পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कुक्र्छौब्रह ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ-পান্ডবদিগের ঐতিহাসিকতা है9टब्राचीन भद्ध মহাভারতের যাদ্ধকাল সম্পবন্ধে ইউরোপীয়দিগের সঙ্গে আমাদিগের কোন মারাত্মক মতভেদ হইতেছে না। কোলৱক সাহেব গণনা করিয়াছেন, খ্ৰীঃ পঃ চতুদশ শতাব্দীতে এই যন্ধ হইয়াছিল। উইলসন সাহেবও সেই মতাবলম্বী। এলফিনস্টোন, তাহা গ্ৰহণ করিয়াছেন। উইলফোড সাহেব বলেন, খ্ৰীঃ পঃ ১৩৭o বৎসরে ঐ যাদ্ধ হয়। বকাননের মত ব্ৰয়োদশ শতাব্দীতে। প্রাট সাহেব গণনা করিয়াছেন, খ্ৰীঃ পঃ দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। প্রতিবাদের কোন প্রয়োজন দেখা যায় না। কিন্তু পাবে বলিয়াছি যে, ইউরোপীয়দিগের মত এই যে, মহাভারত শ্ৰীস্ট-পৰ্ব্ব চতুৰ্থ বা পশ্চম শতাব্দীতে রচিত হইয়াছিল। এবং আদিম মহাভারতে পাণডবদিগের কোন কথা ছিল না-ও সব পশ্চাদ্বত্তী কবিদিগের কলপনা, এবং মহাভারতে প্রক্ষিপ্ত। যদি এই দ্বিতীয় কথাটা সত্য হয়, তবে মহাভারত কবে প্রণীত হইয়াছিল, সে কথা মীমাংসার কিছ প্রয়োজন থাকে না। তাহা হইলে, যিবেই মহাভারত প্রণীত হউক না কেন-কৃষ্ণঘটিত কথা যাহা কিছ এখন মহাভারতে পাওয়া যায়, সবই মিথ্যা। কেন না, কৃষ্ণঘটিত মহাভারতীয় সমস্ত কথাই প্রায় পান্ডবদিগের সঙ্গে সম্পবিন্ধবিশিস্ট। অতএব আগে দেখা উচিত যে, এই শেষোক্ত আপত্তির কোন প্রকার ন্যায্যতা আছে কি না। প্রথমতঃই লাসেন সাহেবকে ধরিতে হয়-কেন না, তিনি বড় লব্ধপ্রতিভ্ৰষ্ঠ জন্মান পশ্চিডত। মহাভারত যবেই প্রণীত হউক, তিনি স্বীকার করেন যে, ইহার কিছ ঐতিহাসিকতা আছে। কিন্তু তিনি যেটকু স্বীকার করেন সেটকু এই মাত্র যে, মহাভারতে যে যাদ্ধ বৰ্ণিত আছে, তাহা কুরপোণ্ডালের যাদ্ধ-পান্ডবগণকে অনৈতিহাসিক কবিকল্পনাপ্রসত বলিয়া উড়াইয়া দেন। বেবীর সাহেবও সে মত গ্রহণ করেন। সর মনিয়র ইউলিয়ামস, বােব রমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতি অনেকেই সেই মতের অবলম্বী। মতটা কি, তাহা সংক্ষেপে বৰঝাইতেছি। কুর নামে একজন রাজা ছিলেন। আমরা পরাণেতিহাসে শনি, তদ্বংশীয় রাজগণকে কুর বা কৌরব বলা যায়। তাঁহাদিগের অধিকৃত দেশবাসিগণকেও ঐ নামে অভিহিত করা যাইতে পারে। তাহা হইলে কুর শব্দে কৌরবাধিকৃত জনপদবাসী দিগকে বঝাইল। পাশ্চালেরা দ্বিতীয় জনপদবাসী। এই অর্থেই পাণ্ডাল শব্দ মহাভারতে ব্যবহৃত হইয়াছে। এই দাই জনপদ। পরস্পর সন্নিহিত। উত্তর পশ্চিমে যে সকল জনপদ ছিল, মহাভারতীয় যাদ্ধের পকেব। এই দাই জনপদ তন্মধ্যে সব্বাপেক্ষা প্রাধান্য লাভ করিয়াছিল। বোধ হয়, এককালে এই দাই জনপদবাসিগণ মিলিতই ছিল। কেন না, কুর-পাণ্ডাল পদ বৈদিক গ্রন্থে পাওয়া যায়। পরে তাহাদিগের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত হইয়াছিল। বিরোধের পরিণাম মহাভারতের যাদ্ধ। সেই যদুদ্ধে কুরগণ। পাণ্ডালগণ। কৰ্ত্তক পরাজিত হইয়াছিল। এতদরে পয্যন্ত আমরা কোন আপত্তি করি না, এবং এ কথায় আমাদের সম্পণে সহানভূতি আছে। বস্তুতঃ কুরগণের প্রকৃত বিপক্ষগণ পাণ্ডালগণই বটে। মহাভারতে কৌরবদিগের সেনা পাণ্ডাল সেনা, অথবা পাণ্ডাল ও সঞ্জয়গণ* বলিয়া বর্ণিত হইয়াছিল। পাণ্ডালরাজপত্রে ধন্টদ্যানই সেই সেনার সেনাপতি। পাণ্ডালরাজপত্র শিখন্ডীই কৌরবপ্রধান ভীষ্মমকে নিপাতিত করেন। পাণ্ডালরাজপত্র ধন্টদ্যােম্পন কৌরবাচায্য দ্ৰোণকে নিপাতিত করেন। যদি এ যাদ্ধ প্রধানতঃ ধাতরাষ্ট্ৰপত্র ও পাগড়পত্রদিগের যাদ্ধ হইত, তাহা হইলে ইহাকে কুরপাশডবের যাদ্ধ কখনই বলিত না, কেন না, পান্ডবেরাও কুর; তাহা হইলে ইহাকে ধাত্তরাষ্ট্রপান্ডবদিগের যাদ্ধ বলিত। ভীস্ম, এবং কোরবাচাৰ্য্য দ্রোণ ও কৃপের সঙ্গে ধাত্তরাষ্ট্ৰীদিগের যে সম্পবিন্ধ পান্ডবদিগের সঙ্গেও সেই সম্প্ৰবন্ধ, স্নেহও তুল্য। যদি এ যাদ্ধ ধাত্তরাষ্ট্ৰ-পাশডবের যন্ধে হইত, তবে তাঁহারা কখনই দিযোধনপক্ষ অবলম্বন করিয়া পান্ডবদিগের অনিস্টসাধনে প্রবত্ত হইতেন না-কেন না, তাঁহারা ধৰ্ম্মমাত্মা ও ন্যায়পর। কুরপাণ্ডালের বিরোধ পান্ডবগণ

  • সািজয়েরা পাশ্চালভুক্ত-তাহাদিগের জ্ঞাতি।

KI R-RA SNA