পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a spoRTS ー、ツつ vo.N. কৃষ্ণ S v. U. . . . . . . . . . . " " ' ' ' ' 曦 প্রথম খণড ܐܹܠ*

  • B R ARCتھ“

মহন্তস্তমসঃ পারে পরিষং হ্যাতিতেজসম। যং জ্ঞাত্বা মাতৃত্যুমত্যোতি তস্মৈ জ্ঞেয়াত্মনে নমঃ ॥ মহাভারত, শান্তিপক্ব, ৪৭ অধ্যায়। প্রথম পরিচ্ছেদ-গ্রিন্থের উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের অধিকাংশ হিন্দর, বাঙ্গালা দেশের সকল হিন্দর বিশ্বাস যে, শ্ৰীকৃষ্ণ ঈশ্বরের অবতার। কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং-ইহা তাঁহাদের দঢ় বিশ্বাস। বাঙ্গালা প্রদেশে, কৃষ্ণের উপাসনা প্রায় সব্বব্যাপক। গ্রামে গ্রামে কৃষ্ণের মন্দির, গহে গহে কৃষ্ণের পজা, প্রায় মাসে মাসে কৃষ্ণোৎসব, উৎসবে উৎসবে কৃষ্ণযাত্রা, কণ্ঠে কণ্ঠে द्रुशौंउ, সকল মাখে কৃষ্ণনাম। কাহারও গায়ে দিবার বস্ত্রে কৃষ্ণনামাবলি, কাহারও গায়ে কৃষ্ণনামের ছাপ। কেহ কৃষ্ণনাম না করিয়া কোথাও যাত্রা করেন না; কেহ কৃষ্ণনাম না লিখিয়া কোন পত্র বা কোন লেখাপড়া করেন না; ভিখারী “জয় রাধে কৃষ্ণ” না বলিয়া ভিক্ষা চায় না। কোন ঘণার কথা শানিলে “রাধে কৃষ্ণ!” বলিয়া আমরা ঘণা প্রকাশ করি; বনের পাখী পষিলে তাহাকে “রাধে কৃষ্ণ” নাম শিখাই। কৃষ্ণ এদেশে সব ব্যাপক । কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং। যদি তাহাঁই বাঙ্গালীর বিশ্বাস, তবে সব্বাসময়ে কৃষ্ণারাধনা, কৃষ্ণনাম, কৃষ্ণকথা ধর্মেরই উন্নতিসাধক। সকল সময়ে ঈশ্বরকে সমরণ করার অপেক্ষা মনষ্যের মঙ্গল আর কি আছে ? কিন্তু ইহারা ভগবানকে কি রকম ভাবেন ? ভাবেন, ইনি বাল্যে চোর-ননী মাখন চুরি করিয়া খাইতেন; কৈশোরে পারদারিক-অসংখ্য গোপনারীকে পাতিব্ৰত্যধৰ্ম্মম হইতে ভ্রন্ট করিয়াছিলেন; পরিণত বয়সে বাঞ্চক ও শঠ-বঞ্চনার দ্বারা দ্ৰোণাদির প্রাণহরণ করিয়াছিলেন। ভগবাচ্চরিত্র কি এইরপ ? যিনি কেবল শব্দ্ধসত্ত্ব, যাঁহা হইতে সৰ্ব্বপ্রকার শদ্ধি, যাঁহার নামে অশদ্ধি, অপণ্য দরি হয়, মনষ্যিদেহ ধারণা করিয়া সমস্ত পাপাচরণ কি সেই ভগবাচ্চরিত্রসঙ্গত? ভগবাচ্চরিত্রের এইরূপ কলপনায় ভারতবর্ষের পাপস্রোত বদ্ধি পাইয়াছে, সনাতনধৰ্ম্মদ্বেষিগণ বলিয়া থাকেন। এবং সে কথার প্রতিবাদ করিয়া জয়শ্ৰী লাভ করিতেও কখনও কাহাকে দেখি নাই। আমি নিজেও কৃষ্ণকে স্বয়ং ভগবান বলিয়া দঢ় বিশ্বাস করি; পাশ্চাত্ত্য শিক্ষার পরিণাম আমার এই হইয়াছে যে, আমার সে বিশ্বাস দঢ়ীভূত হইয়াছে। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের যথাৰ্থ কিরাপ চরিত্র পরাণেতিহাসে বর্ণিত হইয়াছে, তাহা জানিবার জন্য, আমার যতদর সাধ্য, আমি পরাণ ইতিহাসের আলোচনা করিয়াছি। তাহার ফল। এই পাইয়াছি যে, কৃষ্ণসম্প্ৰবন্ধীয় যে সকল পাপোপাখ্যান জনসমাজে প্রচলিত আছে, তাহা সকলই অমলেক বলিয়া জানিতে পারিয়াছি, এবং উপন্যাসকারকৃত কৃষ্ণসমন্বন্ধীয় উপন্যাস সকল বাদ দিলে যাহা বাকি থাকে, তাহা অতি বিশদ্ধ, পরমপবিত্র, অতিশয় মহৎ, ইহাও জানিতে পারিয়াছি। জানিয়াছি-ঈদশ সব্বগণান্বিত, সবপাপসংস্পৰ্শশনা, আদর্শ চরিত্র আর কোথাও নাই। কোন দেশীয় ইতিহাসেও না, কোন দেশীয় কাব্যেও না। কি প্রকার বিচারে আমি এরপ সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইয়াছি, তাহা বঝান এই গ্রন্থের একটি উদ্দেশ্য। কিন্তু সে কথা ছাড়িয়া দিলেও এই গ্রন্থের বিশেষ প্রয়োজন আছে। আমার নিজের যাহা বিশ্বাস, পাঠককে তাহা গ্রহণ করিতে বলি না, এবং কৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব সংস্থাপন করাও আমার উদ্দেশ্য নহে। এ গ্রন্থে আমি তাঁহার কেবল মানবচরিত্রেরই সমালোচনা করিব। তবে এখন 8 OA