পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Patim কিয়দিনান্তর পতিবিয়োগ-দঃখিনী জরাসন্ধনন্দিনী সর্বীয় পিতার সমীপে আগমন পৰিবেক “আমার পতিহস্তাকে সংহার কর’ বলিয়া বারংবার তাঁহাকে অন্যরোধ করিতে লাগিলেন। আমরা পন্ধেবই জরাসন্ধের বলবিক্রমের বিষয় স্থির করিয়াছিলাম, এক্ষণে তাহা স্মরণ করতঃ সাতিশয় উৎশিষ্ঠত হইলাম। তখন আমরা আমাদের বিপােল ধনসম্পত্তি বিভাগ করতঃ সকলে কিছু কিছ লইয়া প্ৰস্থান করিব, এই স্থির করিয়া সাবস্থান পরিত্যাগ পৰিবাক পশ্চিমদিকে পলায়ন করিলাম। ঐ পশ্চিম দেশে রৈবতোপশোভিত পরম রমণীয় কুশস্থলীনাম্পানী পরীতে বাস করিতেছি। -তথ্যায়। এরপ দাগ সংস্কার করিয়াছি যে, সেখানে থাকিয়া ব্যষ্ণিবংশীয় মহারাথিদিগের কথা দরে থাকুক, সন্ত্রীলোকেরাও অনায়াসে যাদ্ধ করিতে পারে। হে রাজনী! এক্ষণে আমরা অকুতোভয়ে ঐ নগরীমধ্যে বাস করিতেছি। মাধবগণ সমস্ত মগধদেশব্যাপী সেই সৰবশ্রেষ্ঠ রৈবতক পৰ্ব্বত দেখিয়া পরম আহমাদিত হইলেন। হে কুরকুলপ্রদীপ ! আমরা সামর্থ্যব্যক্তি হইয়াও জরাসন্ধের উপদ্রবভিয়ে পৰ্ব্ববত আশ্রয় করিয়াছি। ঐ পৰবত দৈঘ্যে তিন যোজন, প্রস্থে এক যোজনের অধিক এবং একবিংশতি শঙ্গযক্তি। উহাতে এক এক যোজনের পর শত শত দ্বার এবং অত্যুৎকৃষ্ট উন্নত তোরণ সকল আছে। যাদ্ধদক্ষমাদ মহাবলপরাক্রান্ত ক্ষত্ৰিয়গণ উহাতে সব্বদা বাস করিতেছেন। হে রাজনী ! আমাদের কুলে অন্টাদশ সহস্র ভ্রাতা আছে। আহকের একশত পত্র, তাহারা সকলেই অমরতুল্য। চারীদেষ্ণ ও তাঁহার ভ্রাতা, চক্ৰদেব, সাত্যকি, আমি, বলভদ্র, যাদ্ধবিশারদ শাম্পব-আমরা এই সাত জন রথী; কৃতকমা, অনাবলিিট, সমীক, সমিতিঞ্জয়, কক্ষ, শঙ্কু ও কুন্তি, এই সাত জন মহারথী, এবং অন্ধকভোজের দই বদ্ধ পত্র ও রাজা এই মহাবলপরাক্রান্ত দঢ়কলেবর দশ জন মহাবীর-ই হারা সকলেই জরাসন্ধাধিকৃত মধ্যম দেশ সমরণ করিয়া যদ্যবংশীয়দিগের সহিত মিলিত হইয়াছেন।” এই জরাসন্ধবধ-পািব্বাধ্যায় প্রধানতঃ মৌলিক মহাভারতের অংশ বলিয়া আমার বিশ্বাস । দ্য একটা কথা প্রক্ষিপ্ত থাকিতে পারে, কিন্তু অধিকাংশই মৌলিক। যদি তাহা সত্য হয়, তাহা হইলে, কৃষ্ণের সহিত জরাসন্ধের বিরোধ-বিষয়ে উপরি উক্ত বৰ্ত্তান্তই প্রামাণিক বলিয়া আমাদিগকে গ্রহণ করিতে হইবে। কেন না, পন্বে বাবাইয়াছি যে, হরিবংশ এবং পরাণ সকলের অপেক্ষা মহাভারতের মৌলিকাংশ অনেক প্রাচীন। যদি এ কথা যথার্থ হয়, তবে জরাসন্ধকৃত অল্টাদশ বার মাথারা আক্রমণ এবং অন্টাদশ বার তাহার পরাভব, এ সমস্তই মিথ্যা গল্প। প্রকৃত বত্তান্ত এই হইতে পারে যে, একবারমাত্র মাথারা আক্রমণে আসিয়াছিল এবং নিৰ্ম্মফল হইয়া প্রত্যাবত্তন করিয়াছিল। দ্বিতীয়বার আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু কৃষ্ণ দেখিলেন যে, চতুন্দিকে সমতল ভূমির মধ্যবত্তীর্ণ মাথারা নগরীতে বাস করিয়া জরাসন্ধের অসংখ্যসৈন্যকৃত পািনঃপািনঃ অবরোধ নিৰ্ম্মফল করা অসম্ভব। অতএব যেখানে দগনিশ্চমাণপৰ্ব্ববক দােগাশ্রয়ে ক্ষদ্র সেনা রক্ষা করিয়া জরাসন্ধকে বিমাখ করিতে পরিবেন, সেইখানে রাজধানী তুলিয়া লইয়া গেলেন। দেখিয়া জরাসন্ধ আর সে দিকে ঘোষিলেন না। জয়-পরাজয়ের কথা ইহাতে কিছই নাই। ইহাতে কেবল ইহাই বাবা যায় যে, যাদ্ধকৌশলে কৃষ্ণ পারদশী, তিনি পরম রাজনীতিজ্ঞ এবং অনাথক মনষ্যেহত্যার নিতান্ত বিরোধী। আদর্শ মনষ্যের সমস্ত গণ তাঁহাতে ক্ৰমশঃ পরিসফট হইতেছে। চতুথ পরিচ্ছেদ-কৃষ্ণের বিবাহ কৃষ্ণের প্রথম ভাৰ্য্যা রক্মিণী। ইনি বিদভ রাজ্যের অধিপতি ভীষ্মমকের কন্যা। তিনি অতিশয় রূপবতী এবং গণবতী শনিয়া কৃষ্ণ ভীমকের নিকট রক্সিাণীকে বিবাহাৰ্থ প্রার্থনা করিয়াছিলেন। রক্সিণীও কৃষ্ণের অন্যরক্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু ভীস্মক কৃষ্ণশত্র জরাসন্ধের পরামশে রক্মিণীকে কৃষ্ণে সমাপণ করিতে অসম্মত হইলেন। তিনি কৃষ্ণদ্বেষক শিশপালের সঙ্গে রক্সিণীর বিবাহ স্থির করিয়া দিনাবধারণপাকবািক সমস্ত রাজগণকে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। যাদবগণের নিমন্ত্রণ হইল না। কৃষ্ণ স্থির করিলেন, যাদবদিগকে সঙ্গে লইয়া ভীমকের রাজধানীতে যাইবেন এবং রাত্মিণীকে তাঁহার বন্ধবেগের অসন্মতিতেও গ্রহণ করিয়া বিবাহ पीझदन्ा } 神 কৃষ্ণ তাঁহাই করিলেন। বিবাহের দিনে রক্সিণী দেবারাধনা করিয়া দেবমন্দির হইতে বাহির 8ህ8