পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ধে করিতেই হইল, তবে যত অলপ মনয্যের প্রাণহানি করিয়া কাৰ্য্য সম্পন্ন করা যায়, ধাৰ্ম্মিকের তাহাই কৰ্ত্তব্য। আমরা মহাভারতের সভাপব্বে জরাসন্ধবধ-পািকেবাধ্যায়ে দেখিব যে, যাহাতে অন্য কোন মনষ্যের জীবন হানি না হইয়া জরাসন্ধবধ সম্পন্ন হয়, কৃষ্ণ তাহার সদ্যপায় উদ্ভূত করিয়াছিলেন। কালযবনের যন্ধেও তাঁহাই করিলেন। তিনি সসৈন্যে কালাঘবনের সম্মুখীন না হইয়া কালষবনের বন্ধাৰ্থ কৌশল অবলম্বন করিলেন। একাকী কালযবনের শিবিরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। কালযবন তাঁহাকে চিনিতে পারিল। কৃষ্ণকে ধরিবার জন্য হাত বাড়াইল, কৃষ্ণ ধরা না দিয়া পলায়ন করিলেন। কালযবন তাঁহার পশ্চাদ্ধাবিত হইল। কৃষ্ণ যেমন বেদে বা যদ্ধবিদ্যায় সপন্ডিত, শারীরিক ব্যায়ামেও তদুপ। সপারগ। আদর্শ মনষ্যের এইরূপ হওয়া উচিত, আমি "ধৰ্ম্মতত্ত্বে” দেখাইয়াছি। অতএব কালযবন কৃষ্ণকে ধরিতে পারিলেন না। কৃষ্ণ কালযবন কর্তৃক অন্যাসত হইয়া এক গিরিগােহর মধ্যে প্রবেশ করিলেন। কথিত আছে, সেখানে মাচুকুন্দ নামে এক ঋষি নিদ্রিত ছিলেন। কালযবন গহন্ধকারমধ্যে কৃষ্ণকে দেখিতে না পাইয়া, সেই ঋষিকেই কৃষ্ণন্দ্রমে পদাঘাত করিল। পদাঘাতে উৰিষদ হইয়া ঋষি কালযবনের প্রতি দন্টিপাত করিবামাত্র কালযবন ভস্মীভূত হইয়া গেল। এই অতিপ্রকৃত ব্যাপারটাকে আমরা বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত নাহি। স্থল কথা এই বঝি যে, কৃষ্ণ কৌশল্যাবলম্বনপর্বক কালযবনকে তাহার সৈন্য হইতে দরে লইয়া গিয়া, গোপন স্থানে তাহার সঙ্গে দ্বৈরথ্য যাদ্ধ করিয়া তাহাকে নিহত করিয়াছিলেন। কালযবন নিহত হইলে, তাহার সৈন্য সকল ভঙ্গ দিয়া মথরা পরিত্যাগ করিয়া গেল। তাহার পর জরাসন্ধের অন্টাদশ আক্রমণ, -সে বারও জরাসন্ধ বিমখ হইল। উপরে যেরপ বিবরণ লিখিত হইল, তাহা হরিবংশে ও বিষ্ণবাদিপরাণে আছে। মহাভারতে জরাসন্ধের যেরপ পরিচয় কৃষ্ণ স্বয়ং যাধিস্ঠিরের কাছে দিয়াছেন, তাহতে এই অন্টাদশ বার যদ্ধের কোন কথাই নাই। জরাসন্ধের সঙ্গে যে যাদবদিগের যাদ্ধ হইয়াছিল, এমন কথাও সাপস্টতঃ নাই। যাহা আছে, তাহাতে কেবল এইটকু বঝা যায় যে, জরাসন্ধ মথরা একবার আক্রমণ করিতে আসিয়াছিলেন, কিন্তু হংস নামক তাঁহার অনাগত কোন বীর বলদেব কর্তৃক নিহত হওয়ায় জরাসন্ধ দঃখিত মনে সাবস্থানে প্রস্থান করিয়াছিলেন। সেই স্থান আমরা উদ্ধত “কিয়াংকাল অতীত হইল, কংস যাদবগণকে পরাভূত করিয়া সহদেবা ও অনজা নামে বাহাদুথের দাই কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিল। ঐ দরোত্মা স্বীয় বাহবিলে জ্ঞাতিবগকে পরাজয় করতঃ সব্বাপেক্ষা প্রধান হইয়া উঠিল। ভোজবংশীয় বদ্ধ ক্ষত্ৰিয়গণ মঢ়মতি কংসের দৌরাত্ম্যে সাতিশয় ব্যথিত হইয়া জ্ঞাতিবেগকে পরিত্যাগ করিবার নিমিত্ত আমাকে অনরোধ করিলেন। আমি তৎকালে অনুকুরকে আহককন্যা প্ৰদান করিয়া জ্ঞাতিবগের হিতসাধনাৰ্থ বলভদ্র সমভিব্যাহারে কংস ও সনামকে সংহার করিলাম। তাহাতে কংসভয় নিবারিত হইল বটে, কিন্তু কিছুদিন পরেই জরাসন্ধ প্রবল পরাক্রান্ত হইয়া উঠিল। তখন আমরা জ্ঞাতি বন্ধগণের সহিত একত্র হইয়া পরামর্শ করিলাম যে, যদি আমরা শত্ৰনাশক মহাসত্র দ্বারা তিন শত বৎসর অবিশ্রাম জরাসন্ধের সৈন্য বধ করি, তথাপি নিঃশেষিত করিতে পারিব না। দেবতুল্য তেজস্বী মহাবলপরাক্রান্ত হংস ও ডি-বক নামক দই বীর তাহার অনাগত আছে; উহারা অস্ত্রাঘাতে কদাচ নিহত হইবে না। আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, এই দই বীর এবং জরাসন্ধ এই তিন জন একত্র হইলে ত্ৰিভুবন বিজয় করিতে পারে। হে ধৰ্ম্মরাজ! এই পরামর্শ কেবল আমাদিগের অভিমত হইল এমত নহে, অন্যান্য ভূপতিগণও উহাতে অন্যামোদন করিবেন। হংস নামে সবিখ্যাত এক নরপতি ছিলেন। বলদেব তাঁহাকে সংগ্রামে সংহার করেন। ডিম্পকক লোকমখে হংস মরিয়াছে, এই কথা শ্রবণ করিয়া নামসাদশ্যপ্রযক্ত তাহার সহচর হিংস DDB BB DDDBDBLB BDD DDD DDDB S EBB DBB D DBDD BD BD DBB LBBB DS এই বিবেচনা করতঃ যমনায় নিমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করিল। এ দিকে তৎ-সহচর হংসও পরম প্রশয়া সম্পদ ডিম্বাবকে আপনি মিথ্যা মাতুত্যুসংবাদ শ্রবণে প্রাণত্যাগ করিতে শ্ৰবণ করিয়া যৎপরোনাহিত দঃখিত হইয়া যমানাজলে আত্মসমপণ করিল। জরাসন্ধ এই দই বীর পরিষের নিধনবাত্ত শ্ৰবণে যৎপরোেনান্তি দঃখিত ও শািনমনা হইয়া সম্ভবনগরে প্রস্থান করিলেন। জরাসন্ধ বিমানা হইয়া সবেপরে গমন করিলে পর আমরা পরমহাদে মাথারায় বাস করিতে লাগিলাম ? ' ' S-0S 8 t's