পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Fyrsfire করিয়া বলেন নাই; কিন্তু কৃষ্ণের কাৰ্য্যে সৰ্ব্বত্র দেখিতে পাই যে, তিনি মনকেষ্যবান্ধতে কষ্য করেন বটে, কিন্তু তিনি সব্বাপেক্ষা তীক্ষাবন্ধি মনকেষ্য। এই বন্ধিতে কোথাও ছিদ্র দেখা যায় না। অন্যান্য বত্তির ন্যায় তিনি বদ্ধিতেও আদশ মনষ্যে। অনন্তর অর্জন লক্ষ্য বিধিলে সমাগত রাজাদিগের সঙ্গে তাঁহার বড় বিবাদ বাধিল । অজান ভিক্ষকৱাহ্মণবেশধারী। একজন ভিক্ষক ব্ৰাহ্মণ বড় বড় রাজাদিগের মাখের গ্রাস কাড়িয়া লইয়া যাইবে, ইহা তাঁহাদিগের সহ্য হইল না। তাঁহারা অজ্ঞজনের উপর আক্রমণ করিলেন। যত দরে যাদ্ধ হইয়াছিল, তাহাতে অজ্ঞজনেই জয়ী হইয়াছিলেন। এই বিবাদ কৃষ্ণের কথায় নিবারণ হইয়াছিল। মহাভারতে এইটকু কৃষ্ণের প্রথম কাজ। তিনি কি প্রকারে বিবাদ মিটাইয়াছিলেন, সেই কথাটা বলাই আমাদের উদ্দেশ্য। বিবাদ মিটাইবার অনেক উপায় ছিল। তিনি নিজে বিখ্যাত বীরপরিষ, এবং বলদেব, সাতকি প্রভৃতি অদ্বিতীয় বীরেরা তাঁহার সহায় ছিল। অজ্ঞজনে তাঁহার আত্মীয়-পিতৃক্ষবসার পত্র। তিনি যাদবদিগকে লইয়া সমরক্ষেত্রে অজ্ঞজনের সাহায্যে নামিলে, তখনই বিবাদ মিটিয়া যাইতে পারিত। ভীম তাহাই করিয়াছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণ আদশ ধাম্পিমােক, যাহা বিনা যাদ্ধে সম্পন্ন হইতে পারে, তাহার জন্য তিনি কখনও যদুদ্ধে প্রবত্ত হয়েন নাই। মহাভারতের কোন স্থানেই ইহা নাই যে, কৃষ্ণ ধৰ্ম্মমাের্থ ভিন্ন অন্য কারণে যদুদ্ধে প্রবত্ত হইয়াছেন। আত্মরক্ষার্থ ও পরের রক্ষার্থ যাদ্ধ ধৰ্ম্ম, আত্মরক্ষাৰ্থ বা পরের রক্ষার্থ যাদ্ধ না করা পরম অধক্ষম। আমরা বাঙ্গালি জাতি, আজি সাত শত বৎসর সেই অধৰ্ম্মের ফলভোগ করিতেছি। কৃষ্ণ কখনও অন্য কারণে যাদ্ধ করেন নাই। আর ধৰ্ম্মস্থাপন জন্য তাঁহার ষদ্ধে আপত্তি ছিল না। যেখানে যাদ্ধ ভিন্ন ধম্পেমর উন্নতি নাই, সেখানেও যাদ্ধ না করাই অধৰ্ম্ম। কেবল কাশীরাম দাস বা কথকঠাকুরদের কথিত মহাভারতে যাঁহাদের অধিকার, তাঁহাদের বিশ্বাস, কৃষ্ণই সকল যমুদ্ধের মািল, কিন্তু মল মহাভারত বদ্ধিপৰিবাক পড়িলে এরপ বিশ্বাস থাকে না। তখন বঝিতে পারা যায় যে, ধৰ্ম্মাথ ভিন্ন কৃষ্ণ কখনও কাহাকেও যন্ধে প্রবত্তি দেন নাই। নিজেও ধৰ্ম্মমাের্থ ভিন্ন যাদ্ধ করেন নাই। এখানেও কৃষ্ণ যদুদ্ধের কথা মনেও আনিলেন না। তিনি বিবদমান ভূপালবন্দকে বলিলেন, “ভূপালবন্দ! ইহারই রাজকুমারীকে ধৰ্ম্মতঃ লাভ করিয়াছিলেন, তোমরা ক্ষান্ত হও, আর যদ্ধে প্রয়োজন নাই।” ‘ধৰ্ম্মতঃ’ ! ধৰ্ম্মেমরি কথাটা ত এতক্ষণ কাহারও মনে পড়ে নাই। সে কালের অনেক ক্ষত্রিয় রাজা ধৰ্ম্মমভীত ছিলেন, রাঁচিপাকবািক কখন অধৰ্ম্মেম প্রবত্ত হইতেন না। কিন্তু এ সময়ে রাগান্ধ হইয়া ধৰ্ম্মের কথাটা ভুলিয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু যিনি প্রকৃত ধৰ্ম্মমাত্মা, ধৰ্ম্মম বিদ্ধিই যাঁহার জীবনের উদ্দেশ্য, তিনি এ বিষয়ের ধৰ্ম্ম কোন পক্ষে, তাহা ভুলেন নাই। ধৰ্ম্মম বিস্মতাদিগের ধৰ্ম্মস্মরণ করিয়া দেওয়া, ধৰ্ম্মমানভিজ্ঞদিগকে ধৰ্ম্ম বক্সাইয়া দেওয়াই, তাঁহার কাজ । ভূপালবন্দকে বলিলেন, “ইহারাই রাজকুমারীকে ধৰ্ম্মতঃ লাভ করিয়াছিলেন, অতএব আর যাদ্ধে প্রয়োজন নাই।” শনিয়া রাজারা নিরস্ত হইলেন। যাদ্ধ ফরাইল। পান্ডবেরা उथ काढन् । এক্ষণে ইহা বঝা যায় যে, যদি একজন বাজে লোক দাপ্ত রাজগণকে ধৰ্ম্মের কথাটা স্মরণ করিয়া দিত, তাহা হইলে দাপ্ত রাজগণ কখনও যাদ্ধ হইতে বিরত হইতেন না। যিনি ধৰ্ম্মেমরি কথাটা সমরণ করিয়া দিলেন, তিনি মহাবলশালী এবং গৌরবান্বিত। তিনি জ্ঞান, ধর্মম ও বাহবিলে সকলের প্রধান হইয়াছিলেন। সকল ব্যক্তিগলিই সম্পণেরপে অনশীলিত করিয়াছিলেন, তাহারই ফল। এই প্রাধান্য। সকল ব্যক্তিগলি অনশীলিত না হইলে, কেহই তােদশ ফলদায়িনী হয় না। এইরূপ কৃষ্ণচরিত্রের দ্বারা ধৰ্ম্মমতত্ত্ব পরিসফট হইতেছে। Du u BBBYYiBDDDDSDBDD অকজন লক্ষ্য বিধিয়া, রাজগণের সহিত যাদ্ধ সমাপন করিয়া ভ্রাতৃগণ সমভিব্যাহারে আশ্রমে গমন করিলেন। রাজগণও সব সব স্থানে গমন করিতে লাগিলেন। এক্ষণে কৃষ্ণের কি করা কৰ্ত্তব্য ছিল ? দ্ৰৌপদীর স্বয়ংবির ফরাইল, উৎসব যাহা ছিল, তাহা ফরাইল, কৃষ্ণের পাশ্চালে থাকিবার আর কোন. প্রয়োজন ছিল না। এক্ষণে সকছানে ফিরিয়া গেলেই হইত। অন্যান্য 8岛患