পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিজ রচনাবলী এবং ঐতিহাসিক তত্ত্ব নিরাপণ জন্য এইরূপ একটি প্ৰমাণশাস্ত্রও আছে। উপস্থিত তত্ত্ব নিরাপণ জন্য সেইরাপ কতকগালি প্রমাণের নিয়ম সংস্থাপন করা যাইতে পারে; যথা ১ম,-আমরা পৰেব পৰবৰ্তসংগ্ৰহাধ্যায়ের কথা বলিয়াছি। যাহার প্রসঙ্গ সেই পন্বসংগ্ৰহাধ্যায়ে নাই, তাহা যে নিশ্চিত প্রক্ষিপ্ত, ইহাও বাবাইয়াছি। এইটিই আমাদিগের প্রথম সত্ৰ। ২য়-অনাক্ৰমণিকাধ্যায়ে লিখিত আছে যে, মহাভারতকার ব্যাসদেবই হউন, আর যিনিই হউন, তিনি মহাভারত রচনা করিয়া সাদ্ধাশত শ্লোকময়ী অনগ্রুমণিকায় ভারতীয় নিখিল বত্তান্তের সারা সঙ্কলন করিলেন। ঐ অনানুক্ৰমণিকাধ্যায়ের ৯৩ শ্লোক হইতে ২৫১ শ্লোক পৰ্য্যন্ত এইরূপ একটি সারসঙ্কলন আছে। যদিও ইহাতে সাদ্ধাশতের অপেক্ষা ৯টি শ্লোক বেশী হইল, তাহা না ধরিলেও চলে। এমনও হইতে পারে যে, ৯টি শ্লোক ইহারই মধ্যে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। এখন এই ১৫৯ শ্লোকের মধ্যে যাহার প্রসঙ্গ না পাইব, তাহা আমরা প্রক্ষিপ্ত বলিয়া বিবেচনা করিতে বাধ্য। ৩য়,-যাহা পরস্পর বিরোধী, তাহার মধ্যে একটি অবশ্য প্রক্ষিপ্ত। যদি দেখি যে, কোন ঘটনা দই বার বা ততোধিক বার বিবত হইয়াছে, অথচ দটি বিবরণ ভিন্নপ্রকার বা পরস্পরবিরোধী, তবে তাহার মধ্যে একটি প্রক্ষিপ্ত বিবেচনা করা উচিত। কোন লেখকই অনর্থক পািনরক্তি, এবং অনৰ্থক পনরাক্তি দ্বারা আত্মবিরোধ উপস্থিত করেন না। অনবধানতা বা অক্ষমতাবশতঃ যে পািনরক্তি বা আত্মবিরোধ হয়, সে সর্বতন্ত্ৰ কথা। তাহাও অনায়াসে নির্বাচন করা যায় । ৪র্থ-সংকবিদিগের রচনাপ্রণালীতে প্রায়ই কতকগলি বিশেষ লক্ষণ থাকে। মহাভারতের কতকগালি এমন অংশ আছে যে, তাহার মৌলিকতা সম্পবন্ধে কোন সন্দেহ হইতে পারে নাকেন না, তাহার অভাবে মহাভারতে মহাভারতত্ব থাকে না, দেখা যায় যে, সেগলির রচনাপ্রণালী সব্বত্র এক প্রকার লক্ষণবিশিলিট। যদি আর কোন অংশের রচনা। এরপ দেখা যায় যে, সেই সেই লক্ষণ তাহাতে নাই, এবং এমন সকল লক্ষণ আছে যে, তাহা পকেবােক্ত লক্ষণ সকলের সঙ্গে অসঙ্গত, তবে সেই অসঙ্গীতলক্ষণযক্ত রচনাকে প্রক্ষিপ্ত বিবেচনা করিবার কারণ উপস্থিত হয়। ৫ম-মহাভারতের কবি। একজন শ্রেষ্পাঠ কবি, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। শ্রেষ্পাঠ কবিদিগের বাণিতি চরিত্রগলির সব্বাংশ পরস্পর সসঙ্গত হয়। যদি কোথাও তাহার ব্যতিক্রম দেখা যায়, তবে সে অংশ প্রক্ষিপ্ত বলিয়া সন্দেহ করা যাইতে পারে। মনে কর, যদি কোন হস্তলিখিত মহাভারতের কাপিতে দেখি যে, স্থানবিশেষে ভীমের পরদারপরায়ণতা বা ভীমের ভীরতা বর্ণিত হইতেছে, তবে জানিব যে, ঐ অংশ প্রক্ষিপ্ত। ৬আঠ-যাহা অপ্রাসঙ্গিক, তাহা প্রক্ষিপ্ত হইলেও হইতে পারে, না হইলেও হইতে পারে। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে যদি পাৰেবােক্ত পাঁচটি লক্ষণের মধ্যে কোন লক্ষণ দেখিতে পাই, তবে তাহা প্রক্ষিপ্ত বিবেচনা করিবার কারণ আছে। ৭ম-যদি দাইটি ভিন্ন ভিন্ন বিবরণের মধ্যে একটিকে তৃতীয় লক্ষণের দ্বারা প্রক্ষিপ্ত লুং ছুটি অন্য কােন লক্ষণের অন্তগত হইবে, সেইটিকেই প্রক্ষিপ্ত বলিয়া পরিত্যাগ এখন এই পৰ্যন্ত ব্যবস্থান গেল। নিৰবাচনপ্রণালী ক্রমশঃ সপস্টতর করা যাইবে। একাদশ পরিচ্ছেদ-নিন্মবাচনের ফল মহাভারত পািনঃ পািনঃ পড়িয়া এবং উপরি লিখিত প্ৰণালীর অন্যবিত্তী হইয়া বিচারপাকবািক BDD sBBDD BBDBDDD BBS sBB BBB D Duu DD DDB DBDDBB SS BBS BDD DBDD কঙ্কাল; তাহতে পান্ডবদিগের জীবনবত্ত এবং আনষঙ্গিক কৃষ্ণকথা ভিন্ন আর কিছই নাই। ইহা বড় সংক্ষিপ্ত। বোধ হয়, ইহাই সেই চতুৰিবংশতিসহস্রশ্লোকাত্মিক ভারতসংহিতা তাহার পর আর এক স্তর আছে, তাহা প্ৰথম স্তর হইতে ভিন্ন লক্ষণাক্রোন্ত; অথচ তাহার অংশ সমদায় এক লক্ষণাক্রোন্ত। আমরা দেখিব যে, মহাভারতের কোন কোন অংশের রচনা অতি উদার, বিকৃতিশন্য, অতি উচ্চ কবিত্বপণ । অন্য অংশ অনদার, কিন্তু পরমার্থিক দার্শনিকতত্ত্বের 8ՀԵ