পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ-বাঙ্গালীর উৎপত্তি ও পর্বের অনাযাদিগের সঙ্গে আমাদিগের ততটা সম্পবিন্ধ নাই, তাহারা অনেকেই হালের आभान। আমরা কেবল কয়েকটি প্রধান জাতির নাম করিলাম-জাতির ভিতর উপজাতি আছে এবং অন্যান্য জাতি আছে। প্রসঙ্গক্রমে তাহদের কথাও বলিতে হইবে। এখন প্রথম জিজ্ঞাস্য এই যে, ইহারা সকলে কি একবংশসম্পভূত ? আয্যেরা সকলেই একবংশসম্প্ৰভূত-আৰ্য শব্দের অর্থই তাই। কিন্তু “অনাৰ্য্য” বলিলে কেবল ইহাই বাবায় যে, ইহারা আর্য্য নহে। যাহারা আয্য নহে, তাহারা সকলেই যে একজাতীয়, এমত ব্যবস্থায় না। যদি এমত প্রমাণ থাকে যে, ইহারা একবংশোদ্ভুত, তবে সহজে অনমান করতে পারা যায় যে, ইহারা সকলেই বাঙ্গালার প্রথম অধিবাসী-আৰ্য্যগণকৰ্ত্তক তড়িত হইয়া নানাস্থানে ছড়াইয়া পড়িয়া নানাদেশে নানা নাম ধারণ করিয়াছে; কিন্তু যদি সে প্রমাণ না থাকে- বরং তদ্বিরদ্ধে প্রমাণ থাকে যে, তাহারা নানা বংশীয়, তবে আবার বিচার করিতে হইবে, এইগলির মধ্যে কাহারা কাহারা বাঙ্গালার প্রথম অধিবাসী। প্রামাণ্য ইতিহাসের অভাবে ভাষাবিজ্ঞানের আবিস্ক্রিয়া এ সকল বিষয়ে গরতের প্রমাণ। আমরা প্রথম পরিচ্ছেদে যে তিন শ্রেণীর ভাষার কথা বলিয়াছি, তাহার মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর ভাষার অন্তগত আৰ্যভাষা ও সেমীয়ভাষা (আরবী, হিব্র প্রভৃতি)। প্রথম শ্রেণীর ভাষাগলি --যাহা সংযোগনিরপেক্ষ অথবা বিভক্তিবিশিস্ট নহে-সেই সকল ভাষাকে ইউরোপীয়েরা ভারতচৈনিক বলিয়া থাকেন। নামটি আমাদিগের ব্যবহারের অযোগ্য-আমরা ঐ ভাষাগলি চৈনিকনীয়ভাষা বলিব। দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাষার সাধারণ নাম তুরাণী। বাঙ্গালার মধ্য বা প্রান্তস্থিত অনাৰ্য্যজাতিসকলের ভাষা। এই দ্বিবিদ্ধ-কতকগলি জাতির ভাষা চৈনিকলীয়-ইহাদিগের বাস প্রায় আসামে বা বাঙ্গালার পক্বেসীমায়। তাহারা অনেকেই আযাদিগের পরে আসিয়াছে, এমত ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে। তার পর অবশিস্ট যে সকল অনায্যজাতি-তাহাদিগের সকলেরই ভাষা তুরাণীশ্রেণীস্থ। কিন্তু সেই সকল অনাৰ্য্যভাষার মধ্যেও জাতিগত পার্থক্য দেখা যায়। পর্বেই কথিত হইয়াছে, দ্রাবিড়ভাষা তুরাণীশ্রেণীস্থ। বাঙ্গালার অনাৰ্য্যভাষার মধ্যে কতকগলি জাতির ভাষার শব্দ সমাস ও ব্যাকরণ সমালোচনা করিয়া পশ্চিডতেরা দেখিয়াছেন যে, ঐ সকল ভাষা দ্রাবিড়ী ভাষার সঙ্গে সম্পবিন্ধবিশিস্ট। আর কতকগলি অনাৰ্য্যভাষাতে দাবিড়ী ভাষার সঙ্গে কোন প্রকার সাদশ্যে নাই। ইহাতে সিদ্ধ হইয়াছে যে, বাঙ্গালার কতকগলি অনাৰ্য্যজাতি দ্রাবিড়ীদিগের DBDBDiSiDBD BDBBDBBB DBBD DBD DDD S যাহারা অদ্রাবিড়ী, তাহাদিগের মধ্যে ভাষাগত ঐক্য আছে। কোল বা হো, সাঁওতাল, ম্যান্ড প্রভৃতি এখন ভিন্ন ভিন্ন স্থানবাসী ভিন্ন ভিন্ন জাতি বটে, কিন্তু যেমন সকল আৰ্যভাষাই পরস্পরের সহিত সাদশ্যে ও সম্পবিন্ধবিশিষ্ট, কোল, ম্যান্ড, সাঁওতাল প্রভৃতির ভাষাও সেইরূপ সাদশ্যে ও সম্বন্ধবিশিষ্ট। অতএব ইহারা সকলেই একজাতীয় বলিয়া বোধ হয়। চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ-আৰ্যীকরণ * SLSLSS rBLBDBDBSSSLLLLSS DBSSGSS DBDSS0SSLeBDSSGGSS DOBDSSGSS DDSS0SDBS বা কুক বা মন্যাসি, (৮) খাড়িয়া, (১) জয়াং, এই কয়টি কোলবংশীয় বাঙ্গালার লেঃ গবৰ্ণরের শাসন-অধীনে পাওয়া যায়। জয়াঙ্গোরা উড়িষ্যার ঢেঙ্কানান ও কেওঝড় প্রদেশে বাস করে। কুর বা মদযাসির সঙ্গে এ ইতিহাসের কোন সম্বন্ধ নাই। খাড়িয়ারা সিংহভূমের অতিশয় বনাকীণ প্রদেশে বাস করে; মানভূমের পাহাড়েও তাহদের পাওয়া যায়। বীর বীরহোড়েরা হাজারিবাগের জঙ্গলে থাকে। কড়য়ারা সরগাজা, যশপার ও পালামো অঞ্চলে থাকে। উহাদিগের সঙ্গে মিশ্রিত “অসাের” নামে আর একটি কোলবংশীয় জাতি পাওয়া যায়। কুকু জাতি আরও পশ্চিমে। সাঁওতালেরা গঙ্গাতীর হইতে উড়িষ্যায়। বৈতরণীতীর পয্যন্ত ৩৫০ মাইল ব্যাপ্ত করিয়া

  • Frfsís, sBba, ðe !

Ot