পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* न्याi STSTB BBuuuBLBDB BBBLBL LLDDDSSYBB DBB DBBD BDBS DBDS DBDB পন্ডিতদিগের ভ্ৰম এই যে, তাঁহারা মনে করেন যে, একও খানি পর্যাল একও ব্যক্তির লিখিত এই ভ্রমের বশীভূত হইয়া তাঁহারা বৰ্ত্তমান পরাণ সকলের প্রণয়নকাল নিরাপণ করিতে বসেন। বিষ্ণুতঃ কোনও পরাণান্তগত সকল বক্তান্তগালি এক ব্যক্তির প্রণীত নহে। বৰ্ত্তমান পরাণ সকল সংগ্ৰহ মাৱ। যাহ্বা সংগহীত হইয়াছে, তাহা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের রচনা। কথাটা একটি সকিস্তারে বাবাইতে হইতেছে। “পরাণ’ অর্থে আদৌ পরিাতন ; পশ্চাৎ পরাতন ঘটনার বিবাতি। সকল সময়েই পরাতন ঘটনা ছিল, এই জন্য সর্কল সময়েই পরাণ ছিল। বেদেও পরাণ আছে। শতপথৱাহ্মণে, গোপথব্রাহ্মণে, আশ্বলায়ন সত্রে, অথব্বসংহিতায়, বহদারণ্যকে, ছন্দোগ্যোপনিষদে, মহাভারতে, রামায়ণে, মানবধৰ্ম্মশাস্ত্ৰে সৰ্ব্বত্রই পরাণ প্রচলিত থাকার কথা আছে। কিন্তু ঐ সকল কোনও গ্রন্থেই বৰ্ত্তমান কোনও পরাণের নাম নাই। পাঠকের স্মরণ রাখা কত্তব্য যে, অতি প্রাচীন কালে ভারতবর্ষে লিপিবিদ্যা অর্থাৎ লেখা পড়া প্রচলিত থাকিলেও গ্রন্থ সকল লিখিত হইত না; মাখে মাখে রচিত, অধীত এবং প্রচারিত হইত। প্রাচীন পৌরাণিক কথা সকল ঐরাপ মখে মাখে প্রচারিত হইয়া অনেক সময়েই কেবল কিম্বদন্তী মাত্রে পরিণত হইয়া গিয়াছিল। পরে সময়বিশেষে ঐ সকল কিম্বদন্তী এবং প্রাচীন রচনা একত্রে সংগহীত হইয়া এক একখানি পরাশ সঙ্কলিত হইয়াছিল। বৈদিক সক্তি সকল ঐরাপে সঙ্কলিত হইয়া ঋক যজঃ সাম সংহিতাত্রয়ে বিভক্ত হইয়াছিল, ইহা প্ৰসিদ্ধ। যিনি বেদবিভাগ করিয়াছিলেন, তিনি এই বিভাগ জন্য ‘ব্যাস”। এই উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ‘ব্যাস’ তাঁহার ^ উপাধিমাত্ৰ-নাম নহে। তাঁহার নাম কৃষ্ণ এবং দ্বীপে তাঁহার জন্ম হইয়াছিল বলিয়া তাঁহাকে কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বলিত। এ স্থানে পরাণসঙ্কলনকৰ্ত্তার বিষয়ে দাইটি মত হইতে পারে। একটি মত এই যে, যিনি বেদবিভাগকৰ্ত্তা, তিনিই-ন্যে পরাণসঙ্কলনকৰ্ত্তা ইহা না হইতে পারে, কিন্তু যিনি পরাণসঙ্কলনকৰ্ত্তা, তাঁহারও উপাধি ব্যাস হওয়া সম্ভব। বৰ্ত্তমান অন্টাদশ পরাণ এক ব্যক্তি কর্তৃক অথবা এক সময়ে যে বিভক্ত ও সঙ্কলিত হইয়াছিল, এমন বোধ হয় না। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সঙ্কলিত হওয়ার প্রমাণ ঐ সকল পরাণের মধ্যেই আছে। তবে যিনিই কতকগলি পৌরাণিক বিত্তান্ত বিভক্ত করিয়া একখানি সংগ্ৰহ প্রস্তুত করিয়াছিলেন, তিনিই ব্যাস নামের অধিকারী। হইতে পারে যে, এই জন্যই কিম্বদন্তী আছে যে, অস্টোদশ পরাণই ব্যাসপ্রণীত। কিন্তু ব্যাস যে এক ব্যক্তি নহেন, অনেক ব্যক্তি ব্যাস উপাধি পাইয়াছিলেন, এরপ বিবেচনা করিবার অনেক কারণ আছে। বেদবিভাগকত্তা ব্যাস, মহাভারত প্রণেতা ব্যাস, অস্টোদশপরাণপ্রণেতা ব্যাস, বেদান্তসত্ৰকার ব্যাস, এমন কি-পাতঞ্জল দর্শনের টীকাকার একজন ব্যাস। এ সকলই এক ব্যাস হইতে পারেন না। সে দিন কাশীতে ভারত মহামন্ডলের অধিবেশন হইয়াছিল, সংবাদপত্রে পড়িলাম, তাহাতে দাই জন ব্যাস উপস্থিত ছিলেন। এক জনের নাম হরেকৃষ্ণ ব্যাস, আর এক জনের নাম শ্ৰীযক্ত অবিকা দত্ত ব্যাস। অনেক ব্যক্তি যে ব্যাস উপাধি ধারণা করিয়াছিলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। এ বেদবিভাগকৰ্ত্তা ব্যাস, মহাভারতপ্রণেতা ব্যাস, এবং অন্টাদশ পরাণের সংগ্ৰহকৰ্ত্তা আঠারটি ব্যাস যে এক ব্যক্তি নন, ইহাই সম্ভব বোধ হয়। দ্বিতীয় মত এই হইতে পারে যে, কৃষ্ণদ্বৈপায়নই প্রাথমিক পরাণসঙ্কলনকৰ্ত্তা। তিনি যেমন বৈদিক সক্তিগলি সঙ্কলিত করিয়াছিলেন, পরাণ সম্পবন্ধেও সেইরােপ একখানি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। বিষ্ণ, ভাগবত, অগ্নি প্রভৃতি পরাণ হইতে যে সকল শ্লোক উদ্ধত করিয়াছি, তাহাতে সেইরােপই ব্যব্যায়। অতএব আমরা সেই মতই অবলম্বন করিতে প্ৰস্তৃত আছি। কিন্তু তাহাতেও প্রমােণীকৃত হইতেছে যে, বেদব্যাস একখানি পরাণ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, আঠারখানি নহে। সেখানি নাই। তাঁহার শিষ্যেরা তাহা ভাঙ্গিয়া তিনখানি পরাণ করিয়াছিলেন, তাহাও নাই। কালক্রমে, নানা ব্যক্তির হাতে পড়িয়া তাহা আঠারখানি হইয়াছিল। l , , ইহার মধ্যে যে মতই গ্রহণ করা যাউক, পরাশবিশেষের সময় নিরূপণ করিবার চেষ্টায় কেবল vএই ফােলই পাওয়া যাইতে পারে যে, কবে কোন পরাণ সঙ্কলিত হইয়াছিল, তাহারই ঠিকনা হয়। কিন্তু তাও হয় বলিয়াও আমার বিশ্বাস হয় না। কেন না, সকল গ্রন্থের রচনা বা সাক্ষালনের পর নিতেন প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে ও পরাণ সকলে তাহা হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। অতএব কোন অংশ ধরিয়া সঙ্কলনসময় নিরূপণ কল্পিৰ? একটা উদাহরণের দ্বারা ইহা বন্ধাইতেছি। 瓣 ", 喀