পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क्ञ् ब्रष्नाबळी মানসিক ও শারীরিক সখি। যদি আমাকে চক্ষা দিয়া থাকেন, তবে যাহা কিছ দেখিবার আছে, তাহা দেখিয়াই আমার চাক্ষষ সখি। চক্ষ পাইয়া যদি আমি চক্ষ চিরমাদ্রিত রাখিলাম—তবে চক্ষ সম্পবন্ধে আমি চিরদঃখী। যদি আমি কখনও কখনও বা কোন কোন বস্তুসম্পবন্ধে চক্ষ মাদ্রিত করিতে বাধ্য হইলাম-দশ্য বস্তু দেখিতে পাইলাম না-তবে আমি কিয়দংশে চক্ষ সম্পবন্ধে দঃখী । আমি বদ্ধিবত্তি পাইয়াছি-বিদ্ধির সাফাত্তিই আমার সােখ। যদি আমি বদ্ধির মাজনে ও স্বেচ্ছামত পরিচালনে চিরনিষিদ্ধ হই, তবে বদ্ধিসম্পবন্ধে আমি চিরদঃখী। যদি বদ্ধির পরিচালনে আমি কোন দিকে নিষিদ্ধ হই, তবে আমি সেই পরিমাণে বদ্ধিসম্পবন্ধে দঃখী। সমাজে থাকিলে আমি সকল দশ্য বস্তু দেখিতে পাই না-সকল দিকে বদ্ধি পরিচালনা করিতে পাই না। মনষ্যে কাটিয়া বিজ্ঞান শিখিতে পাই না-অথবা রাজপরীমধ্যে প্রবেশ করিয়া দিদীক্ষা পরিতৃপ্ত করিতে পারি না। এগলি সমাজের মঙ্গলকর হইলেও, সবানবতি তার নিষেধক বটে। অতএব এগলি সামাজিক নিত্যদঃখ । দারিদ্র্যের কথা পর্ক্সেবাই বলিয়াছি। অসামাজিক অবস্থায় কেহই দরিদ্র নহে-বনের ফলমল, বনের পশ, সকলেরই প্রাপ্য ; নদীর জল, বক্ষের ছায়া, সকলেরই ভোগ্য। আহাৰ্য্য, পেয়, আশ্রয়, শরীরধারণের জন্য যতটকু প্রয়োজনীয়, তাহার অধিক কেহ কামনা করে না, কেহ। আবশ্যকীয় বিবেচনা করে না, কেহ সংগ্রহ করে না। অতএব একের অপেক্ষা অন্যে ধনী নহে, একের অপেক্ষা অন্যে কাজে কাজেই দরিদ্র নহে। কাজে কাজেই অসামাজিক অবস্থা দারিদ্র্যাশন্য। झाष्ट्रभाष्टि काश्या: न उाड्या नभांडा मिठाया । नाटि नामांकाडात ত্য কুফল। সামাজিকতার এই এক জাতীয় ফল। যতদিন মনষ্যে সমাজবদ্ধ থাকিবে, ততদিন এ সকল ফল নিবাৰ্য্য নহে। কিন্তু আর কতকগালি সামাজিক দিল্লখ আছে, তাহা অনিত্য এবং নিবাৰ্য্য। এদেশে বলে, বিধবাগণ যে বিবাহ করিতে পারে না, ইহা সামাজিক কুপ্ৰথা, সামাজিক দঃখনৈসগিক নহে। সমাজের গতি ফিরিলেই এ দঃখ নিবারিত হইতে পারে। হিন্দসমাজ ভিন্ন অন্য সমাজে এ দঃখ নাই। সত্ৰীগণ যে সম্পত্তির অধিকারিণী হইতে পারে না, ইহা বিলাতী সমাজের একটি সামাজিক দঃখ; ব্যবস্থাপক সমাজের লেখনীনিগত এক ছত্রে ইহা নিবাৰ্য্য, অনেক সমাজে এ দঃখ নাই। ভারতবষীয়েরা যে সবদেশে উচ্চতর রাজকায্যে নিযক্ত হইতে পারে না, ইহা আর একটি নিবাৰ্য্য সামাজিক দঃখের উদাহরণ। যে সকল সামাজিক দঃখ নিত্য ও অনিবাৰ্য্য, তাহারও উচ্ছেদের জন্য মনষ্যে যত্নবান হইয়া থাকে। সামাজিক দরিদ্রতা নিবারণ জন্য যাহারা চেষ্টিত, ইউরোপে, সোশিয়ালিম্পট, কম্যনিন্ট প্রভৃতি নামে তাহারা খ্যাত। সবানবত্তিতার সঙ্গে সমাজের যে বিরোধ, তাহার লাঘব জন্য, মিল "Liberty’ নামক অপব্ব গ্রন্থ প্রচার করিয়াছেন-অনেকের কাছে এই গ্রন্থ দৈবপ্রসাদ বাক্যস্বরপ গণ্য। যাহা অনিবাষ্য, তাহার নিবারণ সম্ভবে না; কিন্তু অনিবায্য দঃখও মাত্রায় কমান যাইতে পারে। যে রোগ সাংঘাতিক, তাহারও চিকিৎসা আছে-যন্ত্রণা কমান যাইতে পারে। সতরাং যাঁহারা সামাজিক নিত্য দঃখ নিবারণের চেষ্টায় ব্যস্ত, তাঁহাদিগকে ব্যথা পরিশ্রমে রত মনে করা যাইতে পারে না। নিত্য এবং অপরিহায্য সামাজিক দঃখের উচ্ছেদ সম্ভবে না, কিন্তু অপর সামাজিক দঃখগলির উচ্ছেদ সম্ভব এবং মনষ্যেসাধ্য। সেই সকল দঃখ নিবারণ জন্য মনষ্যসমাজ সব্বদাই ব্যস্ত। মনষ্যের ইতিহাস সেই ব্যস্ততার ইতিহাস। বলা হইয়াছে, সামাজিক নিত্য দঃখসকল, সমাজ সংস্থাপনেরই অপরিহায্য ফল-সমাজ হইয়াছে বলিয়াই সেগালি হইয়াছে। কিন্তু অপর সামাজিক দঃখগলি কোথা হইতে আইসে ? সেগালি সমাজের অপরিহায্য ফল না হইয়াও কেন ঘটে? তাহার নিবারণ পক্ষে, এই প্রশেনর মীমাংসা নিতান্ত প্রয়োজনীয়। এগালি সামাজিক অত্যাচারজনিত। বোধ হয়, প্রথমে অত্যাচার কথাটি বাঝাইতে হইবেনহিলে অনেকে বলিতে পারবেন, সমাজের আবার অত্যাচার কি ? শক্তির অবিহিত প্রয়োগকে অত্যাচার বলি। দেখ, মাধ্যাকষাণাদি যে সকল নৈসগিক শক্তি, তাহা এক নিয়মে চলিতেছে, তাহার কখনও আধিক্য নাই, কখনও অলপতা নাই; বিধিবদ্ধ অনল্পগুঘনীয় নিয়মে তাহা চলিতেছে। কিন্তু যে সকল শক্তি মানষের হন্তে, তাহার এরপ স্থিরতা নাই। মনষ্যের হস্তে WS