পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম রচনাবলী বশবত্তীৰ্ণ নহে। এখানে যেমন দরিদ্র ধনীর পদানত, অন্যত্র তত নহে। এখানে সত্ৰী যেমন পরিষের আজ্ঞানবৰ্ত্তিনী, অন্যত্র তত নহে। এখানে রমণী পিঞ্জরাবদ্ধ বিহাঙ্গিনী; যে বলি পড়াইবে, সেই বলি পড়িবে। আহার দিলে খাইবে, নচেৎ একাদশী করিবে। পতি অর্থাৎ পরিষ দেবতাস্বরূপ; দেবতাস্বরূপ কেন, সকল দেবতার প্রধান দেবতা বলিয়া শাস্ত্রে। কথিত আছে। দাসীত্ব এত দীর যে, পত্নীদিগের আদশস্বরাপা দ্ৰৌপদী সত্যভামার নিকট আপনার প্রশংসা স্বরপ বলিয়াছিলেন যে, তিনি স্বামীর সন্তোষার্থ সপত্নীগণেরও পরিচয্যা করিয়া থাকেন। এই আয্য পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম অতি সন্দর; ইহার জন্য আৰ্য্যগহ সবগ তুল্য সংখ্যময়। কিন্তু পাতিরিত্যের কেহ বিরোধী নহে; সন্ত্রী যে পরিষের দাসীমাত্র, সংসারের অধিকাংশ ব্যাপারে সত্ৰীলোক অধিকারশন্যা, সাম্যবাদীরা ইহারই প্রতিবাদী। অসমদেশে পত্রীপরিষে যে ভয়ঙ্কর বৈষম্য, তাহা এক্ষণে আমাদিগের দেশীয়গণের কিছর কিছ হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে, এবং কয়েকটি বিষয়ে বৈষম্য বিনাশ করিবার জন্য সমাজমধ্যে অনেক আন্দোলন হইতেছে। সে কয়টি বিষয় এই-- ১ম। পরিষকে বিদ্যাশিক্ষা অবশ্য করিতে হয়; কিন্তু সত্ৰীগণ অশিক্ষিতা থাকে। ২য়। পরিষের সত্ৰীবিয়োগ হইলে, সে পনেকবার দারপরিগ্রহ করিতে অধিকারী। কিন্তু সত্ৰীগণ বিধবা হইলে, আর বিবাহ করিতে অধিকারিণী নহে; বরং সব্বভোগসমূখে জলাঞ্জলি দিয়া চিরকাল ব্ৰহ্মচৰ্য্যানন্ঠানে বাধ্য। ৩য়। পর্যুষে যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাইতে পারে, কিন্তু স্ত্রীলোকে গহপ্রাচীর অতিক্রম করিতে পারে না। ৪ৰ্থ। স্ত্ৰীগণ স্বামীর মাতুত্যুর পরেও অন্য সর্বামিগ্রহণে অধিকারী নহে, কিন্তু পরষগণ সত্ৰী বত্তমানেই, যথেচ্ছ বহবিবাহ করিতে পারেন। ১ । প্রথম তত্ত্ব সম্পবন্ধে, সাধারণ লোকেরও একটি মত ফিরিয়াছে। সকলেই এখন স্বীকার করেন, কন্যাগণকে একটি লেখাপড়া শিক্ষা করান ভাল। কিন্তু কেহই প্রায় এখনও মনে ভাবেন না যে, পরিষের ন্যায় সত্ৰীগণও নানাবিধ সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান, দশন প্রভৃতি কেন শিখিবে না ? যাঁহারা, পত্রটি এম-এ পরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ না হইলে বিষপান করিতে ইচ্ছা করেন, তাঁহারাই কন্যাটি কথামােলা সমাপ্ত করিলেই চরিতাৰ্থ হন। কন্যাটিও কেন যে পত্রের ন্যায় এম-এ পাশ করিবে না, এ প্রশন ব্যারেক মাত্রও মনে স্থান দেন না। যদি কেহ, তাঁহাদিগকে এ কথা জিজ্ঞাসা করে, তবে অনেকেই প্রশনকত্তাকে বাতুল মনে করিবেন। কেহ প্ৰতিপ্রশন করিবেন, মেয়ে অত লেখাপড়া শিখিয়া কি করিবে ? চাকরি করিবে না কি ? যদি সাম্যবাদী সে প্রশেনর প্রত্যুত্তরে বলেন, “কেনই বা চাকরি করিবে না ?” তাহাতে বোধ হয়, তাঁহারা জোটাইতে পারি না, আবার মেয়ের চাকরি কোথায় পাইব ? যাঁহারা বাঝেন যে, বিদ্যোপাডজনি শিখাইবার উপায় কি ? তেমন সত্ৰীবিদ্যালয় কই ?” বাস্তবিক, বঙ্গদেশে, ভারতবর্ষে বলিলেও হয়, সত্ৰীগণকে পরিষের মত লেখাপড়া শিখাইবার উপায় নাই। এতদ্দেশীয় সমাজমধ্যে সাম্যতত্ত্বান্তগত এই নীতিটি যে অদ্যাপি পরিসফট হয়। নাই-লোকে যে সন্ত্রীশিক্ষার কেবল মৌখিক সমর্থনা করিয়া থাকে, ইহাই তাহার প্রচুর প্রমাণ। সমাজে কোন অভাব হইলেই তাহার পরিণ হয়-সমাজ কিছ চাহিলেই তাহা জন্মে। বঙ্গবাসিগণ। যদি সন্ত্রীশিক্ষায় যথাৰ্থ অভিলাষী হইতেন, তাহা হইলে তাহার উপায়ও হইত। পুঃ সুমৰিবিধ। প্রথম সন্ত্রীলোকদিগের জন্য পথিক বিদ্যালয়-দ্বিতীয়, পরষবিদ্যালয়ে সত্ৰীগণের দ্বিতীয়টির নামমাত্রে, বঙ্গবাসিগণ জবিলিয়া উঠিবেন। তাঁহারা নিঃসন্দেহ মনে বিবেচনা করবেন যে, পরিষের বিদ্যালয়ে সন্ত্রীগণ অধ্যয়নে প্রবত্ত হইলে, নিশ্চয়ই কন্যাগণ বারাঙ্গনাবৎ সুপ্রিশ্ন করবে। মেয়েলাে ত অধ্যাপাতে যাইবেই বেশীর ভাগ ছেলেগলাও যথেচ্ছাচারী t sBB BBD DDDB DDDBSS BBD BBD D DD DDS DDD DBDD BDD OO