পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌরী লক্ষীমহাভাগা কেশবো বরণঃ স্বয়ম। শ্ৰীদেবসেনা বিপ্ৰেলদ! দেবসেনাপতিহারিঃ ॥ ২৬ ৷৷ অবস্টভো গদাপাণিঃ শক্তিলক্ষী দ্বিজোত্তম ! । কাঠা লক্ষীনিমেষোহসৌ মহত্তোহসৌ কলা তু সা। জ্যোৎস্না লক্ষীঃ প্ৰদীপোহসৌ সৰবঃ সৰোবশ্বরে হরিঃ ৷৷ ২৭ ৷৷ লতাভূতা জগন্মাতা শ্ৰীবিষ্ণদ্রািমসংস্থিতঃ ৷৷ ২৮ ৷৷ বিভােবরী শ্ৰী দিবসো দেবীশচক্ৰেগদাধরঃ । বরপ্রদো বরো বিষ্ণবধঃ পদ্মবন্যালয়া৷ ২৯ ৷৷ নদীসম্বর পো ভগবান শ্ৰীনদীরপসংস্থিতিঃ। ধবজশ্চ পডরীকক্ষঃ পতাকা কমলালয়া৷ ৩o ৷ তৃষ্ণা লক্ষীজগৎস্বামী লোভো নারায়ণঃ পরঃ। রীতিরাগৌ চ ধৰ্ম্মমাজ্ঞা! লক্ষীগোবিন্দ এবং চ ৷৷ ৩১ ৷৷ কিণ্ডাতিবহনোক্তেন সংক্ষেপেণেদমচ্যতে। দেবীতিযক্তিমনষ্যাদেী পংনাচ্ছিন্ন ভগবান হরিঃ। সত্ৰীনন্দিন লক্ষীমৈত্রেয়! নানিয়োবিদ্যতে পরম ৷৷ ৩২ ৷“ শ্ৰীবিষ্ণপরিাণে প্রথমেহংশে অল্টমোহ ধ্যায়ঃ { “বিষ্ণর শ্ৰী সেই জগন্মাতা অক্ষয় এবং নিত্য। হে দ্বিজোত্তম! বিষ্ণ। সব্বগত, ইনিও সেইরােপ। ইনি বাক্য, বিষ্ণ, অর্থ; ইনি নীতি, হরি নয়; ইনি বদ্ধি, বিষ্ণ, বোধ: ইনি ধৰ্ম্ম, ইনি সংক্রিয়া; বিষ্ণ, স্লন্টা, ইনি সন্টি; শ্ৰী ভূমি, হরি ভূধর; ভগবান সন্তোষ, হে মৈত্রেয়! লক্ষমী শাশ্বতী তুলিস্ট; শ্ৰী ইচ্ছা, ভগবান কাম; তিনি যজ্ঞ, ইনি দক্ষিণা; জানান্দন পরোডাশ, দেবী আদ্যাহতি; হে মনে ; লক্ষী পত্নীশালা, মধ্যসািদন প্রাপ্তবংশ; হরি যােপ, লক্ষয়ী চিতি; ভগবান কুশ, শ্ৰী ইধমা; ভগবান সাম, কমলালয় উদ্গতি; লক্ষী সবাহা, জগন্নাথ বাসদেব অগ্নি; ভগবান শৌরি শঙ্কর, হে দ্বিজোত্তম! লক্ষী গৌরী ; হে মৈত্রেয়! কেশব সােয্য, কমলালয়া তাঁহার প্রভা; বিষ্ণ, পিতৃগণ, পদ্মা নিত্য,তুমিষ্টদা সাবধা; শ্ৰী সবগ, সব্বাত্মক বিষ্ণ অতিবিস্তৃত আকাশস্বরপ; শ্ৰীধর চন্দ্ৰ, শ্ৰী তাঁহার অক্ষয় কান্তি; লক্ষী জগচেস্টা ধতি, বিষ্ণ সৰ্ব্বত্ৰগ বায়; হে দ্বিজা! গোবিন্দ জলধি, হে মহামতো! শ্ৰী তাঁহার বেলা; লক্ষী ইন্দ্ৰাণীসাবরাপা, মধ্যসদন দেবেন্দ্ৰ; চক্ৰধর সাক্ষাৎ যম, কমলালয়া ধমেণা; শ্ৰী ঋদ্ধি, শ্ৰীধর স্বয়ং দেব ধনেশ্বর; কেশব স্বয়ং বরণ, মহাভাগা লক্ষয়ী গৌরী ; হে বিপ্রেন্দ্ৰ ! শ্ৰী দেবসেনা, হরি দেবসেনাপতি; গদাধর পরষকার, হে দ্বিজোত্তম! লক্ষমী শক্তি ; লক্ষী কাঠা, ইনি নিমেষ; ইনি মহত্ত, তিনি কলা ; লক্ষী আলোক, সব্বেশ্বর হরি সব প্ৰদীপ ; জগন্মাতা শ্ৰী লতাভুতা, বিষ্ণ, দ্রােমরাপে সংস্থিত; শ্ৰী বিভােবরী, দেবচক্ৰগদাধর দিবস ; বিষ্ণ, বরপ্রদ। বর, পদ্মবন্যালয়া বধ্য; ভগবান নন্দস্বর্যপী, শ্ৰী নদীর পা; পডরীকক্ষ ধবজ, কমলালয়া পতাকা; লক্ষী তৃষ্ণা, জগৎস্বামী নারায়ণ পরম লোভা; হে ধৰ্মমভােৱ! লক্ষী রতি, গোবিন্দ রাগ; অধিক উক্তির প্রয়োজন নাই, সংক্ষেপে বলিতেছি, দেব। তিয্যক মনষ্যাদিতে পংনামবিশিস্ট হরি, এবং সত্ৰীনামবিশিষ্টা লক্ষী। হে মৈত্রেয়! এই দাই ভিন্ন আর কিছই নাই।” বেদান্তের যাহা মায়াবাদ সালেখ্য তাহা প্রকৃতিবাদ। প্রকৃতি হইতে শক্তিবাদ। এই কয়টি শ্লোকে শক্তিবাদ এবং অদ্বৈতবাদ মিলিত হইল। বোধ হয়, ইহাই সমরণ রাখিয়া ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তকার লিখিয়াছেন যে, কৃষ্ণ রাধাকে বলিতেছেন যে, তুমি না থাকিলে, আমি কৃষ্ণ, এবং তুমি থাকিলে আমি শ্ৰীকৃষ্ণ। বিষ্ণপরিাণকথিত এই শ্ৰী লইয়াই তিনি শ্ৰীকৃষ্ণ। পাঠক দেখিবেন, বিষ্ণপরিাণে যাহা শ্ৰী সম্বন্ধে কথিত হইয়াছে, ব্রহ্মবৈবত্তে রাধা সম্বন্ধে ঠিক তােহাঁই কথিত হইয়াছে। রাধা। সেই শ্ৰী। পরিচ্ছেদের উপর আমি শিরোনাম দিয়াছি, “শ্ৰী রাধা”। রাধা ঈশ্বরের শক্তি, উভয়ের বিধিসম্পাদিত পরিণয়, শক্তিমানের শক্তির সাক্ষত্তি, এবং শক্তিরই বিকাশ উভয়ের বিহার। যে ব্ৰহ্মবৈবত্ত পরাণ এক্ষণে বিদ্যমান আছে, তৎকথিত “রাধাতত্ত্ব’ কি, তাহা বোধ করি এতক্ষণে পাঠককে বঝাইতে পারিলাম। কিন্তু আদিম ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত পরাণে “রাধাতত্ত্ব’ ছিল কি ? বোধ হয় ছিল; কিন্তু এ প্রকার নহে। বৰ্ত্তমান ব্ৰহ্মবৈবত্তে রাধা শব্দের ব্যৎপত্তি অনেক প্রকার S8