পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बस्किम ब्रश्नावली পত্নীবিয়োগের পর পােনৰবার দারপরিগ্রহে অধিকারী হয়, তবে সাম্যনীতির ফলে সত্ৰী পতিবিয়োগের পর অবশ্য, ইচ্ছা করিলে, পনেকবার পতিগ্রহণে অধিকারিণী। এখানে জিজ্ঞাসা হইতে পারে, “যদি” পােরষি পানবিবাহে অধিকারী হয়, তবেই সত্ৰী অধিকারিণী, কিন্তু পরিষেরই কি সত্ৰী বিয়োগান্তে দ্বিতীয় বার বিবাহ উচিত ? উচিত, অনচিত, সর্বতন্ত্র কথা; ইহাতে ঔচিত্যানেীচিত্য কিছই নাই। কিন্তু মনীষামাত্রেরই অধিকার আছে, যে যাহাতে অন্যের অনিন্ট নাই, এমত কাৰ্যমাত্রই প্রবত্তি অনসারে করিতে পারে। সতরাং পত্নীবিন্যািক্ত পতি, এবং পতিবিযক্তি পত্নী ইচ্ছা হইলে পানঃপরিণয়ে উভয়েই অধিকারী বটে। অতএব বিধবা, বিবাহে অধিকারিণী বটে। কিন্তু এই নৈতিক তত্ত্ব অদ্যাপি এ দেশে সচরাচর স্বীকৃত হয় নাই। যাঁহারা ইংরেজি শিক্ষার ফলে, অথবা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বা ব্ৰাহ্ম ধর্মের অন্যারোধে, ইহা স্বীকার করেন, তাঁহারা ইহাকে কায্যে পরিণত করেন না। যিনি যিনি বিধবাকে বিবাহে অধিকারিণী বলিয়া স্বীকার করেন, তাঁহাদেরই গহস্থা বিধবা বিবাহাথী ব্যাকুলা হইলেও তাঁহারা সে বিবাহে উদ্যোগী হইতে সাহস করেন না। তাহার কারণ, সমাজের ভয়। তবেই, এই নীতি সমাজে প্রবেশ করে নাই। অন্যান্য সাম্যাত্মিক নীতি সমাজে প্রবিন্ট না হওয়ার কারণ বঝা যায়; বিধানের কত্তা পরষজাতি সে সকলের প্রচলনে আপনাদিগকে অনিন্টগ্রান্ত বোধ করেন, কিন্তু এই নীতি এ সমাজে কোন প্রবেশ করিতে পারে না, তাহা তত সহজে বাবা যায় না। ইহা আয়াসীসাধ্য নহে; কাহারও অনিলন্টকর নহে, এবং অনেকের সখীবদ্ধিকর। তথাপি ইহা সমাজে পরিগহীত হইবার লক্ষণ দেখা যায় না। ইহার কারণ, সমাজে লোকাচারের অলঙ্ঘনীয়তাই বোধ হয়। আর একটি কথা আছে। অনেকে মনে করেন যে, চিরবৈধব্য বন্ধনে, হিন্দ মহিলাদিগের পাতিব্ৰত্য। এরপ দঢ়বদ্ধ যে, তাহার অন্যথা কামনা করা বিধেয় নহে। হিন্দ সন্ত্রীমাত্রেই জানেন যে, এই এক স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার সকল সখি যাইবে, অতএব তিনি সবামীর প্রতি অনন্ত ভক্তিমতী। এই সম্প্রদায়ের লোকের বিবেচনায় এই জন্যই হিন্দগাহে দাম্পত্যসখের এত আধিক্য। কথাটি সত্য বলিয়াই না হয় সম্বীকার করিলাম। যদি তাই হয়, তবে নিয়মটি একতরফা রাখা কেন ? বিধবার চিরবৈধব্য যদি সমাজের মঙ্গলকর হয়, তবে মতভায্য পরিষের চিরপত্নীহীনতা বিধান কর না কেন ? তুমি মরিলে, তোমার সন্ত্রীর আর গতি নাই, এজন্য তোমার স্ত্রী অধিকতর প্ৰেমশালিনী; সেইরােপ তোমার স্ত্রী মরিলে, তোমারও আর গতি হইবে না, যদি এমন নিয়ম হয়, তবে তুমিও অধিকতর প্ৰেমশালী হইবে। এবং দাম্পত্য সখি, গাহস্থ্যি সখি দ্বিগণ বদ্ধি হইবে। কিন্তু তোমার বেলা সে নিয়ম খাটে না কেন ? কেবল অবলা সস্ত্রীর বেলা সে নিয়ম কেন ? তুমি বিধানকৰ্ত্তা পরিষ, তোমার সতরাং পোয়া বারো। তোমার বাহবিল আছে, সতরাং তুমি এ দৌরাত্ম্য করিতে পাের। কিন্তু জানিয়া রাখা যে, এ অতিশয় অন্যায়, গরতর, এবং ধৰ্ম্মম বিরুদ্ধে বৈষম্য। ৩য়। কিন্তু পরিষের যত প্রকার দৌরাত্ম্য আছে, সন্ত্রীপরিষে যত প্রকার বৈষম্য আছে, তন্মধ্যে আমাদিগের উল্লিখিত তৃতীয় প্রস্তাব, অর্থাৎ সত্ৰীগণকে গহমধ্যে বন্য পশর ন্যায় বদ্ধ রাখার অপেক্ষা নিষ্ঠর, জঘন্য অধৰ্ম্মম প্রসতে বৈষম্য আর কিছই নাই। আমরা চাতকের ন্যায় সবগমত্য বিচরণ করিব, কিন্তু ইহারা দেড় কাঠা ভূমির মধ্যে, পিঞ্জরে রক্ষিতার ন্যায় বদ্ধ অধিকাংশে বাঁশ্চিত থাকিবে। কেন ? হকুম পরিষের। এই প্রথার ন্যায়বিরদ্ধতা এবং অনিস্টকারিতা অধিকাংশ সশিক্ষিত ব্যক্তিই এক্ষণে স্বীকার করেন, কিন্তু স্বীকার করিয়াও তাহা লঙ্ঘন করিতে প্রবত্ত নন। ইহার কারণ, অমৰ্যাদা ভয়। আমার সন্ত্রী, আমার কন্যাকে, অন্যে চৰ্ম্মচক্ষে দেখিবো! কি অপমান! কি লজজা! আর তোমার সন্ত্রী, তোমার কন্যাকে যে পশ্যর ন্যায় পশ্বালয়ে বদ্ধ রাখ, তাহাতে কিছ অপমান নাই ? कि शम्का गाई? যদি না থাকে, তবে তোমার মানাপমান বোধ দেখিয়া, আমি লকজায় s জিজ্ঞাসা করি, তোমার অপমান, তোমার লজার অন্যারোধে, তাহাদিগের উপর পীড়ন করিবার তোমার কি অধিকার ? তাহারা কি তোমারই মানরক্ষার জন্য, তোমারই তৈজসপত্রাদিমধ্যে 8OS