পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबक्ष अबश्का-बाष्क्राव्ौद्ध ऐ६°ख নাম, বিদ্যাদিগের কিলীরও সেই সেই নাম। অতএব ইহা এক প্রকার নিশ্চয় করা যাইতে পারে যে, বিদ্যাগণ মন্ড কোল। কিন্তু এখন তাহারা হিন্দিভাষা বলে ও হিন্দধৰ্ম্মম অবলম্বন করিয়া চলে।* দ্বিতীয়। আসামে চুটীয়া নামে একটি জাতি আছে। তাহদের মখাবয়ব অনায্যের ন্যায়। কোন আসামী বরঞ্জীতে কণোিল ডালটন দেখিয়াছেন যে, উত্তরপ্রদেশস্থ পববত হইতে তাহারা উপর আসামে প্রবেশ করিয়া সাবলেশ্বরী পার হইয়া সদীয়াপ্রদেশে বাস করে। লকিমপরপ্রদেশে দিকু নদীর উপরে, এবং উপর আসামের অন্যত্ৰ দেউরী চুটীয়া নামে এক চুটীয়াজাতি পাওয়া গিয়াছে। তাহাদিগের ভাষা সমালোচনা করিয়া স্থির হইয়াছে যে, ঐ চুটীয়া ভাষা গারো ও বোড়োদিগের ভাষার সঙ্গে একজাতীয়। অতএব চুটীয়ারা যে অনাৰ্য্যজাতি, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। কিন্তু এক্ষণে আসামের অধিকাংশ চুটীয়া হিন্দ, বলিয়া গণ্য। এবং তাহারা আপনারাও হিন্দী চুটীয়া বলিয়া আপনাদিগের পরিচয় দেয়। হিন্দী চুটীয়া বলিলেই বাবাইবে যে, স্লেচ্ছ চুটীয়া ছিল বা আছে। তৃতীয়। কাছাড়িরা অনায্যবংশ। তাহদের অবয়ব মোঙ্গলীয়। কিন্তু আসাম প্রদেশীয় কাছাড়িয়া হিন্দী হইয়াছে। এবং এক্ষণেও অনেকে হিন্দ হইতেছে। চতুর্থ। কোচেরা আর একটি অনায্যজাতি। আসল কোচভাষা মেছ কাছাড়িভাষা সদাশ, কিন্তু ঐতিহাসিক সময়েই কোচবেহারের রাজাদিগের আদিপরষ হজাের পৌত্র বিস, সিং হিন্দধম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। এবং তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে কোচবেহারের যত ভদ্রলোক হিন্দধৰ্ম্মম করিয়াছিলেন। ইহারা রাজবংশী নাম গ্রহণ করিলেন। ইতর কোচেরা মসলমান l পঞ্চম। ত্রিপরার পাহাড়ি লোক অনায্যজাতি। কিন্তু তাহারাও হিন্দধৰ্ম্মম অবলম্পােবন। করিয়াছে ॥৪ ষািঠ। খাড়োয়ার নামক অনাৰ্য্যজাতি কালীপজা করিয়া থাকে।** সপ্তম। পহেয়া নামে পালামোতে এক জাতি আছে, তাহারা হিন্দীভাষা কয় এবং কতকগলি আচার ব্যবহার তাহদের হিন্দীদিগের ন্যায়। তাহদের অনাৰ্য্যত্ব নিঃসন্দেহ। অস্টম। সগজায় কিসান বলিয়া এক জাতি আছে, তাহারাও অনায্য এবং তাহাদিগের আচার ব্যবহার সব কোলের ন্যায়, তাহদেরও ভাষা হিন্দী এবং তাহারা কতক কতক হিন্দ আচার ব্যবহার গ্রহণ করিয়াছে। নবম। “বনো” কুলি সকলেই দেখিয়াছেন। তাহারা জাতিতে সাঁওতাল, কোল বা ধাঙ্গড় (ওরাঁও), কিন্তু এ দেশে যত “বনো” দেখা যায়, সকলেই হিন্দ। এরপ আরও অনেক উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে। যাহা দেওয়া গেল, তাহাতেই যথেস্ট হইবে। এই কয়েকটি উদাহরণ দ্বারাই উত্তমরূপে প্রমাণ হইতেছে যে, বাঙ্গালার বাহিরে এমন অনেক অনাৰ্য্যবংশ পাওয়া যায় যে, তাহারা আর্যভাষা গ্রহণ করিয়া ও হিন্দধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া হিন্দজাতি বলিয়া গণ্য হইয়াছে। যদি বাঙ্গালার বাহিরে অনায্য হিন্দ পাওয়া যাইতেছে, তবে বাঙ্গালার ভিতরে বাঙ্গালীর মধ্যে এরপে অনায্য হিন্দ থাকাও সম্ভব। বাস্তবিক আছে কি না, তাহা বিচার করার প্রয়োজন। এইখানে বলা উচিত যে, পাশ্চাত্ত্যদিগের সাধারণ মত এই যে, প্রাচীন চতুৰ্ব্ববর্তণের মধ্যে শদ্রদিগের উৎপত্তি এইরহপই ঘটিয়াছিল। জাতিভেদ সম্পবন্ধে অনেকে অনেক মত প্রচার করিয়াছেন। আমাদিগের মতে জাতিভেদ তিন প্রকারে উৎপন্ন হইয়াছে। প্রথম, আযগণের

  • Statistical Account of Bengal, Vol. VIII, p. 213.

t Statistical Account of Bengal, Vol. NVI, pp. 82-83. į Dalton’s Ethnology, p. 78. $ Buchanan Hamilton-Rungpur, Vol. III, p. 419. Hodgson I. A. S. B., XXXI, July 1849.

    • Dalton’s Ethnology, p. 130.

| Dalton’s Ethnology, p. 132. W6