পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী ষে যাহার যোগ্য, তাহাতে তাহাকে নিষিক্ত করিবার জন্য, যে প্রকারে পরিস্কৃত হইবে তাহা নিরাপণ এবং সব্বপ্রকার তত্ত্বাবধারণ জন্য কতকগালিন কর্তৃপক্ষ থাকিবেন। ভূমি ও ধনোৎপাদক সামগ্ৰী সকল সাধারণের। ইত্যাদি। ফরীরিজম আর এক প্রকার সাধারণ সম্পত্তির পক্ষতা। কিন্তু এ সম্প্রদায়ের এমন মত নহে যে, ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি থাকিতে পারিবে না। সম্পত্তির বৈশেষিকতা, এবং উত্তরাধিকারিতাও ইহাদের অন্যমত। ইহারা বলেন যে, দাই সহস্র বা তদুপ সংখ্যক লোক একতন্ত্র হইয়া ধনোৎপাদন করবে। এইরপ পথিক পথক সম্প্রদায়ের দ্বারা ধনোৎপত্তি হইতে থাকিবে। তাহারা আপনাদিগের কর্তৃপক্ষ আপনারা মনোনীত করবে। মলধনের পার্থক্য থাকিবে। উৎপন্ন ধনের মধ্য হইতে প্ৰথমে কিয়দংশ সমভাবে সকলকে বিতরিত হইবে। যে শ্রমে অপারগ, সেও তাহা পাইবে। যাহা অবশিষ্ট থাকিবে, শ্রমকারী, মলধনাধিকারী, এবং কম্পমনিপণদিগের মধ্যে কোন নিয়মিত পরিমাণে তাহা বিভক্ত হইবে। যে যেমন গণবান, সে তদািপবক্ত পাইবে। ভুসম্পপত্তির উত্তরাধিকারিত্ব সম্পবন্ধে মত মহাত্মা জন স্টিয়ার্ট মিল যাহা বলিয়াছেন, তাহারও উল্লেখ করা আবশ্যক, কেন না, তাহাও সাম্যতত্ত্বের অন্তর্গত। যিনি উপাত্তজনকৰ্ত্তা, উপাডিজত সম্পত্তিতে তাঁহার যে সম্পণে অধিকার, ইহা মিল স্বীকার করেন। যে যাহা আপন পরিশ্রমে বা গণে উপাত্তজনা করিয়াছে, তাহা অপৰ্য্যাপ্ত হইলেও তাহার যাবজীবন ভোগ্য এবং তাহার জীবনান্তেও যাহাকে ইচ্ছা, তাহাকে দিয়া যাইবার তাহার অধিকার আছে। কিন্তু যদি আপন জীবনান্তে সে কাহাকেও না দিয়া যায়, তবে তাহার ত্যক্ত সম্পত্তি একা ভোগ করিবার অধিকার কাহারও নাই। রাম যে সমপত্তি উপাজন করিয়াছে, তাহাতে দশ সহস্ৰ লোক প্রতিপালিত হইতে পারে; কিন্তু রাম উপাত্তজন করিয়াছে বলিয়া সে নয় সহস্ৰ নয়। শত নিরানব্বই জনকে বশ্চিত করিয়া, একা ভোগের অধিকারী বটে। জীবনান্তে স্বেচ্ছাক্রমে আপনার পত্রিকে বা অপরকে তাহাতে সর্বত্ববান করিবারও তাহার অধিকার আছে। কিন্তু সে যদি কাহাকেও দিয়া না গেল, তবে কেবল ব্যবস্থার বলে, তাহার পত্রও কেন একা অধিকারী হয় ? অধিকার উপাতজনিকত্তার, তাহার পত্রের নহে। যেখানে অধিকারী বলিয়া যায় নাই যে, আমার পত্র সকল ভোগ করিবে, সেখানে পত্র অধিকারী নহে, সামাজিক লোক সকলেই সমান ভাবে অধিকারী। তবে পিতা পত্রিকে এই দঃখময় সংসারে আনিয়াছেন, এজন্য যাহাতে সে কম্পট না পায়, সশিক্ষিত হইয়া, অভাবাপন্ন না হইয়া, যাহাতে সে সখে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্ববাহ করিতে পারে, পিতার এরপে উপায় করিয়া যাওয়া কৰ্ত্তব্য। পিতৃসম্পত্তির যে অংশ রাখিলে এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়, পত্রের তাহা বিনা দানেও প্রাপ্য। কিন্তু তদাধিক এক কড়াও তাহার প্রাপ্য নহে। মিল বলেন, জারজ পত্রের অপেক্ষা অন্য পত্রের কিছমাত্র অধিকার নাই,-উভয়েই কেবল আত্মরক্ষার উপায়ের অধিকারী। কিন্তু এরােপ যাহা কিছ অধিকার, তাহা সন্তানের। পত্রের অবত্তমানে জ্ঞাতি প্রভৃতি মতের সব্ব সম্পত্তিতে একাধিকারী হওয়ার কিছমাত্র ন্যায়সঙ্গত কারণ নাই। যাহার সন্তান আছে, তাহার ত্যক্ত সম্পত্তি হইতে সন্তানের আবশ্যকীয় ধন রাখিয়া, অবশিস্ট জনসাধারণের অধিকার হওয়া কৰ্ত্তব্য। যাহার সন্তান নাই, তাহার সমদায় সম্পত্তিতেই জনসাধারণের অধিকার হওয়া কৰ্ত্তব্য। বাস্তবিক উত্তরাধিকারিত্বসম্পবন্ধে ন্যায়ানা যায়ী ব্যবস্থা পথিবীর কোন রাজ্যে এ পয্যন্ত হয় নাই। বিলাতী ব্যবস্থার অপেক্ষা, আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্র কিছ ভাল; হিন্দধৰ্ম্মশাস্ত্র অপেক্ষা সারা আরও ভাল। কিন্তু সকলই অন্যায়পণ। এক্ষণে এ সকল কথা অধিকাংশের অগ্রাহ্য, এবং মাখের নিকট হাস্যের কারণ। কিন্তু একদিন এইরূপ বিধি পথিবীর সব্বত্ৰ চলিবে। সাম্যতত্ত্বের শেষাংশও এই চিরস্মরণীয় মহাত্মার প্রচারিত। সন্ত্রী পরিষে সমান। এক্ষণে সশিক্ষায়, বিজ্ঞানে, রাজকায্যে, বিবিধ ব্যবসায়ে একা পরিষেই অধিকারী-স্ত্রীলোক অনধিকারিণী থাকিবে কেন ? মিল বলেন, নারীজাতিও এ সকলের অধিকারী। তাহারা যে পরিবে না, উপযক্ত নহে, এ সকল চিরপ্রচলিত লৌকিক ভ্ৰান্তি মাত্র। মিলের এ মত ইউরোপে গ্রাহ্য হইয়া, ফলে পরিণত হইতেছে। আমাদিগের দেশে এ সকল কথা প্রচারিত হইবার এখনও অনেক বিলম্ব আছে। সাম্যতত্ত্বসম্পবন্ধে সম্বর কথা পানন্দবার উক্ত করিতে হইল। মনষ্যে মনষ্যে সমান। কিন্তু এ €)ህ'ኳ;