পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রা, নৰল।i বাস করে-কোথাও কম, কোথাও বেশী। যে প্রদেশ এখন “সাঁওতাল পরগণা” বলিয়া খ্যাত, তাহা ভিন্ন ভাগলপাের, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাজারিবাগ, মানভূম, মেদিনীপর, সিংস্কৃভূম, বালেশ্বর, এই কয় জেলায় ও ময়রভঞ্জে। সাঁওতালদিগের বাস আছে। হো, ভূমিজ এবং মন্ডের সাধারণ নাম কোল। হো জাতিকে লডুকা বা লড়াইয়া কোল বলে। ভূমিজেরা কাঁসাই ও সবণ রেখা নদীদ্বয়ের মধ্যে মানভূম জেলা প্রভৃতি প্রদেশে বাস করে। ম্যান্ড বা মডারীরা চুটিয়া নাগপাের অঞ্চলে বাস করে। হরিবংশে আছে যে, যযাতির কনিষ্ঠ পত্র তুব্বােসর বংশে কোল নামে রাজা ছিলেন। উত্তরভারতে তাঁহার রাজ্য ছিল; তাঁহারই বংশে কোলাদিগের উৎপত্তি।।*।। মনতে “কোলি সপ°দিগের পািনঃ পািনঃ প্রসঙ্গ দেখা যায়। ভারতবর্ষে কোলেরা এককালে প্রধান ছিল, এমত বিবেচনা করিবার অনেক কারণ আছে। হণ্টর সাহেব প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, ভারতবর্ষে সৰস্বত্রই হো নামক কোন আদিম জাতির বাসের চিহ্ন পাওয়া যায়। তিনি যে সকল প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহার অধিকাংশে অধিক শ্রদ্ধা করা যায় না; কিন্তু হো বা কোলজাতি যে একদিন বাহাদর বিস্তুত দেশের অধিবাসী ছিল, তাহাও সম্ভব বোধ হয়। হো শব্দেই কোলি ভাষায় মনষ্যে বকায়। এক সময়ে ইহারা সবজাতি ভিন্ন অন্য কোন জাতির অস্তিত্ব জ্ঞাত ছিল না। কণোিল ডালটন প্রতিপন্ন করিবার চেণ্টা করিয়াছেন যে, কোলেরাই পাবোঁ মগধাদি অন্যগঙ্গ প্রদেশের অধিবাসী ছিল-যাহা এখন বাঙ্গালা ও বেহার, সে প্রদেশে তখন কোলভাষা ভিন্ন অন্য কোন ভাষা প্রচলিত ছিল না। মগধ প্রদেশে, বিশেষতঃ শাহাবাদ জেলায় অনেক ভগ্নমন্দির অট্টালিকা আছে। প্রবাদ আছে যে, সে সকল চেরো এবং কোলজাতীয়দিগের নিশ্চিমত। কিম্বদন্তী এইরূপ যে, ঐ প্রদেশে সাধারণ লোক কোল ছিল, রাজারা চেরো ছিল। কথিত আছে যে, কোলেরা সবার নামক দ্রাবিড়ী অনাৰ্য্যজাতি কত্ত্বক মগধ হইতে বহিস্কৃত হইয়াছিল। সবরেরা মন ও মহাভারতে অনাৰ্য্যজাতি বলিয়া বাণিত হইয়াছে। সবার অদ্যাপি উড়িষ্যার নিকটবত্তী প্রদেশে বত্তমান আছে। দ্রাবিড়ীয়গণ বাঙ্গালার উপান্তভাগ সকলে কোলবংশীয়দিগের অপেক্ষা বিরল। হাজারিবাগের ওঁরাও (ধাঙ্গর) ও রাজমহলের পাহাড়ীরা ভিন্ন আর কেহ নিকটে নাই। গোলেদারা দ্রাবিড়ী বটে, কিন্তু তাহারা আমাদিগের নিকটবাসী নহে। কিন্তু বাঙ্গালার ভিতরেই এমন অনেক জাতি বাস করে যে, তাহারা দ্রাবিড়বংশীয় হইলে হইতে পারে। কণোিল ডালটন বলেন যে, কোচেরা অনগঙ্গবিজয়ী দ্রাবিড়ীগণ হইতে উৎপন্ন। বহতর কোচ বাঙ্গালার ভিতরেই বাস করিতেছে। দিনাজপর, মালদহ, রাজসাহী, রঙ্গপাের, বগাড়া, ঢাকা, ময়মনসিংহ প্রভৃতি জেলায় কোচদিগকে পাওয়া যায়। বাঙ্গালার ভিতর প্রায় এক লক্ষ কোচের বাস আছে। এই লক্ষ লোককে বাঙ্গালী বলা যাইবে কি না ? কেহ কেহ বলেন, ইহাদিগকেও বাঙ্গালীর সামিল ধরিতে হইবে। আমরা সে বিষয়ে সন্দিহান। কোচেরা বাঙ্গালী হউক বা না হউক, বাঙ্গালার ভিতরে অনায্য আছে কি না, এ কথার আমাদিগের একবার আলোচনা করিয়া দেখা প্রয়োজন। কে আৰ্য, কে অনায্য ? ইহা নিরাপণ করিবার জন্য ভাষাতত্ত্বই প্রধান উপায়, ইহা দেখান গিয়াছে। যাহার ভাষা আয্যজাতীয় ভাষা, সেই আয্যবংশীয়। যাহার ভাষা অনায্যভাষা, সেই অনায্যজাতীয়, ইহা স্থির করা গিয়াছে। পরে দেখান গিয়াছে যে, যে অনায্যের ভাষা দ্রাবিড়জাতীয় ভাষা, সেই দ্রাবিড়বংশীয় অনাৰ্য্য; যাহার ভাষা কোলজাতীয়ভাষা, সেই কোলবংশীয় অনাৰ্য্য। কিন্তু এমন কি হইতে পারে না যে, ভাষা। একজাতীয়, বংশ অন্যজাতীয় একাধারে সমাবিন্স্ট হইয়াছে ? এমন কি হইতে পারে না যে, পরাজিত জাতি জেতৃগণের ধম, জেতৃগণের खाषा १श्श कब्रिड्शा लट्रनरेशद्म आऊछूख श्नाcछ? এমন উদাহরণ ইতিহাসে অনেক পাওয়া যায়। ফ্রান্সের বিত্তমান ভাষা লাটিন-মলিক, কিন্তু

  • Asiatic Researches, Vol. IX, pp. 91 & 92.

Non-Aryan Dictionary. Linguistic Dissertation, pp. 25 &c. it "The proud Brahman who traces his lineage back to the palmy days of Kanauj and the half civilized Koch of Palya of Dinagepore may both be fitly spoken as Bengali.' Bengal Census Report, 1871. OS