পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिबिथ अवक-अनवाश कि ? মধ্যে গণ্য করা দরে থাকুক, জীবনোদ্দেশ্যের প্রধান বিঘা বলিয়া ভাবিয়া থাকেন। যে রাজ্যসম্পদকে অপর লোকে জীবনসফলকর বিবেচনা করে, শাক্যসিংহ তাহা বিঘাকার বলিয়া প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন। ভারতবর্ষে বা ইউরোপে এমন অনেকেই মনিবাত্ত জন্মিয়াছেন যে, তাঁহারা বাহ্য সম্পদকে ঐরাপ ঘণা করিয়াছেন। ইহারা প্রকৃত পথ অবলম্বন করিয়াছিলেন, এমত কথা বলিতে পারিতেছি না। শাক্যসিংহ শিখাইলেন যে, ঐহিক ব্যাপারে চিত্তনিবেশ মাত্র অনিলন্টপ্ৰদ, মনষ্যে সব্বত্যাগী হইয়া নিৰ্ম্মবাণাকাঙক্ষী হউক। ভারতে এই শিক্ষার ফল বিষময় হইয়াছে। এইরূপ আরও অনেকানেক মনিবত্ত মহাপরিষ মনষ্যেজীবনের উদ্দেশ্য সম্পবন্ধে ভ্ৰান্ত হওয়াতে, ঐহিক সম্পদে অনন্যরক্ত হইয়াও, সমাজের ইন্টসাধনে বিশেষ কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। সামান্যতঃ সন্ন্যাসী প্রভৃতি সব্বদেশীয় বৈরাগীসম্প্রদায় সকলকে উদাহরণ সবরপ নিন্দিািলট করিলেই, একথা যথেস্ট প্রমাণীকৃত হইবে। স্থল কথা এই যে, ধনসম্প্রচয়াদির ন্যায় সখশােনা, শম্ভফলশন্য, মহত্ত্বশান্য ব্যাপার প্রয়োজনীয় হইলেও কখনই মনষ্যেজীবনের উদ্দেশ্য বলিয়া গহীত হইতে পারে না। এ জীবন ভবিষ্যৎ পারলৌকিক জীবনের জন্য পরীক্ষা মাত্র-পথিবী সবগলাভের জন্য কৰ্ম্মমভূমি মাত্রএ কথা যদি যথার্থ হয়, তবে পরলোকে সখিপ্রদ কায্যের অনষ্ঠানই জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বটে। কিন্তু প্রথমতঃ সেই সকল কাৰ্য্য কি, তদ্বিষয়ে মতভেদ, নিশ্চয়তার একেবারে উপায়াভােব; দ্বিতীয়তঃ, পরলোকের অস্তিত্বেরই প্রমাণাভাব। তৃতীয়তঃ, পরলোক থাকিলে, এবং ইহলোক পরীক্ষাভূমিমাত্র হইলেও ঐহিক এবং পারিত্রিক শাভের মধ্যে ভিন্নতা হইবার কোন কারণ দেখা যায় না। যদি পরলোক থাকে, তবে যে ব্যবহারে পরলোকে শােভ নিম্পত্তির সম্ভাবনা, সেই কায্যেই ইহলোকেও শােভ নিম্পত্তির সম্ভাবনা কেন নহে, তাহার যথার্থ হেতুনিন্দেশ এ পৰ্যন্ত কেহ করিতে পারে নাই। ধৰ্ম্মাচরণ যদি মঙ্গলপ্রদ হয়, তবে যে উহা কেবল পরলোকে মঙ্গলপ্রদ, ইহলোকে মঙ্গলপ্রদ নহে, এ কথা কিসে সপ্রমাণীকৃত হইতেছে ? ঈশ্বর সবগে বসিয়া কাজির মত বিচার করিতেছেন, পাপীকে নরককুন্ডে ফেলিয়া দিতেছেন, পণ্যাত্মাকে সবগে পাঠাইয়া দিতেছেন, এ সকল প্রাচীন মনোরঞ্জন উপন্যাসকে প্রমাণ বলিয়া গ্ৰহণ করা যাইতে পারে না। যাঁহারা বলেন যে, ইহলোকে অধ্যামিকের শভ, এবং ধাম্পিমাকের অশােভ দেখা গিয়া থাকে, তাঁহাদিগের চক্ষে কেবল ধনসম্পদাদিই শাভ। তাঁহাদিগের বিচার এই মািল ভ্ৰান্তিতে দাষিত। যদি পণ্যকৰ্ম্ম পরকালে শািভপ্রদ হয়, তবে ইহলোকেও পণ্যকৰ্ম্মম: শািভপ্ৰদ। কিন্তু বাস্তবিক কেবল পণ্যকৰ্ম্ম কি পরলোকে, কি ইহলোকে শভপ্ৰদ হইতে পারে না। যে প্রকার মনোবাত্তির ফল পণ্যকৰ্ম্মম , তাহাই উভয় লোকে শািভপ্ৰদ হওয়াই সম্ভব। কেহ যদি কেবল ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের তাড়নার বশীভূত হইয়া, অথবা যশোর লালসায় অপ্ৰসন্নচিত্তে দভিক্ষনিবারণের জন্য লক্ষ মাদ্রা দান করে, তবে তাহার পারলৌকিক মঙ্গলসঞ্চয় হইল কি? দান পণ্যকৰ্ম্মম বটে, কিন্তু এরােপ দানে পরলোকের কোন উপকার BBS DBD DBDB BDB BD DBDD BB BBBDBB DBDD DDBDB BDD DDSDD DB করিতে পারিল না বলিয়া কাতর, সে ইহলোকে, এবং পরলোক থাকিলে পরলোকে, সখী ३९32ा नष्ठव } অতএব মনোবাত্তিসকল যে অবস্থায় পরিণত হইলে পণ্যকৰ্ম্ম তাহার স্বাভাবিক ফলস্বরাপ সম্ভবতঃ নিম্পাদিত হইতে থাকে, পরলোক থাকিলে তাহাই পরলোকে শাভদায়ক বলিলে কথা গ্রাহ্য করা যাইতে পারে। পরলোক থাকুক বা না থাকুক, ইহলোকে তাহাই মনীষাজীবনের উদ্দেশ্য বটে। কিন্তু কেবল তাহাই মনষ্যেজীবনের উদ্দেশ্য হইতে পারে না। যেমন কতকগলি মানসিক বত্তির চেষ্টা কলম, এবং যেমন সে সকলগলি সম্যক মাতিজািত ও উন্নত হইলে, উদ্দেশ্য কোন প্রকার কায্য নহে--জ্ঞানই তাহাদিগের ক্রিয়া। কাৰ্য্যকারিণী ব্যক্তিগলির অনশীলন যেমন মানবজীবনের উদ্দেশ্য, জ্ঞানাতজনী ব্যক্তিগলিরও সেইরূপে অনশীলন জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। বস্তুতঃ সকল প্রকার মানসিক ব্যক্তির সম্যক অনশীলন, সম্পণে সাফাত্তি ও যথোচিত উন্নতি ও বিশন্ধিই মনষ্যেজীবনের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যমাত্র অবলম্বন করিয়া, সম্পদাদিতে উপযক্ত ঘণিা দেখাইয়া, জীবন নিৰবাহ করিয়াছেন, এরােপ মনষ্য কেহ জন্মগ্রহণ করেন নাই, এমত নহে। তাঁহাদিগের সংখ্যা অতি 96.