পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী মহারাজ ! পানশাচ শ্রবণ করান। যাঁহার বাক্য মনোমধ্যে এক, কথনে দশ, লিখনে শত এবং কলহে সহস্ৰ, তিনিই বাবা। যাঁহার বল হন্তে একগণ, মাখে দশগণ, পন্ঠে শতগণ এবং কাৰ্য্যকালে অদশ্য, তিনিই বাবা। যাঁহার বদ্ধি বাল্যে পান্তকমধ্যে, যৌবনে বোতলমধ্যে, বাদ্ধক্যে গহিণীর অঞ্চলে, তিনিই বাবা। যাঁহার ইস্টদেবতা ইংরাজ, গাের ব্রাহ্মধৰ্ম্মমবেত্তা, বেদ দেশী সবাদপত্র এবং তীর্থ “ন্যাশানাল থিয়েটার", তিনিই বাব। যিনি মিসনরির নিকট খ্ৰীষ্টিয়ান, BBBSMBD DD DBBDS BBD DD DBS gB DBuBD DBBB DD DBDBS DDD বাব। যিনি নিজগহে জল খান, বন্ধগোহে মদ খান, বেশ্যাগহে গালি খান, এবং মনিবা সাহেবের গহে গলাধাক্কা খান, তিনিই বাবা। যাঁহার স্নানকালে তৈলে ঘণা, আহারকালে আপন অঙ্গালিকে ঘণা এবং কথোপকথনকালে মাতৃভাষাকে ঘণা, তিনিই বাবা। যাঁহার যত্ন কেবল পরিচ্ছদে, তৎপরতা কেবল উমেদারিতে, ভক্তি কেবল গহিণী বা উপগহিণীতে, এবং রাগ কেবল সদ্যগ্রন্থের উপর, নিঃসন্দেহ তিনিই বাবা। হে নরনাথ ! আমি যাঁহাদিগের কথা বলিলাম, তাঁহাদিগের মনে মনে বিশ্বাস জন্মিবে যে, আমরা তাম্বল চক্ৰবাণ করিয়া উপাধান অবলম্বন করিয়া দ্বৈভাষিকী কথা কহিয়া, এবং তামাকু জনমেজয় কহিলেন, হে মনিপঙ্গব! বাবদিগের জয় হউক, আপনি অন্য প্রসঙ্গ আরম্ভ করবেন। গন্নদািভ হে গাদ্দািভ! আমার প্রদত্ত, এই নবীন তৃণ সকল ভোজন করন ৷ ১ ৷৷ আমি বহাযত্নে, গোবৎসাদির অগম্য প্রান্তর সকল হইতে নবজািলকণা নিষেকসারভি তৃণাগ্রভাগ ছেদনপৰিবাক আমার প্রতি কৃপাবান হাউন। হে মহাভাগ!!! আপনার পজা করিব ইচ্ছা হইয়াছে; কেন না, আপনাকেই সব্বত্ৰ দেখিতে পাই। অতএব হে বিশ্বব্যাপিন! আমার পজা গ্রহণ করান। দেখিলাম, আপনি সব্বত্রই বসিয়া আছেন, সকলেই আপনার পজা করিতেছে। অতএব হে দীঘকণ! আমারও পজা গ্রহণ করবেন। হে গদগদ ভ! কে বলে তোমার পদগলি ক্ষদ্র। যেখানে সেখানে তোমারই বড় পদ দেখিয়া থাকি। তুমি উচ্চাসনে বসিয়া স্তাবকগণে পরিবত হইয়া, মোটা মোটা ঘাসের আটি খাইয়া থােক। লোকে তোমার শ্রবণেন্দ্ৰিয়ের প্রশংসা করে। তুমিই বিচারাসনে উপবেশন করিয়া, মহাকর্ণদ্বয় ইতস্ততঃ সঞ্চালন করিতেছ। তাহার অগাধ গহবর দেখিতে পাইয়া, উকীল নামক কবিগণ নানাবিধ কাব্যরস তন্মধ্যে ঢালিয়া দিতেছে। তখন তুমি শ্রবণতৃপ্তিসখে অভিভূত হইয়া নিদ্রা গিয়া থােক। হে বহঙ্গমশন্ড ! তখন সেই কাব্যরসে আদ্রীভূত হইয়া, তুমি দয়াময় হইয়া, অসীম দয়ার প্রভাবে রামের সব্বস্ব শ্যামকে দাও, শ্যামের সব্বস্ব কানাইকে দাও; তোমার দয়ার পার নাই। হে রাজকগহভূষণ! কখনও দেখিয়াছি, তুমি লাঙ্গল সঙ্গোপনপৰিবাক কাঠাসনে উপবেশন করিয়া, সরস্বতীমগডপমধ্যে বঙ্গীয় বালকগণকে গদ্যভালোক প্রাপ্তির উপায় বলিয়া দিতেছ। থােক। শনিয়া আমরা ভয় পাই। হে প্রকাডোদর! তুমিই চতুষ্পাঠীমধ্যে কুশাসনে উপবেশন করিয়া তৈলনিষিক্ত ললাটপ্ৰান্তরে চন্দনে নদী অঙ্কিত করিয়া, তুলটহন্তে শোভা পাও। তোমার কৃত শাস্ত্রের ব্যাখ্যা শনিয়া আমরা ধন্য ধন্য করিতেছি। অতএব হে মহাপশো! আমার প্রদত্ত কোমল তৃণাঙ্কুর ভোজন কর। তোমারই প্ৰতি লক্ষয়ীর কৃপা-তুমি নহিলে আর কাহারও প্রতি কমলার দয়া হয় না। তিনি তোমাকে কখনও ত্যাগ করেন না, কিন্তু তাঁহাকে বদ্ধির গণে সব্বদাই ত্যাগ করিয়া থাক । এই জন্যই লক্ষীর চাণীচল্য কলঙ্ক। অতএব হে সােপচ্ছে!! তৃণ ভোজন কর। SR