পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिर्ताबष अवक-बाश्वव्ण ७ बाकाबव्ण ইহার কারণ দাইটি। বাহবিল অনেক পশগণের একমাত্র উদরপত্তির উপায়। দ্বিতীয় কারণ, পশগণ প্রযক্ত বাহবিলের বশীভুত বটে, কিন্তু প্রয়োগের পর্বে প্রয়োগ-সম্ভাবনা বঝিয়া উঠে না। এবং সমাজবদ্ধ নহে বলিয়া বাহ বলপ্রয়োগের প্রয়োজন নিবারণ করিতে পারে না। উপন্যাসে কথিত আছে যে, এক বনের পশ্যগণ, কোন সিংহ কর্তৃক বন্য পশগণ নিত্য হত। হইতেছে দেখিয়া, সিংহের সঙ্গে বন্দোবস্ত করিল যে, প্রত্যহ পশগণের উপর পীড়ন করিবার প্রয়োজন নাই—একটি একটি পশম প্রত্যহ তাঁহার আহার জন্য উপস্থিত হইবে। এস্থলে পশগণ সমাজানিবদ্ধ মনষ্যের ন্যায় আচরণ করিল,-সিংহকত্ত্বক বাহবিলের নিত্য প্রয়োগ নিবারণ করিল। মনষ্যে বদ্ধি দ্বারা বঝিতে পারে যে, কোন অবস্থায় বাহবিল প্রযক্ত হইবার সম্ভাবনা। এবং সামাজিক শঙ্খলের দ্বারা তাহার নিবারণ করিতে পারে। রাজা মাত্রই বাহবিলে রাজা, কিন্তু নিত্য বাহ বলপ্রয়োগের দ্বারা তাঁহাদিগকে প্রজাপীড়ন করিতে হয় না। প্ৰজাগণ দেখিতে পায় যে, এই এক লক্ষ সৈনিক পরিষ রাজার আজ্ঞাধীন; রাজাজ্ঞার বিরোধ তাহদের কেবল ধবংসের কারণ হইবে। অতএব প্রজা বাহবিল প্রয়োগ-সম্ভাবনা দেখিয়া, রাজাজ্ঞাবিরোধী হয় না। বাহবলও প্রযক্ত হয় না। অথচ বাহবিল প্রয়োগের যে উদ্দেশ্য, তাহা সিদ্ধ হয়। এ দিকে এই এক লক্ষ সৈন্য যে রাজার আজ্ঞাধীন, তাহারও কারণ প্রজার অর্থ অথবা অনগ্ৰহ। প্রজার অর্থ যে রাজার কোষগত বা প্রজার অনগ্ৰহ যে তাঁহার হস্তগত, সেটকু সামাজিক নিয়মের ফল। অতএব এস্থলে বাহবিল যে প্রযক্ত হইল না, তাহার মােখ্য কারণ মনষ্যের দরদস্টি, গৌণ दादू० अभाख्दयन् । আমরা এ প্রবন্ধে গৌণ কারণটি ছাড়িয়া দিলেও দিতে পারি। সামাজিক অত্যাচার যে যে বলে নিরাকৃত হয়, তাহার আলোচনায় আমরা প্রবত্ত। সমাজনিবদ্ধ না হইলে সামাজিক অত্যাচারের অস্তিত্ব নাই। সমাজবন্ধন সকল সামাজিক অবস্থার নিত্য কারণ। যাহা নিত্য কারণ, বিকৃতির কারণানসন্ধানে তাহা ছাড়িয়া দেওয়া যাইতে পারে। ইহা বঝিতে পারা গিয়াছে যে, এইরুপ করিলে আমাদিগের শাসনের জন্য বাহবিল প্রযক্ত হইবে-এই বিশ্বাসই বাহবিল প্রয়োগ নিবারণের মলে। কিন্তু মনষ্যের দরদটি সকল সময়ে সমান নহে-সকল সময়ে বাহবিল প্রয়োগের আশঙ্কা করে না। অনেক সময়েই যাঁহারা সমাজের মধ্যে তীক্ষািদলিট, তাঁহারাই বঝিতে পারেন যে, এই এই অবস্থায় বাহবিল প্রয়োগের সম্ভাবনা। তাঁহারা অন্যকে সেই অবস্থা বঝাইয়া দেন। লোকে তাহাকে বঝে। বঝে যে, যদি আমরা এই সময়ে কৰ্ত্তব্য সাধন না করি, তবে আমাদিগের উপর বাহ বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা। বঝে যে, বাহবিল প্রয়োগে কতকগলি অশােভ ফলের সম্ভাবনা। সেই সকল অশােভ ফল আশঙ্কা করিয়া যাহারা বিপরীত পথগামী, তাহারা গন্তব্য পথে গমন করে। অতএব যখন সমাজের এক ভাগ অপর ভাগকে পীড়িত করে, তখন সেই পীড়ন নিবারণের দাইটি উপায়। প্রথম, বাহবিল প্রয়োগ। যখন রাজা প্রজাকে উৎপীড়ন করিয়া সহজে নিরস্ত হয়েন না, তখন প্রজা বাহবিল প্রয়োগ করে। কখনও কখনও রাজাকে যদি কেহ বঝাইতে পারে যে, এইরপ উৎপীড়নে প্ৰজাগণ কর্তৃক বাহবিল প্রয়োগের আশঙ্কা, তবে রাজা অত্যাচার হইতে নিরস্ত হয়েন। ইংলন্ডের প্রথম চালােস যে প্ৰজাগণের বাহবিলে শাসিত হইয়াছিলেন, তাহা সকলে অবগত আছেন। তাঁহার পত্র দ্বিতীয় জেমস, বাহবিল প্রয়োগের উদ্যম দেখিয়াই দেশ পরিত্যাগ করিলেন। কিন্তু এরপ বাহবিল প্রয়োগের প্রয়োজন সচরাচর ঘটে না। বাহবিলের আশঙ্কাই যথেষ্ট। অসীম প্রতাপশালী ভারতীয় ইংরেজগণ যদি বাঝেন যে, কোন কায্যে প্ৰজাগণ অসন্তুষ্ট হইবে, তবে সে কায্যে হস্তক্ষেপ করেন না। ১৮৫৭ ৷৷ ৫৮ সালে দেখা গিয়াছে, ভারতীয় প্ৰজাগণ বাহবিলে তাঁহাদিগের সমকক্ষ নহে। তথাপি প্রজার সঙ্গে বাহবিলের পরীক্ষা সখদায়ক নহে। অতএব তাঁহারা বাহােবল প্রয়োগের আশঙ্কা দেখিলে বাঞ্ছিত পথে গতি दक का । অতএব কেবল ভাবী ফল বঝাইতে পারিলেই, বিনা প্রয়োগে বাহবিলের কায্য সিদ্ধ হয়। এই প্রবত্তি বা নিবত্তিদায়িনী শক্তি আর একটি দ্বিতীয় বল। কথায় বাবাইতে হয়। এই জন্য आधि छेश6क बाकJववा •ाभ लिन्नाछ। এই বাক্যবল অতিশয় আদরণীয় পদার্থ। বাহাবল মনষ্যসিংহার প্রভৃতি বিবিধ অনিস্ট ○や 。