পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপরিপেী। বলবান বালক, ঐ সকল জন্তু গোপালগণের অনিষ্টকারী হইলে, তাহাদিগকে কৰি করা বিচিত্র নহে। কিন্তু ইহার একটিরও কথা বিষ্ণপরিাণে বা মহাভারতে, এমন কি, হরিবংশেও পাওয়া যায় না। সতরাং অমৌলিক বলিয়া তিনটি অসারের কথাই আমাদের পরিত্যাজ্য। এক বৎসােসর, বকসার এবং অঘাসরবধোপাখ্যান মধ্যে সেরাপ তত্ত্ব খাজিলে না পাওয়া যায়, এমত নহে। বন্দী খাতু হইতে বৎস; বনক, ধাতু হইতে কক, এবং অঘ ধাতু হইতে আঘ। বদ ধাতু প্রকাশে, বনক কৌটিলো, এবং অঘ পাপে। যাহারা প্রকাশ্যবাদী বা নিন্দক, তাহারা বৎস, কুটিল শত্রপক্ষ কক, পাপীরা অঘ। কৃষ্ণ অপ্রাপ্তকৈশোরেই এই ত্ৰিবিধ শত্র পরান্ত করিলেন। যজন্ধেবদের মাধ্যান্দিনী শাখার একাদশ অধ্যায়ে অগ্নিচয়নমন্ত্রের ৮o কন্ডিকায় যে মন্ত্র, তাহাতেও এইরূপ শত্রদিগের নিপাতনের প্রার্থনা দেখা যায়। মন্ত্রটি এইঃ “হে আগ্নে! যাহারা আমাদের অরাতি, যাহারা দ্বেষী, যাহারা নিন্দক এবং যাহারা জিঘাংস, এই চারি প্রকার শত্রকেই ভস্মসাৎ কর।”* এই মন্ত্রের বেশির ভাগ অরাতি অর্থাৎ যাহারা ধন দেয় না। (ভাষায় জয়াচোর), তাহদের নিপাতেরও কথা আছে। কিন্তু ভাগবতকার এই র্যাপক রচনাকালে এই মন্ত্রটি যে স্মরণ করিয়াছিলেন, এমত বোধ হয়। অথবা ইহা বলিলেই যথেস্ট হয় যে, ঐ রােপকের মােল ঐ মন্ত্রে আছে। তার পর ভাগবতে আছে যে, ব্ৰহ্মা কৃষ্ণকে পরীক্ষা করিবার জন্য একদা মায়ার দ্বারা সমস্ত গোপাল ও গোবৎসগণকে হরণ করিলেন। কৃষ্ণ আর এক সেটা রাখাল ও গোবৎসের সন্টি করিয়া পৰিবাবৎ বিহার করিতে লাগিলেন। কথাটার তাৎপৰ্য্য এই যে, ব্ৰহ্মাও কৃষ্ণের মহিমা বঝিতে অক্ষম। তার পর একদিন, কৃষ্ণ দাবানলের আগােন সকলই পান করিলেন। শৈবদিগের নীলকণ্ঠের বিষপানের উপন্যাস আছে। বৈষ্ণবচড়ামণি তাহার উত্তরে কৃষ্ণের অগ্নিপানের কথা ळिळ्नान् । এই বিখ্যাত কালিয়দমনের কথা বলিবার স্থান। কালিয়দমনের কথাপ্রসঙ্গমাত্র মহাভারতে নাই। হরিবংশে ও বিষ্ণপরিাণে আছে। ভাগবতে বিশিস্টরপে সম্প্রসারিত হইয়াছে। ইহা উপন্যাসমাত্র-অনৈসগিকতায় পরিপািণ । কেবল উপন্যাস নহে-রাপক। র্যাপকও অতি মনোহর । উপন্যাসটি এই। যমনার এক হ্রদে বা আব্বত্তে কালিয় নামে এক বিষধর সপ সপরিবারে বাস করিত। তাহার বহ ফণা। বিষ্ণপরিাণের মতে তিনটি হরিবংশের মতে পাঁচটি, ভাগবতে সহস্র। তাহার অনেক সত্ৰী পত্র পৌত্র ছিল। তাহাদিগের বিষে সেই আবত্তের জল এমন বিষময় হইয়া উঠিয়াছিল যে, তজজন্য নিকটে কেহ তিন্ঠিতে পারিত না। অনেক ব্ৰজবালক ও গোবৎস সেই জল পান করিয়া প্রাণ হারাইত। সেই বিষের জবালায়, তীরে কোন তৃণলতা বাক্ষাদিও বাঁচিত না। পক্ষিগণও সেই আবত্তের উপর দিয়া উড়িয়া গেলে বিষে জর্জরিত হইয়া জলমধ্যে পতিত হইত। এই মহাসপোের দমন করিয়া বান্দাবনস্থ জীবগণের রক্ষাবিধান, শ্ৰীকৃষ্ণের অভিপ্রেত হইল। তিনি উল্লম্মফনপৰিবাক হ্রদমধ্যে নিপতিত হইলেন। কলিয়। তাঁহাকে আক্রমণ করিল। তাহার ফণার উপর আরোহণ করিয়া বংশীধর গোপবালক মন্ত্যকরিতে লাগিলেন। ভুজঙ্গ সেই নত্যে নিপীড়িত হইয়া রধির বামনপািৰবাক মািমষ হইল। তখন তাহার বনিতাগণ কৃষ্ণকে মনীষাভাষায় স্তব করিতে লাগিল। ভাগবতকার তাহাদিগের মাখে যে স্তব বসাইয়াছেন, তাহা পাঠ করিয়া ভুজঙ্গমাঙ্গনাগণকে দশনশাস্ত্রে সপন্ডিতা বলিয়া বোধ হয়। বিষ্ণপরিাণে তাহদের মাখনিগত স্তব বড় মধর; পড়িয়া বোধ হয়, মনীষাপত্নীগণকে কেহ। গরলোশগারিণী মনে করেন করুন, নাগপত্নীগণ সধাবষিণী বটে। শেষ কালিয় নিজেও কৃষ্ণস্তুতি আরম্ভ করিল। শ্ৰীকৃষ্ণ সন্তুষ্ট হইয়া কালিয়কে পরিত্যাগ করিয়া যমনা পরিত্যাগপৰিবাক সমন্দ্ৰে গিয়া বাস করিতে তাহকে আদেশ করিলেন। কালিয় সপরিবারে পলাইল । যমােনা প্রসন্ন সলিলা হইলেন। এই গেল উপন্যাস। ইহার ভিতর যে রপেক আছে, তাহা এই। এই কলবাহিনী কৃষ্ণ সলিলা BDDBD BBBBD BBBu SDDYDkeiiDSS DBBD BD BB BDBB BBBLL

  • मामछीकृष्ठ रानीवान । tা “মাষ্যমং মশা ইহাতে, তিনটি বন্ধ্যায়।

$đề