পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कुककब्रिछ আছেন। তখন বলদেব কৃষ্ণকে সম্বোধন করিয়া, অর্জন তাঁহাদের বংশের অপমান করিয়াছে বলিয়া রাগ প্রকাশ করিলেন, এবং কৃষ্ণের অভিপ্রায় কি. জিজ্ঞাসা করিলেন। কৃষ্ণ উত্তর করিলেন“অজািন আমাদিগের কুলের অবমাননা করেন নাই, বরং সমধিক সম্মান রক্ষাই করিয়াছেন। তিনি তোমাদিগকে অর্থলািন্ধ মনে করেন না বলিয়া অর্থদ্বারা সভদ্রাকে গ্রহণ করিতে চেস্টাও করেন নাই। স্বয়ংবরে কন্যা লাভ করা অতীব দরসহ ব্যাপার, এই জন্যই তাহাতে সক্ষমত হন। নাই, এবং পিতা মাতার অনািমতি গ্রহণপৰিবাক প্রদত্তা কন্যার পাণিগ্রহণ করা তেজসবী ক্ষত্ৰিয়ের প্রশংসনীয় নহে। অতএব আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, কুন্তীপত্র ধনঞ্জয় উক্ত দোষ সমান্ত পৰ্যালোচনা করিয়া বলপক্ষবাক সভদ্রাকে হরণ করিয়াছেন। এই সম্বন্ধ আমাদের কুলোচিত হইয়াছে, এবং কুলশীল বিদ্যা ও বদ্ধিসম্পন্ন পাৰ্থ বলপ্যন্ত্বক হরণ করিয়াছেন বলিয়া সভদ্ৰাও যশসিবনী হইবেন, সন্দেহ নাই।” এখানে কৃষ্ণ ক্ষত্রিয়ের চারি প্রকার বিবাহের কথা বলিয়াছেন - ১। অর্থ (বা শািলক) দিয়া বিবাহ করা যায় (আসাের)। ২ । সম্বয়ংবির। ৩ । পিতা মাতা কর্তৃক প্রদত্তা কন্যার সহিত বিবাহ (প্রাজাপত্য)। ৪। বলপক্ষবাক হরণ (রাক্ষস)। ইহার মধ্যে প্রথমটিতে কন্যাকুলের অকীৰ্ত্তি ও অযশ, ইহা সব্ববাদিসক্ষমত। দ্বিতীয়ের ফল অনিশ্চিত। তৃতীয়ে, বরের আগৌরব। কাজেই চতুর্থই এখানে একমাত্র বিহিত বিবাহ। ইহা কৃষ্ণোক্তিতেই প্রকাশ আছে।* ভরসা করি, এমন নিবোধ কেহই নাই যে, সিদ্ধান্ত করেন যে, আমি রাক্ষস বিবাহের পক্ষ সমর্থনা করিতেছি। রাক্ষস বিবাহ অতি নিন্দনীয়, সে কথা বলিয়া স্থান নন্ট করা নিম্পপ্রয়োজন। তবে সে কালে যে ক্ষত্ৰিয়দিগের মধ্যে ইহা প্রশংসিত ছিল, কৃষ্ণ তাহার দায়ী নহেন। আমাদিগের মধ্যে অনেকের বিশ্বাস যে, “রিফমরই” আদর্শ মনষ্যে, এবং কৃষ্ণ যদি আদশ মনষ্যে, তবে মালাবারি ধরনের রিফমাির হওয়াই তাঁহার উচিত ছিল, এবং এই কুপ্রথার প্রশ্রয় না দিয়া দমন করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা মালাবারি ঢংটাকে আদশ মনষ্যের গণের মধ্যে গণি না, সতরাং এ কথার কোন উত্তর দেওয়া আবশ্যক বিবেচনা করি না। আমরা বলিয়াছি যে, বলপাকবািক হরণ করিয়া যে বিবাহ, তাহা তিন কারণে নিন্দনীয়; (১) কন্যার প্রতি অত্যাচার, (২) তাহার পিতৃকুলের প্রতি অত্যাচার, (৩) সমাজের প্রতি অত্যাচার। কন্যার প্রতি যে কোন অত্যাচার হয় নাই, বরং তাহার পরম মঙ্গলই সাধিত হইয়াছিল, তাহা দেখাইয়াছি। এক্ষণে তাহার পিতৃকুলের প্রতি কোন অত্যাচার হইয়াছে কি না, দেখা যাউক। কিন্তু আর স্থান নাই, সংক্ষেপে কথা শেষ করিতে হইবে। যাহা বলিয়াছি, তাহাতে সকল কথাই শেষ হইয়া আসিয়াছে। কন্যাহরণে তৎপিতৃকুলের উপর দাই কারণে অত্যাচার ঘটে। (১) তাঁহাদিগের কন্যা অপাত্রে বা অনভিপ্রেত পাত্রের হস্তগত হয়। কিন্তু এখানে তাহা ঘটে নাই। অজন অপাত্রেও নহে, অনভিপ্রেত পােত্রও নহে। (২) তাঁহাদিগের নিজের অপমান। কিন্তু পম্বোেব যাহা উদ্ধত করিয়াছি, তাহার দ্বারা প্রমাণীকৃত হইয়াছে যে, ইহাতে যাদবেরা অপমানিত হইয়াছেন বিবেচনা করিবার কোন কারণ ছিল না। এ কথা যাদবশ্রেণীঠ কৃষ্ণই প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন, এবং তাঁহার সেকথা ন্যায়সঙ্গত বিবেচনা করিয়া অপর যাদবেরা অজ্ঞজনকে ফিরাইয়া আনিয়া সমারোহপািৰবাক তাঁহার বিবাহকাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। সতরাং তাঁহাদের প্রতি অত্যাচার হইয়াছিল, ইহা বলিবার আমাদের আর আবশ্যকতা নাই ।

  • মহাভারতের অনশাসন-পনেেব যে বিবাহতত্ত্ব আছে, তাহার। আমরা কোন উল্লেখ করিলাম না, কেন না, উহা প্রক্ষিপ্ত। সেখানে রাক্ষস বিবাহ ভীস্ম কর্তৃক নিন্দিত ও নিষিদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু ভীষ্মম BDBS SBuuDDDuBD DBB DDD DDDS DDBBBBD D DB BB S DDDDS DDBBB সতরাং ভীষ্মের রাক্ষস বিবাহকে নিন্দিত ও নিষিদ্ধ বলা সম্ভব নহে। ভীমের চরিত্র এই যে, যাহা DDB LS DDBS DBD DD BBBYBL BDDBD DSS BB DD DDBDB BDuuB BBSDD DDDBBS DD BBD BBDD BDD BBi DD BDB DDDBD BDB DDS

&O○