পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Fyrsfare করিতে আমরা অক্ষম। ইন্দ্ৰথে অর্জন শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে, এজন্য অর্জন নামে কোন মনকেষ্য ছিল না, এ সিদ্ধান্ত বঝিতে আমরা অক্ষম। কথাটা হাসিয়া উড়াইয়া দিলে চলিত, কিন্তু বেবর সাহেব মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত, বেদ ছাপাইয়াছেন; আর আমরা বাঙ্গালী, তাতে গন্ডমখে, তাঁহাকে হাসিয়া উড়াইয়া দেওয়া বড় ধন্টতার কাজ হয়। তবে, কথাটা একটা বােবই। শতপথৱাহ্মণে, অতিজন নাম আছে, ফাল্গন নামও আছে। যেমন অজ্ঞজনে ইন্দ্র ও মধ্যম পান্ডব উভয়ের নাম, ফালগানও তেমনই ইন্দ্র ও মধ্যম পান্ডব উভয়ের নাম। ইন্দ্রের নাম ফালগন, কেন না, ইন্দ্ৰ ফলগনী নক্ষত্রের অধিষ্ঠাতৃদেবতা;* অজ্ঞজনের নাম ফালগন, কেন না, তিনি। ফলগনী নক্ষত্রে জন্মিয়াছিলেন। হয়ত ইন্দ্ৰাধিস্ঠিত নক্ষত্রে জন্ম বলিয়াই তিনি ইন্দ্ৰপত্ৰ বলিয়া খ্যাত; ইন্দ্রের ঔরসে তাঁহার জন্ম, এ কথা কোন শিক্ষিত পাঠক বিশ্বাস করিবেন না। আবার অর্জন শব্দে শব্লক। মেঘদেবতা ইন্দ্রও শব্লক নহে, মেঘবৰ্ণ অজািনও শক্লিবৰ্ণ নহে। উভয়ে নিৰ্ম্মলকম্যকারী শব্দ্ধ, পবিত্র; এজন্য উভয়েই অজ্ঞজন। ইন্দ্রের নাম যে অজািন, শতপথব্রাহ্মণে সে কথাটা এইরপে আছে-“অতীজনো বৈ ইন্দ্রো যদস্য গহনাম”; অৰ্ন্তজািন ইন্দ্র; সেটি ইহার গহ্য নাম। ইহাতে কি বঝায় না যে, অজান নামে অন্য ব্যক্তি ছিল, তাঁহার মহিমাবদ্ধির অভিপ্ৰায়ে ইন্দ্রের সঙ্গে তাঁহার ঐক্যস্থাপনজন্য, অজ্ঞজনের নাম, ইন্দ্রের একটা ল্যুকানো নাম বলিয়া প্রচারিত করিতেছেন ? বেবর সাহেব “গহ্য” অর্থে 'mystic” বঝিয়া লোককে বোকা বঝাইয়াছেন। আর একটি রহস্যের কথা বলি। কুরচি, গাছের নামও অজােন। আবার কুরচি, গাছের নামও ফালগন। এ গাছের নাম অজ্ঞজন, কেন না, ফলে শাদা; ইহার নাম ফালগন, কেন না, ইহা ফালগন মাসে ফটে। এখন আমার বিনীত নিবেদন যে, ইন্দ্রের নামও অজািন ও ফালগন বলিয়া আমাদিগকে বলিতে হইবে যে, কুরচি, গাছ নাই, ও কখনও ছিল না ? পাঠকেরা সেইরােপ অনািমতি করন, আমি মহামহোপাধ্যায় Weber সাহেবের জয় গাই। এই সকল পশিডতেরা বলেন যে, কেবল ললিত বিস্তরে, পান্ডবদিগের নাম পাওয়া যায় বটে, কিন্তু সে পান্ডবেরা পাব্বিত্য দস্য মাত্র। আমাদের বিবেচনা, তাহা হইতে এমন বঝা যায় না। যে, পাগড়পত্র পান্ডব পাঁচজন কখন জগতে বত্তমান ছিলেন না। বাঙ্গালা সাহিত্যে, “ফিরিঙ্গী” শব্দ যে দই একখানা গ্রন্থে পাওয়া যায়, সে সকল গ্রন্থে ইহার অর্থ হয়, Eurasian”, নয় 'European’-Frank’ শব্দ কোথাও পাওয়া যায় না, বা এ অর্থে “ফিরিঙ্গী” শব্দ কোথাও ব্যবহৃত হয় নাই। ইহা হইতে যদি আমরা সিদ্ধ করি যে 'Trank’ জাতি কখন ছিল না, তাহা ফুল ফুল্লায় পণ্ডিত ও তাঁহাদের শিষ্যগণ যে অমে পতিত হইয়াছেন, আমরাও সেই ভ্ৰমে 叶

  • এখনকার দৈবজ্ঞেরা এ কথা বলেন না, কিন্তু শতপথব্রাহ্মণেই এ কথা আছে। ২ কান্ড, ১ অধ্যায়, ২। ব্ৰাহ্মণ, ১১, দেখ।

“বৌদ্ধ-গ্ৰন্থকারেরা পান্ডব নামে পৰবতবাসী একটি জাতির উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন; তাহারা উজয়িনী ও কোশলাবাসীদের শত্র ছিল। (Weber's H. I. Literature, 1878, p. 185.) মহাভারতে পান্ডবদিগকে হস্তিন্যপােরবাসী বলিয়া বৰ্ণনা করা হইয়াছে বটে, কিন্তু ঐ গ্রন্থেরও স্থলবিশেষে লিখিত আছে, প্রথমে তাঁহারা হিমালয় পব্বতে থাকিয়া পরিবদ্ধিত হন। এবং পাডোঃ সন্তাঃ পঞ্চ দেবদত্তা মহাবলাঃ * * ** দ্বিবন্ধ মানান্তে তন্ত্র পণ্যে হৈমবতে গিরেী ॥ আদিপৰ্ব্ববর্ণ। ১২৪ ৷৷ ২৭-২৯ । এটুপি, পাণ্ডুর দেব দত্ত পাঁচটি মহাবল পত্র - সেই পবিত্র হিমালয় পথতে পািরবদ্ধত TKR || প্লিানি ও সলিনস নামে গ্রীক গ্রন্থকারেরা ভারতবষের পশ্চিমোত্তর দিকে বাহীক দেশের উত্তরাংশে সোগাডিয়েনা দেশের একটি নগরের নাম পাপড়্যি বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন এবং সিন্ধা নদীর মািখ সমীপস্থ DDDBD EBB DBDB DDD DDEB BBDBDD DBD BBSDD DBBDDB বিতত্তা নদীর সমীপস্থা বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছেন। কাত্যায়ন একটি পাণিনিসন্ত্রের বাত্তিকে পাণ্ডু হইতে পাণ্ড্য শব্দ নিম্পন্ন করিয়াছেন।* লক্ষীধর সাবকৃত ষড়ভাষাচন্দ্রিকার মধ্যে কেকয় বাহিনীকাদি উত্তর

  • পাশেডাডক্ষিণ বক্তব্যঃ-বাত্তিক।

8SS