পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই বাক্যালাপী কৃষ্ণের বিচিত্র, চরিত্র দেখিয়া ঘোষমধ্যে গোপকনগণ তখন তাঁহাকে দামোদর বলিত; পয়োধরস্থিতিহেতু উদ্ধৰমখ হৃদয়েব দ্বারা নিপীড়িত করিয়া সেই বরাজনগণ ভ্ৰমিতuBS BB DBD DBDDB BDBBD DDDBD DDDBBDBBD BBBD uDuBSDLD D SIVI নিবারিত হইয়াও রাত্রে কৃষ্ণের নিকটে গমন করিল। তাহারা সকলে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া , মনোহর ক্রীড়া করিল; এবং যন্মে ষণেম কৃষ্ণচরিত গান করিল। বরাঙ্গনা তরুণীগণ কৃষ্ণলীলানকোরিণী, কৃষ্ণে প্রণিহিতলোচনা, এবং কৃষ্ণের গমনানগামিনী হইল। কোন কোন ব্রজবালা হস্তাগ্নে তালাকুট্টনপুষ্পবাক কৃষ্ণচরিত আচরিত করিতে লাগিল। ব্ৰজযোষিদগণ, কৃষ্ণের নিত্য, গীত, বিলাসস্মিতবীক্ষণ অন্যাকরণপব্বক, সানন্দে ক্রীড়া করিতে লাগিল। কৃষ্ণপরায়ণা বরাঙ্গনাগণ ভাবনিস্যািদমধর গান করতঃ ব্রজে গিয়া সখে বিচরণ করিতে লাগিল। সম্প্ৰমত্ত হস্তীকে করেণগণ যেরপ ক্রীড়া করায়, শম্পক গোময় দ্বারা দিবন্ধাঙ্গ সেই গোপীগণ সেইরূপ কৃষ্ণের অনবৰ্ত্তন করিল। সহস্যবন্দনা কৃষ্ণমাগলোচনা অন্য বনিতাগণ ভাবোংফাল্ল লোচনের দ্বারা কৃষ্ণকে অতৃপ্ত হইয়া পান করিতে লাগিল! ক্রীড়ালালসাতৃষিতা গোপকন্যাগণ রাত্ৰিতে অনন্যক্রীড়াসক্ত হইয়া অব্জস প্রকাশ কৃষ্ণমখমন্ডল পান করিতে লাগিল। কৃষ্ণ হা হা ইতি শব্দ করিয়া গান করিলে কৃষ্ণমখনিঃসতে সেই বাক্য, বরাঙ্গনাগণ আহমাদিত হইয়া গ্ৰহণ করিল। সেই গোপযোষিক্ষগণের ক্রীড়াশ্রান্তিপ্রযক্ত আকুলীকৃত সীমান্তগ্রথিত কেশদাম কুচাগ্নে বিস্রস্ত হইতে লাগিল। চক্রবালালঙ্কৃত শ্ৰীকৃষ্ণ এইরূপ সচন্দ্রা শারদী নিশাতে সমুখে গোপীদিগের সহিত আনন্দ করিতে লাগিলেন।” বিষ্ণপরিাণ হইতে রাসলীলাতত্ত্ব অন্যবাদ কালে 'রম’ ধাতু হইতে নিম্পন্ন শব্দ সকলের ষেরপ ক্রীড়াথে অন্যবাদ করিয়াছি, এই অনাবাদেও সেই সকল কারণে ঐ সকল শব্দের ক্রীড়ার্থ প্রতিশব্দ ব্যবহার করিয়াছি। জোর করিয়া বলা যাইতে পারে যে, অন্য কোনরূপ প্রতিশব্দ ব্যবহার হইতে পারে না। যথা “তাকুন্তু পংক্তীকৃতঃ সব্বা রময়ন্তি মনোরমম।” এখানে ক্রিীড়ার্থে ভিন্ন রত্যৰ্থে ‘রময়ন্তি’ শব্দ কোন রকমেই ববয়া যায় না। যাঁহারা অনরাপ অন্যবাদ করিয়াছেন, তাঁহারা পকেবাপ্ৰচলিত কুসংস্কারবশতঃই করিয়াছেন। এই হাল্লীষক্রিীড়াবৰ্ণনা বিষ্ণপরিাণকৃত রাসবৰ্ণনার অনগামী। এমন কি, এক একটি শ্লোক উভয় গ্রন্থে প্রায় একই। যথা, বিষ্ণপরিাণে আছে “তা বাষ্যমাণাঃ পতিভিঃ পিতৃভিঃ ভ্ৰাতৃভিস্তথা। কৃষ্ণং গোপাঙ্গানা রাত্ৰৌ মািগয়ন্তে রতিপ্রিয়াঃ ॥ হরিবংশে আছে “তা বাযমাণাঃ পিতৃভিঃ ভ্ৰাতৃভিন্মাতৃভিস্তথা। কৃষ্ণং গোপাঙ্গনা রাত্রেী রময়ন্তি রতিপ্রিয়া৷” তবে বিষ্ণপরিাণের অপেক্ষা হরিবংশের বর্ণনা সংক্ষিপ্ত। অন্যান্য বিষয়ে সচরাচর সেরাপ দেখা যায় না। সচরাচর দেখা যায়, বিষ্ণপরিাণে যাহা সংক্ষিপ্ত, হরিবংশে তাহা বিস্তৃত এবং নানা প্রকার নাতন উপন্যাস ও অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। হরিবংশে রাসলীলার এইরূপ সংক্ষেপবর্ণনার একটি কারণও আছে। উভয় গ্রন্থ সবিস্তারে তুলনা করিয়া দেখিলে বঝা যায় যে, কবিত্বে, গাম্ভীৰ্য্যে, পশিডত্যে এবং ঔদায্যে হরিবংশকার বিষ্ণপরিাণকারের অপেক্ষা অনেক লঘ। তিনি বিষ্ণপরিাণের রাসবৰ্ণনার নিগঢ়ি তাৎপর্য এবং গোপীগণকৃত ভক্তিযোগ দ্বারা কৃষ্ণে একাত্মতা প্ৰাপ্তি বঝিতে পারেন নাই। তাহা না বঝিতে পারিয়াই সেখানে বিষ্ণপরিাণকার লিখিয়াছেন সেখানে হরিবংশকার লিখিয়া বসিয়াছেন, и.. “তান্তং পয়ােধৱোত্তানৈরারোভিঃ সমপীড়য়না।” ইত্যাদি ل প্রভেদটকু এই যে, বিফপুরাণের চপলা বালিকা আনন্দে চণ্ডলা, আর হরিবংশের এই গোপীগণ বিলাসিনীর ভাব প্রকাশ করিতেছে। হরিবংশকারের অনেক স্কুলে বিলাস প্রিয়তার