পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী শস্ত্রাঘােতাদির দ্বারা রাজস্ব আদায় করে। তাহারা তজজন্য প্রজাবিধ পৰ্যন্ত করিত। এক দিকে BBBDSYSiBDB BBD DBDB DDDDS DBDDBBBS SBDS DDBBBD DDBBD DDBDS DDBDBDS প্রাণবধ! পঞ্চদশ লাইর রাজ্যকালে ফ্রান্সদেশে এইরপ গারতের বৈষম্য। এই বৈষম্য কদৰ্য্য, অপরিশদ্ধ রাজশাসনপ্রণালীজনিত। রসোর গারতের প্রহারে সেই রাজ্য ও রাজশাসনপ্রণালী ভগ্নমাল হইল। তাঁহার মানস শিষ্যেরা তাহা চণীকৃত করিল। শাক্যসিংহ এবং যীশাখীস্ট পবিত্র সত্য কথা জগতে প্রচার করিয়াছিলেন। এজন্য মনষ্যলোকে তাঁহারা যে দেবতা বলিয়া পজিত, ইহা যথাযোগ্য। রসো তাঁহাদের সমকক্ষ ব্যক্তি নহেন। অবিমিশ্র বিমল সত্যই যে তাহা কৰ্ত্তক ভূমন্ডলে প্রচারিত হইয়াছিল, এমত নহে। তিনি মহিমাময় লোকহিতকর নৈতিক সত্যের সহিত অনিস্টকারক মিথ্যা মিশাইয়া, সেই মিশ্র পদার্থকে আপনার অদ্ভুত বাগিন্দ্রজালের গণে লোকবিমোহিনী শক্তি দিয়া, ফরাসীদিগের হৃদয়াধিকারে প্রেরণা করিয়াছিলেন। একে কথাগালি কালোপযোগিনী, তাহাতে রসো বাকশক্তিতে যথাৰ্থ ঐন্দ্রজালিক, তাঁহার প্রেরিত সৎকথানসারিণী ভ্ৰান্তিও ফরাসীদিগের জীবনযাত্রার একমাত্র বীজমন্ত্র বলিয়া গহীত হইল। সকল ফরাসী তাঁহার মানস শিষ্য হইল। তাহারা সেই শিক্ষার গণে ফরাসীবিপ্লব উপস্থিত করিল। রসোরও মল কথা, সাম্য প্রাকৃতিক নিয়ম। সবাভাবিক অবস্থায় সকল মনষ্যে সমান। সভ্যতার ফলে বৈষম্য জন্মে, কিন্তু বৈষম্য জন্মে বলিয়া, রসো সভ্যতাকে মনষ্যেজাতির গরতের অমঙ্গল বিবেচনা করেন। তিনি ইহাও স্বীকার করেন যে, মনষ্যে মনষ্যে নৈসগিক বৈষম্য দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু সেও সভ্যতার দোষে-সভ্যতাজনিত ভোগাসক্তি পাপান রক্তি এবং সক্ষমাসক্ষেম বিচারের ফল। অসভ্যাবস্থায় সকল মনষ্যের সমভাবে শারীরিক পরিশ্রমের আবশ্যক হয়; এজন্য সকলেরই সমভাবে শরীরপন্টি হয়; নীরোগ শরীরের ফল নীরোগ মন। যখন মনকেষ্যগণ বন্যাবস্থায়, কাননে কাননে মািগয়া করিয়া বেড়াইত, বক্ষেতলে বােক্ষতলে নিদ্রা যাইত— অলপমাত্র ভাষাশক্তিসম্পন্ন, এজন্য বাগৈবদগ্ধ্য জানিত না ; যে আকাঙক্ষার নিবত্তি নাই, যে লোভের তৃপ্তি নাই, যে বাসনার পরিণ নাই, তাহার কিছই জানিত না; ইহাকে ভালবাসিব, উহাকে বাসিব না; এ আপন, ও পর, এ স্ত্রী, ও পরস্ত্রী, এ সকল বঝিত না-সেই অবস্থাকে সবগীয় সখি মনে করিয়া, মনষ্যেজাতিকে ডাকিয়া বলিয়াছেন, “এই অপব্ব চিত্র দেখ! ইহার সহিত এখনকার দঃখপণ, পাপপণ্য সভ্যাবস্থার তুলনা কর!” যেই মনষ্যজন্ম গ্রহণ করে, সেই মনষ্যেমাত্রের সমান—নৈসগিক প্রকৃতিতে সমান, এবং সম্পত্তির অধিকারিত্বেও সমান। এই পথিবীর ভূমিতে রাজার যে প্রাকৃতিক অধিকার, ভিক্ষকেরও সেই অধিকার। ভূমি সকলেরই-কাহারও নিজস্ব নহে। যখন বলবানে দািব্বলকে অধিকারচু্যত করিতে লাগিল, তখনই সমাজ সংস্থাপনের আরম্ভ হইল। সেই অপহরণের छाशझवक्षाटनद्ध नाभ। जाईन्। N যে ব্যক্তি সৰ্ব্ববাদেী, কোন ভূমিখণ্ডড চিহ্নিত করিয়া বলিয়াছিল, “ইহা আমার,” সেই সমাজকত্তা। যদি কেহ তাহাকে উঠাইয়া দিয়া বলিত, “এ ব্যক্তি বণাঞ্চক, তোমরা উহার কথা শনিও না, বসন্ধরা কাহারও নহেন; তৎপ্রসন্ত শস্য সকলেরই।” সে মানবজাতির অশেষ উপকার কারিত। রসোর এই সকল কথা অতি ভয়ানক। বলটের শনিয়া বলিয়াছিলেন, এ সকল বদমায়েসের দর্শনশাস্ত্র। এই সকল কথার অন্যবিত্তীর্ণ হইয়া রসোর মানস শিষ্য প্রধোঁ বলিয়াছেন যে, অপহরণেরই নাম সম্পত্তি। জগদ্বিখ্যাত Le Contrat Social নামক গ্রন্থে রসো এই সকল মতের কিঞ্চিৎ পরিবত্তন করিয়াছিলেন। সভ্যাবস্থার তােদশ দোষকীত্তনে ক্ষান্ত হইয়াছিলেন। বলিয়াছিলেন যে, অসভ্যাবস্থায় যেখানে সহজ জ্ঞানে ধৰ্ম্ম নিণীত হয়, সভাবস্থায় তৎপরিবত্তে ন্যায়ান ভাবিকতা সন্নিবেশিত হয়। সম্পত্তি সম্বন্ধে তিনি প্রথমাধিকারীকে অধিকারী বলিয়া সম্বীকার করেন। কিন্তু অবস্থাবিশেষে মাত্ৰ-প্ৰথম, যদি ভূমি পাবে অধিকৃত না হইয়া থাকে; দ্বিতীয়, অধিকারী যদি আত্মভরণপোষণের উপযোগী মাত্র ভূমি অধিকার করে, তাহার অধিক না লয়, তৃতীয়, যদি নামমাত্র দখল না লইয়া, কষণাদির দ্বারা দখল লওয়া হয়, তবে অধিকৃত ভূমি অধিকারীর সম্পত্তি। የ© bዖ\ኃ