পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बब्कन्न ब्रpनाबव् পারিত না; থান বানিতে গেলে ততক্ষণ অন্য কাপড় বনা। স্থগিত থাকিত। যেমন থানের মাল্য ছয় টাকা পাইত, তেমনি ছয় টাকা মল্যের অন্য কাপড় বােনা হইত না; সতরাং লাভে লোকসানে পষিয়া যাইত। অতএব তাঁতির তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। তাকিক বলিলেন, তাঁতির ক্ষতি আছে। এই থানের আমদানির জন্য তাঁতির ব্যবসায় মারা গেল। তাঁতি থান বনে না, ধতি বনে। ধতির অপেক্ষা থান সস্তা, সতরাং লোকে থান পরে, ধতি আর পরে না। এজন্য অনেক তাঁতির ব্যবসায় লোপ হইয়াছে। উত্তর। তাহার তাঁতবনা ব্যবসায় লোপ পাইয়াছে বটে, কিন্তু সে অন্য ব্যবসা করােক না, কেন ? অন্য ব্যবসায়ের পথ রহিত হয় নাই। তাঁত বনিয়া আর খাইতে পায় না, কিন্তু ধান বনিয়া খাইবার কোন বাধা নাই। সকল ব্যবসায়ের পরিণাম সমান লাভ, ইহা সমাজতত্ত্ববেত্তারা প্রমাণ করিয়াছেন। যদি তাঁত বনিয়া মাসে পাঁচ টাকা লাভ হইত, তবে সে ধান বানিয়া সেই পাঁচ টাকা লাভ করিবে। থানে বা ধতিতে সে ছয় টাকা পাইত, ধানে সে সেই ছয় টাকা পাইবে। তবে তাতির ক্ষতি হইল কৈ ? ইহাতেও এক তাক উঠিতে পারে। তুমি বলিতেছ, তাঁত বনিয়া খাইতে না পাইলেই ধান বনিয়া খাইবে, কিন্তু ধান বানিবার অনেক লোক আছে। আরও লোক সে ব্যবসায়ে গেলে ঐ ব্যবসায়ের লভ্য কমিয়া যাইবে; কেন না, অনেক লোক গেলে অনেক ধান হইবে, সতরাং ধ্ৰুষ্ক হইবে। যদি খানকারক কৃষকদিগের লাভ কমল, তবে দেশের টাকা কমল ק উত্তর। বাণিজ্য বিনিময় মাত্র। এক পক্ষে বাণিজ্য হয় না। যেমন আমরা বিলাতের কতক সামগ্ৰী লই তেমনি বিলাতের লোকে আমাদিগের কতক সামগ্ৰী লয়। যেমন আমরা কতকগালিন বিলাতি সামগ্ৰী লওয়াতে, আমাদের দেশে প্রস্তুত সেই সেই সামগ্রীর প্রয়োজন কমে, সেইরােপ বিলাতীয়েরা আমাদের দেশের কতকগালি সামগ্ৰী লওয়াতে আমাদের দেশের সেই সেই সামগ্রীর প্রয়োজন বাড়ে। যেমন ধতির প্রয়োজন কমিতেছে, তেমনি চাউলের প্রয়োজন বাড়িতেছে। অতএব যেমন কতকগুলি তাঁতির ব্যবসায়হানি হইতেছে, তেমনি কৃষি ব্যবসায় বাড়িতেছে, দেশী লোকের চাষ করিবার আবশ্যক হইতেছে। অতএব চাষীর সংখ্যা বাড়িলে তাহাদের লাভ কমিবে না। অতএব বাণিজ্য হেতু যাহাঁদের পািকব ব্যবসায়ের হানি হয়, নািতন ব্যবসায়াবলম্পবনে তাহদের ক্ষতি পরিণ হয়। তাহা হইলে বিলাতি থান খাঁরদে তাঁতির ক্ষতি নাই। তাঁতিরও ক্ষতি নাই, ক্ৰেতাদিগেরও ক্ষতি নাই। তবে কাহার ক্ষতি ? কাহারও নহে। যদি বণিক থান বেচিয়া যে লভ্য করিল, তাহাতে এ দেশীয় কাহারও অর্থ ক্ষতি হইল না, তবে তাহারা এ দেশের অর্থভান্ডার লািঠ করিল কিসে? তাহার লাভের জন্য এ দেশের অর্থ কমিতেছে কিসে? আমরা তাঁতির উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্য সমর্থন করিতে চেন্টা করিয়াছি। কিন্তু সে উদাহরণে একটি দোষ ঘটে। তাঁতির ব্যবসায় লোপ হইতেছে, তথাপি অনেক তাঁতি অনা ব্যবসায় অবলম্বন করিতেছে না। আমাদের দেশের লোক জাতীয় ব্যবসায় ছাড়িয়া সহজে অন্য ব্যবসায় অবলম্বন করিতে চাহে না। ইহা তাঁতিদের দভাগ্য বটে, কিন্তু তাহাতে দেশের ধনক্ষতি নাই; কেন না, থানের পরিবত্তে যে চাউল যায়, তদ্যুৎপাদন জন্য ষে কৃষিজাত আয়ের বদ্ধি, তাহা হইবেই। হইবে। তবে তাঁত সেই ধন না পাইয়া, অন্য লোকে পাইবে। তাঁতি খাইতে পায় না বলিয়া দেশের ধন কমিতেছে না। অনেকের এইরাপ বোধ আছে, যে, বিদেশীয় বণিকেরা এ দেশে অৰ্থ সঞ্চয় করিয়া নগদ টাকা বস্তাবন্দী করিয়া জাহাজে তুলিয়া পলায়ন করেন। এরূপ যাঁহাদের বিশ্বাস, তাঁহাদের প্রতি <R83 প্রথমতঃ, নগদ টাকা লইয়া গেলেই দেশের অর্থহানি হইল না। নগদ টাকাই ধন নহে। যত প্রকার সম্পত্তি আছে, সকলই ধন । নগদ টাকা এক প্রকার ধন মাত্র। তাহার বিনিময়ে আমরা যদি অন্য প্রকার ধন পাই, তবে নগদ টাকা যাওয়ায় নিধন হই না। নগদ টাকাই যে ধন নহে, এ কথা বঝান কঠিন নহে। একজনের এক শত টাকা নগদ আছে, BB BB BBB BDB DDD BDB DD BBBDSDBBD DBDDBSS BB D DBD DDD DDSDu এক শত টাকার ধান গোলায় আছে। সে কি পািব্বাপেক্ষা গরিব হইল ? SðR