এ জন্য অপেক্ষাকৃত ফলোপধায়ক। দেশের উৎপন্ন ধনে জনসাধারণের গ্রাস আচ্ছাদনের কুলান হইতেছে বলিয়া সামাজিক ধনলিপিসা কমে না। সব্বদাই নিতেন নািতন সখের আকাঙ্ক্ষা জন্মে। পর্ক্সেব যাহা নিম্পপ্রয়োজনীয় বলিয়া বোধ হইত, পরে তাহা আবশ্যক বোধ হয়। তাহা পাইলে আবার অন্য সামগ্রী আবশ্যক বোধ হয়। আকাঙ্ক্ষায় চেন্টা, চেন্টায় সফলতা জন্মে। সতরাং সখি এবং মঙ্গল বদ্ধি হইতে থাকে। অতএব সখস্বচ্ছন্দের আকাঙ্ক্ষার বদ্ধি সভ্যতা বদ্ধির পক্ষে নিতান্ত প্রয়োজনীয়। বাহ্য সখের আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত হইয়া আসিলে জ্ঞানের আকাঙক্ষা, সৌন্দয্যের আকাঙ্ক্ষা, তৎসঙ্গে কাব্যসাহিত্যাদির প্রিয়তা এবং নানাবিধ বিদ্যার উৎপত্তি হয়। যখন লোকের সখিলালসার অভাব থাকে, তখন পরিশ্রমের প্রবত্তি দৰবলা হয়। উৎকৰ্ষ লাভের ইচ্ছাও থাকে না, তৎপ্রতি যত্নও হয় না। তিনিবন্ধন যে দেশে খাদ্য সালভ, সে দেশের প্রজাবদ্ধির নিবারণকারিণী প্রবত্তিসকলের অভাব হয়। অতএব যে “সন্তোষ” কবিদিগের অশেষ প্রশংসার স্থান, তাহা সমাজোন্নতির নিতান্ত অনিষটকারক; কবিগীতা এই প্রবত্তি সামাজিক জীবনের হলাহল। লোকের অনিস্টপণে সন্তুটিভাব, ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক নিয়মগণে সহজেই ঘটিল। এ দেশে তাপের কারণ অধিককাল ধরিয়া এককালীন পরিশ্রম অসহ্য। তৎকারণ পরিশ্রমে অনিচ্ছা! অভ্যাসগত হয়। সেই অভ্যাসের আরও কারণ আছে। উষ্ণদেশে শরীরমধ্যে অধিক তাপের সমস্তবের আবশ্যকতা হয় না বলিয়া, তথাকার লোকে যে মািগয়াদিতে তােদশ রত হয় না, ইহা ব্বে কথিত হইয়াছে। বন্য পাশ হনন করিয়া খাইতে হইলে পরিশ্রম, সাহস, বল এবং কাৰ্য্যতৎপরতা অভ্যন্ত হয়। ইউরোপীয় সভ্যতার একটি মল, পািব্বকালীন তাদক অভ্যাস। অতএব একে শ্রমের অনাবশ্যকতা, তাহতে শ্রমে অনিচ্ছ, ইহার পরিণাম আলস্য ও অনৎসাহী। অভ্যাসগত আলস্য এবং অনৎসাহেরই নামান্তর সন্তোষ। অতএব ভারতীয় প্রজার একবার দদশা হইলে, সেই দশাতেই তাহারা সন্তুষ্পট রহিল। উদ্যমাভাবে আর উন্নতি হইল না। সপ্ত সিংহের মখে আহায্য পশি সম্ভবতঃপ্রবেশ করে না। ভারতবর্ষের পরাবত্তালোচনায় সন্তোষ সম্পবন্ধে অনেকগালিন বিচিত্র তত্ত্ব পাওয়া যায়। ঐহিক সদখে নিসপািহতা, হিন্দধৰ্ম্ম এবং বৌদ্ধধৰ্ম্ম উভয়কর্তৃক অনভিজ্ঞাত। কি ব্ৰাহ্মণ, কি বৌদ্ধ, কি সমাত্তি, দি দাশনিক, সকলেই প্রাণপণে ভারতবাসী দিগকে শিখাইয়াছেন যে, ঐহিক সখি অনাদরণীয়। ইউরোপেও ধৰ্ম্মযাজকগণ কত্ত্বক ঐহিক সখে অনাদরাতত্ত্ব প্রচারিত হইয়াছিল। ইউরোপে যে রোমীয় সভ্যতা লোপের পর সহস্ৰ বৎসর মনষ্যের ঐহিক অবস্থা অনান্নত ছিল, এইরুপ শিক্ষাই তাহার কারণ। কিন্তু যখন ইতালিতে প্রাচীন যনোনী সাহিত্য, ঘনানী দর্শনের পনের দায় হইল, তখন তৎপ্রদত্ত শিক্ষা নিবন্ধন ঐহিকে বিরক্তি ইউরোপে ক্রমে মন্দীভূত হইল। সঙ্গে সঙ্গে সভ্যতারও বদ্ধি হইল। ইউরোপে ঐ প্রবত্তি বদ্ধমল হইতে পারে নাই। ভারতবর্ষে ইহা মনষ্যের দ্বিতীয় সর্বভাব সবরপে পরিণত হইয়াছে। যে ভূমি OOS