পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

__ কৃষ্ণচরিত্র করিয়াছিলেন যে, ইহা যাদবাধিপতি উগ্রসেনেরই যোগ্য। কিন্তু জ্ঞাতিবিরোধ-ভয়ে সত্ৰাজিতের নিকট মণি প্রার্থনা করেন নাই। কিন্তু সত্ৰাজিত মনে ভয় করিলেন যে, কৃষ্ণ এই মণি চাহিবেন। চাহিলে তিনি রাখিতে পারবেন না, এই ভয়ে মণি তিনি নিজে ধারণ না করিয়া আপনার ভ্রাতা প্রসেনকে দিয়াছিলেন। প্রসেন সেই মণি ধারণ করিয়া এক দিন মািগয়ায় গিয়াছিলেন। বনমধ্যে একটা সিংহ তাঁহাকে হত করিয়া সেই মণি মাখে করিয়া লইয়া চলিয়া যায়। জাম্ববান সিংহকে হত করিয়া সেই মণি গ্রহণ করে। জাম্বববান একটা ভল্লক। কথিত আছে যে, সে ত্রেতাযাগে রামের বানরসেনার মধ্যে থাকিয়া রামের পক্ষে যাদ্ধ कीद्रझाछख्न । এ দিকে প্রসেন নিহত এবং মণি অন্তহিত জানিতে পারিয়া দ্বারকাবাসী লোকে এইরাপ সন্দেহ করিল যে, কৃষ্ণের যখন এই মণি লইবার ইচ্ছা ছিল, তখন তিনিই প্রসেনকে মারিয়া মণি গ্রহণ করিয়া থাকিবেন। এইরূপ লোকাপবাদ কৃষ্ণের অসহ্য হওয়ায় তিনি মণির সন্ধানে বহিগতি হইলেন। যেখানে প্রসেনের মতদেহ দেখিলন, সেইখানে সিংহের পদচিহ্ন দেখিতে পাইলেন। তাহা সকলকে দেখাইয়া আপনার কলঙক অপনীত করিলেন। পরে সিংহের পদচিহ্নান সরণ করিয়া ভল্লকের পদচিহ্ন দেখিতে পাইলেন। সেই পদচিহ্ন ধরিয়া গাত্তের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তথায় জাম্ববানের পত্রপালিকা ধাত্রীর হস্তে সেই স্যমন্তক মণি দেখিতে পাইলেন। পরে জাম্ববানের সঙ্গে যাদ্ধ করিয়া তাহাকে পরাভব করিলেন। তখন জাম্ববান তাঁহাকে স্যমন্তক মণি দিল, এবং আপনার কন্যা জাম্ববতীকে কৃষ্ণে সম্প্রদান করিল। কৃষ্ণ মণি লইয়া দ্বারকায় আসিয়া মণি সত্ৰাজিতকেই প্রত্যপণ করিলেন। তিনি পরসব কামনা করিতেন না। কিন্তু সত্ৰাজিত, কৃষ্ণের উপর অভূতপািব্ব কলঙ্ক আরোপিত করিয়াছিলেন, এই ভয়ে ভীত হইয়া, কৃষ্ণের তুলিটসাধনাৰ্থ আপনার কন্যা সত্যভামাকে কৃষ্ণে সম্প্রদান করিলেন। সত্যভামা সব্বজনপ্রার্থনীয় রপবতী কন্যা ছিলেন। এজন্য তিন জন প্রধান যাদব, অর্থাৎ শতধন্যবা, মহাবীর কৃতবৰ্ম্মমা এবং কৃষ্ণের পরম ভক্ত ও সহৎ অনুকুর ঐ কন্যাকে কামনা করিয়াছিলেন। এক্ষণে সত্যভামা কৃষ্ণে সম্প্রদত্তা হওয়ায় তাঁহারা আপনাদিগেক অত্যন্ত অপমানিত বিবেচনা করিলেন এবং সত্ৰাজিতের বধের জন্য ষড়যন্ত্র করিলেন। অনুকুর ও কৃতবাজ্জমা শতধন্যবাকে পরামর্শ দিলেন যে, তুমি সত্ৰাজিতকে বধ করিয়া তাহার মণি চুরি করা। কৃষ্ণ তোমাদের যদি বিরাদ্ধাচরণ করেন, তাহা হইলে, আমরা তোমার সাহায্য করিব। শতধন্যবা সম্মত হইয়া কদাচিৎ কৃষ্ণ বারণাবতে গমন করিলে, সত্ৰাজিতকে নিদ্রিত অবস্থায় বিনাশ করিয়া মণি চুরি করিলেন। সত্যভামা পিতৃবিধে শোকাতুরা হইয়া কৃষ্ণের নিকট নালিশ করিলেন। কৃষ্ণ তখন দ্বারকায় প্রত্যাগমন করিয়া, বলরামকে সঙ্গে লইয়া, শতধন্যবার বধে উদ্যোগী হইলেন। শনিয়া শতধন্যবা কৃতবৰ্ম্মা অকুরের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। তাঁহারা কৃষ্ণ বলরামের সহিত শত্ৰতা করিতে অস্বীকৃত হইলেন। তখন শতধন্বা অগত্যা অনুকুরকে মণি দিয়া দ্রুতগামী ঘোটকে আরোহণপাকবািক পলায়ন করিলেন। কৃষ্ণ বলরাম রথে যাইতেছিলেন, রথ ঘোটককে ধরিতে পারিল না। শতধন্বার অশ্বিনীও পাথরকান্ত হইয়া প্রাণত্যাগ করিল। শতধন্যবা তখন পাদচারে পলায়ন করিতে লাগিল। ন্যায়যাদ্ধাপরায়ণ কৃষ্ণ তখন রথে বলরামকে রাখিয়া স্বয়ং পাদচারে শতধন্যবার পশচাং ধাবিত হইলেন। কৃষ্ণ দই ক্রোশ গিয়া শতধন্যবার মন্তকচ্ছেদন করিলেন। কিন্তু মণি তাঁহার নিকট পাইলেন না। ফিরিয়া আসিয়া বলরামকে এই কথা বলিলে বলরাম তাঁহার কথায় বিশ্বাস করিলেন না। ভাবিলেন, মণির ভাগে বলরামকে বঞ্চিত করিবার জন্য কৃষ্ণ মিথ্যা কথা বলিতেছেন। বলরাম বলিলেন, “ধিক তোমায়! তুমি এমন অর্থ লোভী! এই পথ আছে, তুমি দ্বারকায় চলিয়া যাও ; আমি আর দ্বারকায় যাইব না।” এই বলিয়া তিনি কৃষ্ণকে ত্যাগ করিয়া বিদেহ নগরে গিয়া তিন বৎসর বাস করিলেন। এদিকে অনুকুরও দ্বারকা ত্যাগ করিয়া পলায়ন করিলেন। পরে যাদবগণ তাঁহাকে অভয় দিয়া পােনৰ বাের দ্বারকায় আনাইলেন। কৃষ্ণ তখন এক দিন সমস্ত যাদবগণকে সমবেত করিয়া অনুকুরকে বলিলেন যে, স্যমন্তক মণি তোমার নিকট আছে, আমরা তাহা জানি। সে মণি তোমারই থােক, কিন্তু সকলকে একবার দেখাও। আকুর uDDBBS DDD DDD BBDBDB DDS DBDD DBDB DBBBD DDBS DBDBB DD uDD DDBD হইবে। অতএব তিনি অস্বীকার না করিয়া মণি বাহির করিলেন। তাহা দেখিয়া বলরাম এবং সত্যভামা সেই মণি লইবার জন্য অতিশয় ব্যস্ত হইলেন। কিন্তু সত্যপ্রতিজ্ঞ কৃষক সেই 8}ታꬃ