পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র কাজেই তাঁহার ইতিহাসে কাব্যের সৌন্দৰ্য্য আসিয়া উপস্থিত হইবে। সৌন্দৰ্য্যহেতু ঐ সকল গ্রন্থ অনৈতিহাসিক বলিয়া পরিত্যক্ত হয় নাই-মহাভারতও হইতে পারে না। মহাভারতে যে সে সৌন্দৰ্য্য অধিক পরিমাণে ঘাঁটিয়াছে, তাহার বিশেষ কারণও আছে। মখের মতের বিশেষ আন্দোলনের প্রয়োজন নাই। কিন্তু পণ্ডিতে যদি মাখের মত কথা কয়, তাহা হইলে কি কৰ্ত্তব্য ? বিখ্যাত Weber সাহেব পণ্ডিত বটে, কিন্তু আমার বিবেচনায় তিনি যে ক্ষণে সংস্কৃত শিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, ভারতবর্ষের পক্ষে সে অতি অশভক্ষণ। ভারতবষের প্রাচীন গৌরব সেদিনকার জন্মানির অরণ্যনিবাসী বৰবািরদিগের বংশধরের পক্ষে অসহ্য। অতএব প্রাচীন ভারতবর্ষের সভ্যতা অতি আধনিক, ইহা প্রমাণ করিতে তিনি সব্বদা যত্নশীল। তাঁহার বিবেচনায় যিশগ্ৰীস্টের জন্মের পকেব। যে মহাভারত ছিল, এমন বিবেচনা করিবার মােখ্য প্রমাণ কিছ নাই। এতটুকু প্রাচীনতার কথা স্বীকার করিবারও একমাত্র কারণ এই যে, Chrysostom নামা একজন ইউরোপীয় ভারতবর্ষে আসিয়া দাঁড়ী-মাঝির মাখে মহাভারতের কথা শনিয়া গিয়াছিলেন। পাণিনির সত্রে মহাভারত শব্দও আছে, যধিষ্ঠিরাদিরও নাম আছে। কিন্তু তাহাতে তাঁহার বিশ্বাস হয় না, কেন না, পাণিনিও তাঁহার মতে “কালকের ছেলে”। তবে একজন ইউরোপীয়ের পবিত্র কণরন্ধুে প্রবিভ্ৰাট নাবিকবাক্যের কোন প্রকার অবহেলা করিতে তিনি সক্ষম নহেন। অতএব মহাভারত যে শ্ৰীমটীয় প্রথম শতাব্দীতে ছিল, ইহা তিনি কায়ক্লেশে স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু আর একজন ইউরোপীয় লেখক (Megasthenes) যিনি খ্রীস্ট-পািকব তৃতীয় বা চতুৰ্থ শতাব্দীর লোক, এবং ভারতবর্ষে আসিয়া চন্দ্রগপ্তের রাজধানীতে বাস করিয়াছিলেন, তিনি তাঁহার গ্রন্থে মহাভারতের কথা লেখেন নাই। কাজেই বেবীর সাহেবের বিবেচনায় তাঁহার সময় মহাভারত ছিল না।*। এখানে জমান পশিডতটি জানিয়া শনিয়া ইচ্ছাপব্বেক জয়াচুরি করিয়াছেন। কেন না, তিনি বেশ জানেন যে, মিগাস্থেনিসের ভারতসম্পবিন্ধীয় গ্রন্থ বিদ্যমান নাই, কেবল গ্রন্থকার তাহা হইতে যে সকল অংশ তাঁহাদিগের নিজ নিজ পর্যন্তকে উদ্ধত করিয়াছিলেন, তাহাই সঙ্কলনপৰিবাক ডাক্তার gTGARRs ČDr. Schwanbeck) Tarkis \ ago আধনিক পন্ডিত একখানি গ্রন্থ প্রস্তুত করিয়াছেন; তাহাই এখন মিগাস্থেনিসকৃত ভারতবত্তান্ত বলিয়া প্রচলিত। তাঁহার গ্রন্থের অধিকাংশ বিলপ্ত; সতরাং তিনি মহাভারতের কথা বলিয়াছিলেন কি না বলা যায় না। ইহা জানিয়া শনিয়াও কেবল ভারতবষের প্রতি বিদ্বেষবদ্ধিবশতঃ বেবীর সাহেব এরপে কথা লিখিয়াছেন। তাঁহার প্রণীত ভারত-সাহিত্যের ইতিবত্ত-বিষয়ক গ্রন্থে আদ্যোপােন্ত ভারতবর্ষের গৌরব লাঘবের চেন্টা ভিন্ন, অন্য কোন উদ্দেশ্য দেখা যায় না। ইহার পর বলা বাহাল্য যে, মিগাস্থেনিস মহাভারতের নাম করেন নাই, ইহা হইতেই এমন বঝায় না যে, তাঁহার সময়ে মহাভারত ছিল না। অনেক হিন্দ, জম্মমনি বেড়াইয়া আসিয়াছেন, গ্রন্থও লিখিয়াছেন, তাঁহাদের কাহারও গ্রন্থে ত বেবীর সাহেবের নাম দেখিলাম না। সিদ্ধান্ত করিতে হইবে কি যে, বেবীর সাহেব কখনও ছিলেন না ? অন্যান্য পশিডতেরা, বেবীর সাহেবের মত, সব উঠাইয়া দিতে চাহেন না। তাঁহারা যে আপত্তি बक6झन्, ऊाश प्रदशैं ॐकान्न;— (১) মহাভারত প্রাচীন গ্ৰন্থ বটে, কিন্তু খ্ৰীঃ পঃ চতুর্থ কি পঞ্চম শতাব্দীতে প্রণীত হইয়াছিল, তাহার পকেব। এরপ গ্রন্থ ছিল না। (২) আদিম মহাভারতে পান্ডবদিগের কোন কথা ছিল না। পান্ডব ও কৃষ্ণ প্রভৃতি কবিকলপনা মাত্র। দেশী মত আবার বিপরীত সীমান্তে গিয়াছে। দেশীয়েরা বলেন, কলির আরম্ভের ঠিক

  • Since Megasthenes says nothing of this epic, it is not an improbable hypothesis that its origin is to be placed in the interval between his time and that of Chrysostom; for what ignorant sailors took note of would hardly have escaped his observation.

History of Sanskrit Literature, English Translation, p. 186. Trubner & Co., 1882. 8S Ֆ)