পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

swappoggiana -- নন্দালয় হইতে মথরায় পািনরানীত হইয়াছিলেন। পক্ষবর্ধ-পরিচ্ছেদে মহাভারত হইতে যে কৃষ্ণবাক্য উদ্ধৃত করা গিয়াছে, তাহা হইতে এরপ অননুমানই সঙ্গত যে, কংসবধের অনেক পািৰব। হইতেই তিনি মথ রায় বাস করিতেছিলেন, এবং মহাভারতের সভাপবে শিশপালকৃত কৃষ্ণনিলন্দায় দেখা যায় যে, শিশপাল তাঁহাকে কংসের অন্নভোজী বলিতেছে “যস্য চানেন ধৰ্ম্মজ্ঞ ভুক্তমন্নং বলীয়সঃ। স চানেন হ্যতঃ কংস ইত্যেতম মহাদ্ভুতং ৷” মহাভারতম, সভাপব্ব, ৪o অধ্যায়ঃ। অতএব বোধ হয়, শিক্ষার সময় উপস্থিত হইতে না হইতেই কৃষ্ণ মথ রায় আনীত হইয়াছিলেন। বন্দোবনের গোপীদিগের সঙ্গে প্রথিত কৈশোরলীলা যে উপন্যাস মাত্র, ইহা उाशाद अन्Iउद्ध 2भा० । মথরাবাসকালেও তাঁহার কিরােপ শিক্ষা হইয়াছিল, তাহারও কোন বিশিষ্ট বিবরণ নাই। কেবল সান্দীপনি মানির নিকট চতুঃষষ্টি দিবস অস্ত্রশিক্ষার কথাই আছে। যাঁহারা কৃষ্ণকে ঈশ্বর বলিয়া জানেন, তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ বলিতে পারেন, সব্বজ্ঞা ঈশ্বরের আবার শিক্ষার প্রয়োজন কি ? তাহার উত্তরে বলা যাইতে পারে যে, তবে চতুঃষষ্টি দিবস সান্দীপনিগহে। শিক্ষারই বা প্রয়োজন কি ? ফলতঃ কৃষ্ণ ঈশ্বরের অবতার হইলেও মানবধৰ্ম্মাবলম্বী এবং মানষিী শক্তি দ্বারাই সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন, এ কথা আমরা পৰেবা বলিয়াছি এবং এক্ষণেই তাহার ভুরি ভুরি প্রমাণ দেখাইব। মানষিী শক্তি দ্বারা। কৰ্ম্ম করিতে গেলে, শিক্ষার দ্বারা সেই মানষিী শক্তিকে অনশীলিত এবং স্ফরিত করিতে হয়। যদি মানষিী শক্তি সেই স্বতঃস্ফরিত হইয়া সব্বকাৰ্য্যসাধনক্ষম হয়, তাহা হইলে সে ঐশী শক্তি-মানষিী শক্তি নহে। কৃষ্ণের যে মানষিী শিক্ষা হইয়াছিল, তাহা এই সান্দীপনিবত্তান্ত ভিন্ন আরও প্রমাণ আছে। তিনি সমগ্র বেদ অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। মহাভারতের সভাপব্বে অঘাভিহরণ-পব্বাধ্যায়ে কৃষ্ণের পাজ্যতা বিষয়ে ভীস্ম একটি হেতু এই নিৰ্দেশ করিতেছেন যে, কৃষ্ণ নিখিল বেদবেদাঙ্গপারদর্শী। তােদশ বেদবেদাঙ্গজ্ঞানসম্পন্ন দ্বিতীয় ব্যক্তি দলভ। “বেদবেদাঙ্গবিজ্ঞানং বলং চাপ্যাধিকং তথা । নণাং লোকে হি কোহন্যোহস্তি বিশিষ্টঃ কেশবাদতো৷” মহাভারতম, সভাপৰিব, ৩৮ অধ্যায়ঃ। মহাভারতে কৃষ্ণের বেদজ্ঞতা সম্পবন্ধে এইরূপ আরও ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যায়। এই বেদজ্ঞতা তাঁহার সম্ভবতঃলন্ধও নহে। ছান্দোগ্য উপনিষদে প্রমাণ পাইয়াছি যে, তিনি আঙ্গিরসবংশীয় ঘোর ঋষির নিকট অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। সে সময়ে শ্রেদ্ঠ ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয়দিগের উচ্চশিক্ষার উচ্চাংশকে তপস্যা বলিত। শ্রেষ্ঠ রাজষিগণ কোন সময়ে না কোন সময়ে তপস্যা করিয়াছিলেন, এইরপ কথা প্রায় পাওয়া যায়। আমরা এক্ষণে তপস্যা অর্থে যাহা বঝি, বেদের অনেক স্থানেই দেখা যায় যে, তপস্যার প্রকৃত অর্থ তাহা নহে। আমরা বঝি, তপস্যা অর্থে বনে বসিয়া চক্ষ বজিয়া নিশ্বাস রদ্ধি করিয়া পানাহার ত্যাগ করিয়া ঈশ্বরের ধ্যান করা। কিন্তু দেবতাদিগের মধ্যে কেহ কেহ এবং মহাদেবও তপস্যা করিয়াছিলেন, ইহাও কোন কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়। বিশেষতঃ শতপথব্রাহ্মণে আছে যে, স্বয়ং পরব্রহ্ম সিসক্ষে হইলে তপস্যার দ্বারাই সন্টি করিলেন, যথা সোহাকাময়ত। বহিঃ স্যাং প্ৰজায়েয়েতি। সি তপোহাতপাত। সি তপস্তপ্ত বা ইদং সৰবৰ্তমসজিত ॥* BueS SDD BBD DBBDBBBS DD BDBD BDBD DBD BDS DD BBD DDuuBB তপস্যা করিয়া এই সকল সন্টি করিয়াছিলেন।” এ সকল স্থানে তপস্যা অর্থে এই রকমই বঝিতে হয় যে, চিত্ত সমাহিত করিয়া আপনার শক্তি সকলের অনশীলন ও সফরণ করা। মহাভারতে কথিত আছে যে, কৃষ্ণ দশ বৎসর হিমালয় পৰ্ব্ববর্ততে তপস্যা করিয়াছিলেন। মহাভারতের ঐশিক পক্ষোিব লিখিত আছে যে, অশ্বথামাপ্রযক্ত ব্ৰহ্মশিরা অস্ত্রের দ্বারা উত্তরার গভপাতের সম্ভাবনা হইলে, কৃষ্ণ সেই মতশিশকে ২। বল্লী, ৬ অনাবাক । SAA