পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বাঙ্গালার ইতিহাসের ভগ্নাংশ দেশের লোকের বিবেচনা এই যে, রাজা রাজাড়া সচরাচর ঘোরতর গন্ডমখ হইয়া থাকে, হইলেও বিশেষ ক্ষতি নাই। বাস্তবিক এই কথাই সত্য। বাঙ্গালায় চিরকাল সমাজই সমাজকে শাসিত ও রক্ষিত করিয়া আসিয়াছে। রাজারা হয়। সেই বাঙ্গালা কবিকুলরত্ন শ্ৰীহষী দেবের চিত্রিত বৎসরাজের ন্যায়। মমের পাতুল, নয়। এই ভবচন্দ্ৰ হবচন্দ্রের ন্যায় বারোইয়ারির সং।। আজকালের রাজপরিষদের কথা বলিতেছি না; তাঁহারা অতিশয় দক্ষ। কথাটা এই যে, আমাদের এ নিরীহ জাতির শাসনকৰ্ত্তা বটবক্ষকে করিলেও হয়। ভবচন্দ্রের পর কামরপ রঙ্গপাের রাজ্যে আর একজন মাত্র পালবংশীয় রাজা রাজ্য করিয়াছিলেন। তাঁহার পর মেছ গারো কোছ লেপচা প্রভৃতি অনাৰ্য্য জাতিগণ রাজ্যমধ্যে ঘোরতর উপদ্রব করে। কিন্তু তারপর আবার আর্য্যজাতীয় নািতন রাজবংশ দেখা যায়। তাঁহারা কি প্রকারে রাজা হইলেন, তাহার কিছ কিম্বদন্তী নাই। এই বংশের প্রথম রাজা নীলধবজ। নীলধৰাজ কমতাপর নামে নগরী নিম্পমাণ করেন, তাহার ভগ্নাবশেষ আজিও কুচবেহার রাজ্যে আছে। ইহার পরিধি ৯৷০ ক্রোশ, অতএব নগরী অতি বহৎ ছিল সন্দেহ নাই। ইহার মধ্যে সাত ক্রোশ বেড়িয়া নগরীর প্রাচীর ছিল, আর ২০ ক্রোশ একটি নদীর দ্বারা রক্ষিত। প্রাচীরের ভিতর প্রাচীর; গড়ের ভিতর গড়-মধ্যে রাজপরী। সে কালের নগরীসকলের সচরাচর এইরপ গঠন ছিল। শত্রশঙ্কাহীন আধনিক বাঙ্গালী খোলা সহরে বাস করে, বাঙ্গালার সে কালের সহরসকলের গঠন কিছই অনভব করিতে পারে না। এই বংশের তৃতীয় রাজা নীলাম্বরের সময়ে রাজ্য পনেকবার সবিস্তত হইয়াছিল দেখা যায়। কামরাপ, ঘোড়াঘাট পৰ্যন্ত রঙ্গপাের, আর মৎস্যের কিয়দংশ তাঁহার ছাত্ৰাধীন ছিল। এই সময়ে বাঙ্গালার স্বাধীন পাঠান রাজারা দিল্লীর বাদশাহের সঙ্গে সর্বদা যন্ধে প্রবত্ত, অতএব অবসর পৰ্যন্ত তিনি এক বহৎ রাজবন্ত্ৰ নিশ্চিমত করেন, অদ্যাপি সে বত্মা সেই প্রদেশের প্রধান রাজবন্ত্র। তাঁহার রাজ্য ধবংস হইল। শচীপত্র নামে তাঁহার এক ব্ৰাহ্মণ মন্ত্রী ছিল। শচীপত্রের পত্ৰ কোন গারতের অপরাধ করিয়াছিল। নীলাম্বর তাহাকে বধ করিলেন। কিন্তু কেবল বধ করিয়াই সন্তান্ট নহেন, তাহার মাংস রাঁধাইয়া শচীপত্রকে কৌশলে ভোজন করাইলেন। শচীপত্র জানিতে পারিয়া দেশত্যাগ করিয়া গৌড়ের পাঠান রাজার দরবারে উপস্থিত হইল। শচীপত্রের দেখান প্রলোভনে লন্ধ হইয়া, পাঠানরাজ (আমি কখনই গৌড়ের পাঠানরােজদিগকে বাঙ্গালার রাজা বলিব না।) নীলামাবরকে আক্ৰমণ করিবার জন্য সৈন্য প্রেরণ করলেন। নীলাম্বর আর যাই হউন-বাঙ্গালার সেনকুলাঙ্গারের মত ছিলেন না। খড়কীদ্বারা দিয়া পলায়ন না করিয়া সম্প্ৰমাখীন হইয়া যাদ্ধ করিলেন। যমুদ্ধে মসলমানকে পরাজিত করিলেন। তখন সেই ক্ষৌরিতম পড প্ৰতারক, যে পথে ট্রয় হইতে আজিকালিকার অনেক রাজ্য পয্যন্ত নীত হইয়াছে, চোরের মত BBD DBBBBB BB S BDBD DDDS SDDB DD DD BDD S S BDDDBBBB DDBS “মাসলমানের বিবিরা মহারাণীজিকে সেলাম করিতে যাইবে।” মহারাজ তখনই সম্মত হইলেন। কিন্তু যে সকল দোলা বিবিদের লইয়া আসিল, তাহারা রাজপরিমধ্যে পৌঁছিল। তাহার ভিতর হইতে একটিও পাঠানকন্যা বা কোন জাতীয় কন্যা বাহির হইল না-যাহারা বাহির হইল, তাহারা শমশ্র গমফশোভিত সশস্ত্র যাবা পাঠান। তাহারা তৎক্ষণাৎ রাজপরেী আক্রমণ করিয়া নীলাব্বরকে পিঞ্জরের ভিতর পরিয়া গৌড়ে পাঠাইল। নীলাবর পথে পিঞ্জর হইতে পলায়ন করিয়াছিলেন। DBDBu BB BBBS DBDDB DD uDuuDBBD DBB DS BD DS DBDBD DDDDBDB BDBDDB BB DBDD এ দেশে রাজা গেলেই রাজ্য যায়। নীলাম্বর গেলেন ত তাঁহার রাজ্য পাঠানের অধীন হইল। ইহার পকেবৰ্গ মসলমান কখন এ দেশে আইসে নাই। কিন্তু যখন নীলাম্পবরের পর আযবংশীয় রাজার কথা শানা যায় না, তখন ইহাই সিদ্ধান্ত করিতে হইবে যে, রঙ্গপাররাজ্য এই সময় পাঠানের কারকবলিত হইল। এই সময়ে-কিন্তু কোন সময়ে সেই আসল কথা! সন তারিখশান্য যে ইতিহাস-সে পথশান্য অরণ্যতল্য-প্রবেশের উপায় নাই-এমত বিবেচনা করিবার অনেক কারণ আছে যে, বিখ্যাত পাঠানরাজ হোসেন শাহাই রঙ্গপরের জয়কত্তা। হোসেন শাহা ইং ১৪৯৭ সন হইতে ১৫২১ সন পৰ্যন্ত রাজ্য করেন। মসলমানেরা রঙ্গপরের কিয়দংশ মাত্র অধিকৃত করিয়াছিলেন। SSS)