পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बध्न ब्रनाबिव्वौ পােনশচ,- “বাসদেবাজােনাভ্যাং বািন।” ৪ ৷৷ ৩ ৷৷ ৯৮ অর্থাৎ, বাসদেব ও অজ্ঞজনে শব্দের পর ষষ্ঠ্যৰ্থে বনে হয়। পানশাচ,- “নদ্ৰাণ নপািনবেদােনা সত্যানমচিনাকুলনখনপাংসকনক্ষত্ৰনক্ৰনাকেষ।” ৬ ৷৷ ৩ ৷৷ ৭৫ ইহাতে “নিকুল” পাওয়া গেল। দ্ৰোণপৰ্ব্ববতজীবন্ত দন্যতারস্যাম ৷৷ ৪ ৷৷ ১ ৷৷ ১০৩ “দ্রোণায়ন” শব্দ পাওয়া গেল। ইহাতে অশ্বথামা ভিন্ন আর কিছই ব্যবস্থায় না। এইরূপ পাঁচটি পাডবের নামই এবং কুন্তী, দ্রোণ অশ্বথামা প্রভৃতির নাম পাণিনিসসুত্রে পাওয়া যায়। যদি মহাভারত গ্রন্থের নাম এবং সেই গ্রন্থের নায়কদিগের নাম পাওয়া গেল, তবে পাণিনির সময়েও মহাভারত পাণডবদিগের ইতিহাস। এখন দেখিতে হইবে, পাণিনি কবেকার লোক। ভারতদ্বেষী Weber সাহেব তাঁহাকেও আধনিক বলিয়া প্ৰতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু এখানে তাঁহার মত চলে নাই—স্বয়ং গোলডন্টকর পাণিনির অভু্যদয়িকাল নিণীতা করিয়াছেন। তিনি যাহা বলেন, তাহার বিস্তারিত বিবরণ লিখিবার স্থান এ নহে; কিন্তু বাব, রজনীকান্ত গপ্ত তাঁহার গ্রন্থের সারাংশ বাঙ্গালায় সঙ্কলন করিয়াছেন, অতএব না বলিলেও চলিবে। যাঁহারা বাঙ্গালা গ্রন্থ পড়িতে ঘণা করেন, তাঁহারা গোলন্ডন্টকরের গ্রন্থই ইংরাজিতে পড়িতে পারেন। তাঁহার বিচারে পাণিনি অতি প্রাচীন বলিয়া প্ৰতিপন্ন হইয়াছে, এজন্য Weber সাহেব অতিশয় দঃখিত। তিনি গোলডাল্টকরের প্রতিবাদও করিয়াছেন, এবং লডজা পরিত্যাগ করিয়া বলিয়াছেন, জয়পতাকা আমিই উড়াইয়াছি। কিন্তু আর কেহ তাহা বলে না। গোলন্ডন্টকের প্রমাণ করিয়াছেন যে, পাণিনির সত্র যখন প্রণীত হয়, তখন বদ্ধদেবের* আবিৰ্ভাব হয় নাই। তবেই পাণিনি অন্ততঃ খ্ৰীঃ পঃ ষস্ঠ শতাব্দীর লোক। কিন্তু কেবল তাহাই নহে, তখন ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ প্রভৃতি বেদাংশ সকলও প্রণীত হয় নাই। ঋক, যজঃ, সামসংহিতা ভিন্ন আর কিছই হয় নাই। আশ্বিলায়ন, সাংখ্যায়ন প্রভৃতি অভূদিত হন। নাই। মক্ষমােলর বলেন, ব্ৰাহ্মণ-প্ৰণয়ন-কাল খ্ৰীঃ পঃ সহস্ৰ বৎসর হইতে আরম্ভ। ডাক্তার মার্টিন হৌগ বলেন, ঐ শেষ; খ্ৰীঃ পঃ চতুৰ্দশ শতাব্দীতে আরম্ভ। অতএব পাণিনির সময় খ্ৰীঃ পঃ দশম বা একাদশ শতাব্দী বলিলে বেশী বলা হয় না। Max Muller, Weber প্রভৃতি অনেকেই এ বিচারে প্রবত্ত, কিন্তু কাহারও কথায় গোলন্ডািস্টকরের মত খন্ডিত হইতেছে না। অতএব আচায্যের এ মত গ্রহণ করা যাইতে পারে। তবে ইহা স্থির যে, খ্রীস্টের সহস্রাধিক বৎসর পকেব। যধিস্ঠিরাদির বক্তান্তসংযক্ত মহাভারত গ্রন্থ প্রচলিত ছিল। এমন প্রচলিত যে, পাণিনিকে মহাভারত ও যাধিস্ঠিরাদির ব্যৎপত্তি লিখিতে হইয়াছে। আর ইহাও সম্ভব যে, তাঁহার অনেক পৰোবই মহাভারত প্রচলিত হইয়াছিল। কেন না, “বাসদেবাজােনাভ্যাং বন?” এই সত্রে ‘বাসদেবক’ ও ‘অজ্ঞজনক” শব্দ এই অর্থে পাওয়া যায়, বাস দেবের উপাসক, অজ্ঞজনের উপাসক। অতএব পাণিনিসত্রপ্রণয়নের পকেবই কৃষ্ণাত্তজন দেবতা বলিয়া স্বীকৃত হইতেন। অতএব মহাভারতের যাদ্ধের অনলপ পরেই আদিম মহাভারত প্রণীত হইয়াছিল বলিয়া যে প্রসিদ্ধি আছে, তাহার উচ্ছেদ করিবার কোন কারণ দেখা যায় না। এক্ষণে ইহাও বক্তব্য যে, কেবল পাণিনির নয়, আশ্বলায়ন ও সাংখ্যায়ন গহ্যসত্রেও মহাভারতের প্রসঙ্গ আছে। অতএব মহাভারতের প্রাচীনতা সম্বন্ধে বড় গোলযোগ করার কাহারও उाीक्षकाइ नाच्ने । অস্টম পরিচ্ছেদ-কৃষ্ণের ঐতিহাসিকতা কৃষ্ণের নাম পাণিনির কোন সত্রে থাক না থাক, তাহাতে আসিয়া যায় না। কেন না, ঋগোিবদসংহিতায় কৃষ্ণ শব্দ অনেক বার পাওয়া যায়। প্রথম মন্ডলের ১১৬ সক্তের ২৩ ঋকে এবং

  • মহাভারতে ‘বৌদ্ধ’ শব্দ পাওয়া যায়, কিন্তু ঐ অংশ যে প্রক্ষিপ্ত, তাহাও অনায়াসে প্রমাণ করা যাইতে পারে।

কৃষ্ণ শব্দ আমি পাণিনির অল্টাধ্যায় খাজিয়া পাই নাই।-আছে কি না, বলিতে পারি না। কিন্তু কৃষ্ণ শব্দ যে পাণিনির পন্ডেব প্রচলিত ছিল, তদ্বিষয়ে কোন সংশয় নাই। কেন না, ঋগ্বেদসংহিতায় 8象之