পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्किम ब्रश्नावणी । কৃষিব্যবসায় অবলম্বন করিল, তাহারাই চাষা কৈবৰ্ত্ত। ধোপারা ঐরােপ কেহ কেহ চাষ করিয়া চাষাধোপা বলিয়া পথক জাতি হইয়াছে। পশ্চিন্দ্র বা পৌশদ্র নামে প্রাচীন জাতির উল্লেখ মন্দবাদিতে পাওয়া যায়। মন লিখিয়াছেন যে, পৌশদ্রক প্রভৃতি জাতি ক্রিয়ালোপহেতু বিষলত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে। পৌন্ড্রকদিগের সঙ্গে আর যে সকল জাতি গণনা করিয়াছেন, তাহাদিগের মধ্যে যবন ও পাহাব ভারতবর্ষের বাহিরে। ভিতরে সকলগলিই অনায্য; যথা “পৌণভুকাশেচৗড্রদ্রবিড়াঃ কাম্পেবাজা যবনাঃ শকাঃ। পারদাঃ পহবাশচীনাঃ কিরাতা দরদাঃ খাসাঃ ৷” ঐতরেয় ব্রাহ্মণে আছে, “অন্থ্রা পড়া সবারা পলিন্দা মাতিবা ইত্যুদন্তা বহবো ভবান্তি।” মহাভারতেও এই পড়েদিগের কথা আছে। সভাপব্বে আছে যে, ভীম দিগিবজয়ে আসিয়া পড়াধিপতি বাসদেব এবং কৌশিকিকচ্ছবাসী মনৌজ রাজা, এই দই মহাবলপরাক্রান্ত বীরকে পরাজয় করিয়া বঙ্গরাজের প্রতি ধাবমান হইলেন। বঙ্গ আধনিক বাঙ্গালার পকেবভাগকে বলিত। এখনও সাধারণ লোকে সেই প্রদেশকেই বঙ্গদেশ বলে। ভীম পশ্চিম হইতে আসিয়া যে দেশ জয় করিয়া বাঙ্গালার পকেবভাগে প্রবেশ করিলেন, সে দেশ অবশ্য বাঙ্গালার পশ্চিমভাগে। উইলসন, সাহেবও সাবকৃত বিষ্ণপরিাণানবাদে ভারতবর্ষের ভৌগোলিক তত্ত্ব নিরাপণকালে বাঙ্গালার পশ্চিমাংশেই পশন্দ্রজাতিকে সংস্থাপন করিয়াছেন।*।। তারপর খ্রীস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে হিয়েলথ সাঙ নামক চীন পরিব্রাজক এ প্রদেশে আসিয়া পন্ডুদিগের রাজধানী পৌন্ড্রবদ্ধন

  • 'Pundras the western Provinces of Bengal, or as sometimes used in a more comprehensive sense, it includes the following districts: Rajashahi, Dinagepore, and Rungpore; Nadiya, Beerbhoom, Burdwan, part of Midnapoor and the Jungle Mehals; Ramghur, Pacheti, Palamow, and part of Chunar. See an account of Pundra translated from what is said to be part of Brahmanda Section of the Bhavishyat Purana in the Quarterly Oriental Magazine, Decr. 1824. Wilson's Vishnu Puranas.

আমাদিগের প্ৰিয়বন্ধ পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ভবিষ্যপরাণখনি সন্ধান করিয়া দেখিয়াছেন (ভবিষ্যপরাণ, ভবিষ্যৎ পরাণ নহে; ব্ৰহ্মাখন্ড, ব্ৰহ্মা"ডখন্ড নহে; এগলি ছোট ছোট সাহেবী ভুল) । উহার এক কপি সংস্কৃত কলেজে আছে। পথিখানি খন্ডিত, আসাম মণিপাের হইতে আরম্ভ করিয়া কাশী পৰ্যন্ত সমস্ত দেশের বিশেষ বিবরণ উহাতে দেওয়া আছে; কিন্তু গ্ৰন্থখানি পড়িয়া ভক্তি হয় না। গ্ৰন্থখানিতে বিদ্যাসন্দরের গল্প আছে। মানসিংহ কর্তৃক যশোহরের আক্রমণ বর্ণিত আছে। যবনাধিকারের চারি শত বৎসর পরে চম্পারণের ও নেপালী রাজার যে যাদ্ধ হয়, তাহার বণনা আছে। বিশেষ, গ্রন্থকারের বঙ্গদেশমধ্যে আসাম, চাট্টল এবং মণিপাের। পৰ্যন্ত অন্তৰ্ভুক্ত হইয়াছে। এতদাের ত গ্রন্থের পরিচয় গেল। তাহাতে আছে যে, পৌ"ড্রদেশ সাত ভাগে বিভক্ত ঃ-গৌড়দেশ, বারেন্দ্রভূমি, নীবন্ত, বরাহভূমি, বদ্ধমান, নারীখন্ড ও বিন্ধ্যাপাশ্বর্ণ। এই সকল দেশের লোক দন্ট, চোর, পরদার নিরত ইত্যাদি ইত্যাদি। গৌড়দেশের প্রধান নগরসমাহের মধ্যে মৌরসিধাবাদ (মরাশিদাবাদ নামের সংস্কৃত ফরম; মরশিদাবাদ নাম ১৭o৪ সালে হয়, তাহার আগে উহাকে মকশাধাবাদ বলিত বলিয়া আটয়ার্টের হিস্টরি অব বেঙ্গলে উক্ত আছে); সতরাং গ্ৰন্থখানি ২oo বৎসরের মধ্যে লিখিত বলিয়া বোধ হয়। গৌড়দেশে গৌড়নগরের উল্লেখ নাই। পাগড়িয়ারও উল্লেখ নাই। বরেন্দ্রভূমির প্রধান নগর পট্টিলা, নটারো, চপলা, (যেখানকার রাজা ব্ৰাহ্মণ), কাকমারী। নীবন্ত দেশের প্রধান নগর কচ্ছপ, নসর, শ্ৰীীরঙ্গপার ও বিহার। রঙ্গপারে বাগদী রাজা। নারীখন্ডের প্রধান নগর বৈদ্যনাথ, দেবগড়, করা, সোণামাখী ইত্যাদি। বরাহভূমের প্রধান নগর রঘনাথপর, ধবল ইত্যাদি। বদ্ধমানের প্রধান নগর বদ্ধমান, নবদ্বীপ, মায়াপাের, কৃষ্ণনগর ইত্যাদি। বিন্ধ্যাপাশ্বের প্রধান নগর সদর্শন, পক্ষপগ্রাম ও বদরী কুড়ক গ্রাম। এই সকল দেশের আচার ব্যবহার ও চতুঃসীমা আছে। আমাদের যতদর মানচিত্র বোধ আছে, তাহাতে বোধ হয়, চতুঃসীমা অনেক ভজিবে না। গৌড়দেশের উত্তরে পদ্মাবতী ও দক্ষিণে বদ্ধমান। আসল গৌড়নগর ইহার মধ্যে পড়িল না। উইলসন সাহেব ঐ স্থলে আরও লিখিয়াছেন যে, রামায়ণের কিস্কিন্ধ্যাকান্ডে একচত্বারিংশং অধ্যায়ে দ্বাদশ শ্লোকে পশন্দ্র দাক্ষিণাত্যে স্থাপিত বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। ঐ শ্লোকটি আমরা উদ্ধত করিতেছি “নদীং গোদাবরীং চৈব সব্বমেবানােপশ্যতঃ। তথৈবাক্ষ্মাংশচ পীড়াংশচ চোলান পাশ্মদ্রাংশচ কেরলান ৷” \OC;