পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिक्ष अबक-बक्रटॅनरंभब्र कुँवर्क হইয়া থাকে, তাহা নিবারণের বিশেষ কোন উপায়, এই আইন বা অন্য কোন আইনের স্বারা হয়। নাই। কোরোক-লটের বিধি সেই প্রকারই আছে। বেশীর ভাগ, প্রজার খাজানা বাড়াইবার বিশেষ সপথ হইয়াছে। এ আইনের সাহায্যে যাহার হার বেশী করা যাইতে পারে না, বঙ্গদেশে এমত কৃষক অতি অলপই আছে। তথাপি এইটকু মাত্র প্রজার পক্ষতা দেখিয়া প্রজাদ্বেষী, সাবাথ পর কোন কোন জমীদার কতই কোলাহল করিয়াছিলেন ! অদ্যপি করিতেছেন! আমরা দেখাইলাম যে, ব্রিটিশ রােজ্যাকালে ভূমিসংক্রান্ত যে সকল আইন হইয়াছে, তাহাতে পদে পদে প্রজার অনিন্ট হইয়াছে। প্রতি বারে দািব্বল প্রজার বলা হরণ করিয়া আইনকারক বলবান জমীদারের বলবদ্ধি করিয়াছেন। তবে জমীদার প্রজাপীড়ন না করিবেন কেন ? ইচ্ছাপাকবািক ব্রিটিশ রাজপরিষেরা প্রজার অনিন্ট করেন নাই। তাঁহারা প্রজার পরম মঙ্গলাকাঙক্ষী। দেওয়ানী পাইয়া অবধি এ পৰ্যন্ত কিসে সাধারণ প্রজার হিত হয়, ইহাই তাঁহাদিগের অভিপ্রায়, এবং ইহাই তাঁহাদিগের চেণ্টা। দভাগ্যবশতঃ তাঁহারা বিদেশী; এ দেশের অবস্থা সবিশেষ অবগত নহেন, সতরাং পদে পদে ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন। ভ্ৰমে পতিত হইয়া এই মহৎ অনিন্টিকর বিধি সকল প্রচারিত করিয়াছেন। কিন্তু ভ্রমবশতঃই হউক, আর যে কারণেই হউক, প্রজাপীড়ন হইলেই রাজার দোষ দিতে হয়। কিন্তু ইহা অপেক্ষা আর একটি গারতের কথা আছে। ইংরাজের দোন্দন্ড প্রতাপ-সে প্রতাপে সমগ্ৰ আসিয়াখন্ড সঙ্কুচিত; তবে ক্ষদ্রজীবী জমীদারের দৌরাত্ম্য নিবারণ হয় না। কেন ? বহকেদরপ্রবাসী আবিসিনিয়ার রাজা জনকয়েক ইংরাজকে পীড়ন করিয়াছিলেন বলিয়া তাঁহার রাজ্য লোপ হইল। আর রাজপ্রতিনিধির অট্টালিকার ছায়াতলে লক্ষ লক্ষ প্রজার উপর পীড়ন হইতেছে, তাহার কোন প্রতীকার হয় না কেন ? জমীদার প্রজা ধরিয়া আনিতেছেন, কয়েদ করিতেছেন, মারিয়া টাকা আদায় করিতেছেন, তাহার ফসল। লটিতেছেন, ভূমি কাড়িয়া লাইতেছেন, সব্বসবান্ত করিতেছেন, তাহার প্রতীকার হয় না কেন ? কেহ বলিবেন, তাহার জন্য রাজপরিষেরা আইন করিয়াছেন, আদালত করিয়াছেন, তবে গবৰ্ণমেণ্টের ত্রটি কি ? আমরাও সেই কথা জিজ্ঞাসা করি। আইন আছে-সে আইনে অপরাধী জমীদার দশডেনীয় হন না কেন ? আদালত আছে-সে। আদালতে দোষী জমীদার চিরজয়ী কেন ? ইহার কি কোন উপায় হয় না ? যে আইনে কেবল দকবলই দন্ডিত হইল, যাহা বলবানের পক্ষে খাটিল না-সে। আইন কিসে? যে আদালতের বল কেবল দািব্বলের উপর, বলবানের উপর নহে, সে আদালত আদালত কিসে? শাসনদক্ষ ইংরাজেরা কি ইহার কিছ স্যবিধি করিতে পারেন না ? যদি না পারেন, তবে কেন শাসনদক্ষতার গব্ব করেন ? যদি পারেন, তবে মােখ্য কৰ্ত্তব্য সাধনে অবহেলা করেন কেন ? আমরা এই দীন হীন ছয় কোটি বাঙ্গালী কৃষকের জন্য তাঁহাদের নিকট যক্ত করে রোদন করিতেছি—তাঁহাদের মঙ্গল হউক!—ইংরাজরাজ্য অক্ষয় হউক!—তাঁহারা নিরাপায় কৃষকের প্রতি দল্টিপাত করন। কেন যে আইন আদালতে কৃষকের উপকার নাই, তাহার একটি কারণ আমরা সংক্ষেপে নিন্দেশ করব। প্রথমতঃ, মোকদ্দমা অতিশয় ব্যয়সাধ্য হইয়া পড়িয়াছে। কি প্রকার ব্যয়, তাহার উদাহরণ আমরা দ্বিতীয় সংখ্যায় দিয়াছি, পািনরপ্লেখের আবশ্যক নাই। যাহা ব্যয়সাধ্য, তাহা দরিদ্র কৃষকদিগের আয়ত্ত নহে। সতরাং ত্যাহারা তন্দ্বারা সচরাচর উপকৃত হয় না; বরং তদ্বিপরীতই ঘটিয়া থাকে। জমীদার ধনী, আদালতের খেলা তিনি খেলিতে পারেন। দোষে হউক, বিনা দোষে হউক, তিনি ইচ্ছা করিলেই কৃষককে আদালতে উপস্থিত করেন। তথায় ধনবানেরই জয়, সতরাং কৃষকের দদশা ঘটে, অতএব আইন আদালত, কৃষককে পীড়িত করিবার, ধনবানের হস্তে আর একটি উপায় মাত্র। দ্বিতীয়তঃ আদালত প্রায় দরিস্থিত। যাহা দীরস্থ, তাহা কৃষকের পক্ষে উপকারী হইতে পারে না। কৃষক ঘর বাড়ি চাষ প্রভৃতি ছাড়িয়া দরে গিয়া বাস করিয়া মোকদ্দমা চালাইতে পারে না। ব্যয়ের কথা দরে থাকুক, তাহাতে ইহাদের অনেক কায্য ক্ষতি হয়, এবং অনেক আনিস্টপাতের সম্ভাবনা। কৃষক গোমস্তার নামে নালিশ করিতে গেল, সেই অবসরে গােমস্তার বাধ্য লোকে তাহার ধান চুরি করিয়া লইয়া গেল, না হয় আর একজন কৃষক গােমস্তার O0 OA