পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क् ब्रष्नाबळी घामम नब्रिटछा—अट्रेनननिक वा आँऊअङ्कङ এতদরে আমরা যে কথা পাইলাম, তাহা স্থলতঃ এই :-যে সকল গ্রন্থে কৃষ্ণকথা আছে, তাহার মধ্যে মহাভারত সৰবৰ্ধপৰিববিত্তীর্ণ। তবে, আমাদিগের মধ্যে যে মহাভারত প্রচলিত, তাহার তিন ভাগ প্রক্ষিপ্ত; এক ভাগ মাত্র মৌলিক। সেই এক ভাগের কিছ ঐতিহাসিকতা আছে। কিন্তু, সেই ঐতিহাসিকতা কতটকু ? এই প্রশেনর উত্তরে কেহ কেহ বলিবেন যে, সে বিচারে কিছমাত্র প্রয়োজন নাই। কেন না, মহাভারত ব্যাসদেবপ্রণীত; ব্যাসদেব মহাভারতের যন্ধের সমকালিক ব্যক্তি ; মহাভারত সমসাময়িক আখ্যান-Contemporary History, ইহার মৌলিক অংশ অবশ্য বিশ্বাসযোগ্য। এখন যে মহাভারত প্রচলিত, তাহাকে ঠিক সমসাময়িক গ্রন্থ বলিতে পারি না। আদিম মহাভারত ব্যাসদেবের প্রণীত হইতে পারে, কিন্তু আমরা কি তাহা পাইয়াছি ? প্রক্ষিপ্ত বাদ দিলে যাহা থাকে, তাহা কি ব্যাসদেবের রচনা ? যে মহাভারত এখন প্রচলিত, তাহা উগ্ৰশ্রীবাঃ সৌতি নৈমিষারণ্যে শৌনকাদি ঋষিদিগের নিকট বলিতেছেন। তিনি বলেন যে, জনমেজয়ের সপাসত্রে বৈশম্পায়নের নিকট যে মহাভারত শনিয়াছিলেন, তাহাই তিনি ঋষিদিগের শনাইবেন। স্থানান্তরে কথিত হইয়াছে যে, উগ্রীশ্রীবাঃ সৌতি তাঁহার পিতার কাছেই বৈশম্পায়ন-সংহিতা অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। এক্ষণে মহাভারতে ব্যাসের জন্মবািত্তান্তের পর, ৬৩ অধ্যায়ে, বৈশম্পায়ন কর্তৃকই কথিত হইয়াছে যে বেদানধ্যাপয়ামাস মহাভারতপঞ্চমান। সমস্তুং জৈমিনিং পৈলং শাকশ্চৈব সবমাত্মজম ৷ প্ৰভুৰবারিদ্ঠো বরদো বৈশম্পায়নমেব চ। সংহিতাস্তৈঃ পথিকত্বেন ভারতস্য প্রকাশিতঃ ॥-আদিপৰ্ব্ববা । ৬৩অ। ৯৫-৯৬ ৷৷ অর্থাৎ ব্যাসদেব, বেদ এবং পশ্চিম বেদ মহাভারত সমস্তু, জৈমিনি, পৈল, সর্বীয় পত্র শাক, এবং বৈশম্পায়নকে শিখাইলেন। তাঁহারা পথক পথক, ভারতসংহিতা প্রকাশিত করিলেন। তাহা হইলে, প্রচলিত মহাভারত বৈশম্পায়ন প্রণীত ভারতসংহিতা। ইহা জনমেজয়ের সভায় প্রথম প্রচারিত হয়। জনমেজয়, পাশডবদিগের প্রপৌত্র। সে যাহা হউক, উপস্থিত মহাভারত আমরা বৈশম্পায়নের নিকটও পাইতেছি না। উগ্রীশ্রীবাঃ বলিতেছেন যে, আমি ইহা বৈশম্পায়নের নিকট পাইয়াছি। অথবা তাঁহার পিতা বৈশম্পায়নের নিকট পাইয়াছিলেন, তিনি তাঁহার পিতার নিকট পাইয়াছিলেন। উগ্রীশ্রীবাঃ যাহা বলিতেছেন, তাহা আমরা আর এক ব্যক্তির নিকট পাইতেছি। সেই ব্যক্তিই বৰ্ত্তমান মহাভারতের প্রথম অধ্যায়ের প্রণেতা, এবং মহাভারতের অনেক স্থানে তিনিই বক্তা। তিনি বলিতেছেন, নৈমিষারণ্যে শৌনকাদি ঋষি উপস্থিত; সেখানে উগ্রীশ্রীবাঃ আসিলেন, এবং ঋষিগণের সঙ্গে উগ্ৰশ্ৰবাঞ্চর এই ভারত সম্পবন্ধে ও অন্যান্য বিষয়ে যে কথোপকথন হইল, তাহাও তিনি বলিতেছেন। তবে ইহা স্থির যে, (১) প্রচলিত মহাভারত আদিম বৈয়সিকী সংহিতা নহে। (২) ইহা বৈশম্পায়ন-সংহিতা বলিয়া পরিচিত, কিন্তু আমরা প্রকৃত বৈশম্পায়ন-সংহিতা পাইয়াছি কি না, তাহা সন্দেহ। তার পর প্রমাণ করিয়াছি যে, (৩) ইহার প্রায় তিন ভাগ প্রক্ষিপ্ত। অতএব আমাদের পক্ষে নিতান্ত আবশ্যক ষে, মহাভারতকে কৃষ্ণচরিত্রের ভিত্তি করিতে গেলে অতি সাবধান হইয়া এই গ্রন্থের ব্যবহার করিতে হইবে। এই সাবধানতার জন্য আবশ্যক যে, যাহা অতিপ্রকৃত বা অনৈসর্গিক, তাহাতে আমরা বিশ্বাস द क्रा ।

  • জৈমিনিভারতের নাম শানিতে পাওয়া যায়। ইহার অশ্বমেধ-পািকব বেবীর সাহেব দেখিয়াছেন। আর সকল বিলপ্ত হইয়াছে। আশ্বলায়ন গহ্যসত্রে আছে -“আিসমভুজৈমিনিবৈশম্পায়নপৈল-সন্ত্র-ভারতমহাভারত-ধৰ্ম্মমাচাৰ্য্যাঃ । তাহা হইলে সমস্তুসরকার, জৈমিনি ভারতকার, বৈশম্পায়ন মহাভারতকার, এবং পৈল ধর্মশাস্ত্রকার।

SSO