পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* , Voip 'ब्राकृ.6न8 म।”। . ་་་་་་་་་་་་་་་་, “যে না খেতে পায়, তার বেটার বিয়েটা কি ভাল ?” LLLLSLLLLLSLLLSLSLSLLSLSSLLLSSLSLSL margo পেটে দটি চারিটি হবে-তাদেরও আহার চাই। এখনই কুলায় না-আবার বিয়ে ?” রামধন চাটিল। বলিল, “বেটার বিয়ে কে না দেয় ? যে খেতে পায়, সেও দেয়, যে না খেতে রামধন বলিল, “জগৎ শব্দ্ধ এই হাতেছে।” আমি বলিলাম, “জগৎ শব্দ্ধ নয়। রামধন, কেবল এই দেশে। এমন নিবোধ জাতি আর কোন দেশে নাই।” মন উত্তর করুল, “দেশশদ্ধ লোক যখন করিতেছে, তখন আমাতেই কি এত দোষ יי ק এমন নিবোধকে কিরাপে বক্সাইব ? বলিলাম, “রামধন!! দেশশদ্ধ লোক যদি গলায় দাঁড় दलश, छूभe कि लिव?” রামধন চোচাইতে আরম্ভ করিল, “তুমি কি বল মশাই ? গলায় দাঁড়ি আর বেটার বিয়ে び不G類I エ?” আমিও রাগিলাম, বলিলাম, “সমান কে বলে রামধন!! এরপ বেটার বিয়ে দেওয়ার চেয়ে গলায় দড়ি দেওয়া অনেক ভাল। আপনার গলায় না পাের, ছেলের গলায় দিও।” এই বলিয়া আমি ঢেকি হইতে উঠিয়া আসিলাম। ঘরে আসিয়া রাগ পড়িয়া গেলে ভাবিয়া দেখিলাম, গরিব রামধনের অপরাধ কি ? বাঙ্গালা শব্দ্ধ এইরূপ রামধনে পরিপািণ। এ ত গরিব পোদের ছেলে-বিদ্যা বদ্ধির কোন এলাকা রাখে না। যাঁহারা কৃতবিদ্য বলিয়া আপনাদের পরিচয় দেন, তাঁহারাও ঘোরতর রামধন্য। ঘরে খাবার থাক বা না থাক-আগে ছেলের বিয়ে। শােধ ভাতে ডালের ছিটা দিয়া খাইয়া সাত গোষ্ঠী পোড়া কাঠের আকার-জবর প্লীহায় ব্যতিব্যস্ত-তব সেই কাদন্ন খাইবার জন্য—সেই অনাহারের ভাগ লইবার জন্য—সে জবর প্লীহার সাথী হইবার জন্য টাকা খরচ করিয়া পরের মেয়ে আনিতে হইবে! মনষ্যেজন্মে। তাহাই তাঁহাদের সখ। যে বাঙ্গালী হইয়া ছেলের বিয়ে না দিতে পারিল, তাহার বাঙ্গালীজন্মই ব্যথা। কিন্তু ছেলের বিয়ে দিলে, ছেলে বেচার বউকে খাওয়াইতে পরিবে কি না, সেটা ভাবিবার কোন প্রয়োজন আছে, এমত বিবেচনা করেন না। এ দিকে ছেলে ইস্কুল ছাড়িতে না ছাড়িতে একটি ক্ষদ্র পলটনের ব্যাপ-রশিদের যোগাড়ে বাপ পিতামহ অস্থির। গরিব বিবাহিত তখন স্কুল ছাড়িয়া পথি পাঁজি টানিয়া ফেলিয়া দিয়া উমেদওয়ারিতে প্ৰাণ সমপণ করিল। যোড় হাত করিয়া ইংরেজের দ্বারে দ্বারে হা। চাকরি! হা চাকরি! করিয়া কাতর। হয়ত সে ছেলে একটা মানষের মত মানষি হইতে পারিত। হয়ত সে সময়ে আপনার পথ চিনিয়া জীবনক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে পারিলে, জীবন সার্থক করিতে পারিত। কিন্তু পথ চিনিবার আগেই সে সকল ভরসা। ফরাইল, উমেদওয়ারির যন্ত্রণায় আর চাকরির পোষণে-সংসারধর্মের জবালায়-অন্তর ও শরীর বিকল হইয়া উঠিল। বিবাহ হইয়াছে-ছেলে হইয়াছে, আর পথ খাঁজিবার অবসর নাই-এখন সেই একমাত্র পথ খোলা-উমেদওয়ারি। আর লোকের উপকার করিবার কোন সম্ভাবনা নাইকেন না, আপনার সত্ৰীকন্যা পত্রের উপকার করিতে কুলায় না।--তাহারা রাত্ৰিদিন দেহি দেহি করিতেছে। আর দেশের হিতসাধনের ক্ষমতা নাই, সত্ৰীপত্রের হিতের জন্য সব্বস্ব পণ! লেখাপড়া, ধৰ্ম্মম চিন্তা-এ সকলের সঙ্গে আর সমন্বন্ধ নাই-ছেলের কান্না থামাইতেই দিন যায়। যে টাকাটা পেট্রিয়টিক আসোসিয়েশ্যনে চাঁদা দিতে পারিত, ছেলে এখন তাহাতে বধঠাকুরাণীর বালা গড়াইয়া দিল। অথচ বাঙ্গালার রামধনের শৈশবে ছেলের বিবাহ দিতে না পারিলে মনে করেন, ছেলেরও সৰুবনাশ-নিজেরও সৰুবনাশ করিলেন। ছেলে থাকিলেই তাহার বিবাহ দিতেই হইবে, মনকেষ্যমাত্রকেই বিবাহ করিতে হইবে, আর বাপ মারি প্রধান কাৰ্য্য-শৈশবে ছেলের বিবাহ দেওয়া -এরীপ ভয়ানক ভ্রম যে দেশে সব্বব্যাপী, সে দেশের মঙ্গল কোথায় ? ষে দেশে বাপ মা, ছেলে সাঁতার শিখিতে না শিখিতে বাধােরােপ পাথর গলায় বধিয়া দিয়া, ছেলেকে এই দস্তর সংসারসম্যুদ্রে ফেলিয়া দেয়, সে দেশের উন্নতি হইবে ? w©bታ0