পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बश्क ब्रष्नाबव्ी করিবে না। অতএব যে দেশের লোক অভাবশনা, নিজ শ্রমোৎপন্ন সামগ্রীতে সন্তুষ্ট, সে দেশে বণিক দিগের শ্ৰীহানি অবশ্য হইবে। কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন যে, তবে কি ভারতবর্ষে DDBD DB BB D DB DDDS DDDS BDBD DBBB BDBB BD DBB DDDBB বহধনের আকরসবেরােপ দেশে যেরপ বাণিজ্যবাহল্য হওয়ার সম্ভাবনা ছিল,-অতি প্রাচীন কালেই যে সম্ভাবনা ছিল, তাহারী কিছই হয় নাই। বাণিজ্যহানির অন্যান্য কারণও ছিল, যথা— ধৰ্ম্মশাস্ত্রে প্রতিবন্ধকতা, সমাজের অভ্যন্ত অনুৎসাহ ইত্যাদি। এ প্রবন্ধে সে সকলের উল্লেখের অবশ্যক নাহি । (খ) ক্ষত্ৰিয়েরা রাজা বা রাজপরিষ। যদি পথিবীর পরাবত্তে কোন কথা নিশ্চিত প্ৰতিপন্ন হইয়া থাকে, তবে সে কথাটি এই যে, সাধারণ প্ৰজা সতেজ এবং রাজনিয়ন্তা না হইলে, রাজপরিষদিগের সর্বভাবের উন্নতি হয় না, অবনতি হয়। যদি কেহ কিছ না বলে, রাজপরিষেরা সহজেই স্বেচ্ছাচারী হয়েন। স্বেচ্ছাচারী হইলেই, আত্মসখরত, কায্যে শিথিল, এবং দস্ক্রিয়ান্বিত হইতে হয়। অতএব যে দেশের প্রজা নিস্তেজ, নাম, অনৎসাহী, অলস, সেইখানেই রাজপরিষদিগের ঐরােপ স্বভাবগত অবনতি হইবে। যেখানে প্ৰজা দঃখী, অন্নবস্ত্রের কাঙ্গাল, আহারোপাজনে ব্যস্ত, এবং সন্তুষ্পটসবভাব, সেইখানেই তাহারা নিস্তেজ, নাম, অনৎসাহী, অবিরোধী। ভারতবষে বৈষম্যপীড়িত হীন বণ্যেরা তাই। সেই জন্য ভারতবষের রাজগণ, মহাভারতকীৰ্ত্তিত বলশালী, ধৰ্ম্মিমন্ঠ, ইন্দ্ৰিয়জয়ী রাজচরিত্র হইতে মধ্যকালের কাব্যনাটকাদি চিত্রিত বলহীন, ইন্দ্ৰিয়াপরবশ, স্ত্রৈণ, অকম্পমােঠ দশাপ্রাপ্ত হইয়া শেষে মসলমান-হস্তে লিপ্ত হইলেন। যে দেশে সাধারণ প্রজার অবস্থা ভাল, সে দেশে রাজপরিষদিগের এরােপ দগতি ঘটে না। তাহারা রাজার দম্পমতি দেখিলে তাঁহার প্রতি রন্ট হইতে পারে, এবং হইয়া থাকে। পরস্পরের উপরোধেই উভয় পক্ষের উন্নতি। রাজপরিষগণ অনৰ্থক অসন্তোষের ভয়ে সতক থাকেন। কিন্তু ইহাতে কেবল যে এই উপকার, ইহা নহে। রাজকায্যের অপক্ষপাতী সমালোচনায় মানসিক গণসকলের সন্টি এবং পন্টি হয়। তদভাবে তৎসমদায়ের লোপ। শদ্রের দাসত্বে ক্ষত্ৰিয়ের ধন এবং ধমের লোপ হইয়াছিল। রোমে, প্লিবিয়ানদিগের বিবাদে, ইংলন্ডের কমন দিগের বিবাদে প্ৰভুদিগের স্বাভাবিক উৎকর্ষ জন্মিয়াছিল। (গ) ব্রাহ্মণ। যেমন, অধঃশ্রেণীর প্রজার অবনতিতে ক্ষত্ৰিয়দিগের প্রভুত্ব বাড়িয়া, পরিশেষে লপ্ত হইয়াছিল, ব্রাহ্মণদিগেরও তদুপ। অপর তিন বর্ণের অনান্নতিতে বর্ণগত ঘোরতর বৈষম্যে ব্রাহ্মণের প্রথমে প্ৰভুত্ব বদ্ধি হয়। অপর বণের মানসিক শক্তির হানি হওয়াতে, তাহাদিগের চিত্ত উপধমের বিশেষ বশীভুত হইতে লাগিল। দৌকবল্য থাকিলেই ভয়াধিক্য হয়। উপধৰ্ম্ম ভীতিজাত; এই সংসার বলশালী অথচ অনিষ্টকারক দেবতাপািণ, এই বিশ্বাসই উপধৰ্ম্ম । অতএব অপর বণাক্ৰয়, মানসিক শক্তিবিহীন হওয়াতে অধিকতর উপধৰ্ম্মম পীড়িত হইল; ব্ৰাহ্মণের উপধমের যাজক, সতরাং তাঁহাদের প্রভুত্ব বদ্ধি হইল। বৈষম্য বদ্ধি হইল। লাগিলেন। মক্ষিকাগণ জড়াইয়া পড়িল-নড়িবার শক্তি নাই। কিন্তু তথাপি উৰ্ণনাভের জাল ফরায় না। বিধানের অন্ত নাই। এদিকে রাজশাসনপ্রণালী দন্ডবিধি দায় সন্ধিবিগ্রহ প্রভৃতি হইতে আচমন, শয়ন, বসন, গমন, কথোপকথন, হাস্য, রোদন, এই সকল পয্যন্ত ব্ৰাহ্মণের রচিত বিধির দ্বারা নিয়মিত হইতে লাগিল। “আমরা যেরপে বলি, সেইরাপে শইবে, সেইরাপে খাইবে, সেইরাপে বসিবে, সেইরাপে হাঁটিবে, সেইরাপে কথা কহিবে, সেইরাপে হাসিবে, সেইরাপে প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়া, আমাদিগকে দক্ষিণা দিও।” জালের এইরূপ সত্ৰ। কিন্তু পরকে ভ্ৰান্ত করিতে গেলে আপনিও ভ্ৰান্ত হইতে হয় ; কেন না, ভ্ৰান্তির আলোচনায় ভ্ৰান্তি অভ্যস্ত হয়। যাহা পরকে বিশ্বাস করাইতে চাহি, তাহাতে নিজের বিশ্বাস দেখাইতে হয়; বিশ্বাস দেখাইতে দেখাইতে যথাৰ্থ বিশ্বাস ঘটিয়া উঠে। যে জালে ব্রাহ্মণেরা ভারতবর্ষকে জড়াইলেন, তাহাতে আপনারাও জড়িত হইলেন। পৌরাবত্তিক প্রমাণে প্ৰতিপন্ন হইয়াছে যে, মানষের স্বেচ্ছানবৰ্ত্তিতার প্রয়োজনীতিরিক্ত রোধ করিলে, সমাজের অবনতি হয়। হিন্দসমাজের অবনতির অন্য যত কারণ নিন্দেশ করিয়াছি, তন্মধ্যে এইটি বোধ হয় প্রধান, অদ্যাপি জাজবল্যমান। ইহাতে রদ্ধ এবং রোধকারী সমান ফলভোগী। নিয়মজালে জড়িত হওয়াতে ব্ৰাহ্মণদিগের বদ্ধি সাফাত্তিলগুপ্ত হইল। যে \OS)