পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * ४ ॥ ۲ - حه बाँeदर्भ'ब्रिष्माबढ़ा 喝 আদশ পরিষ নহেন, কিন্তু মনীষ্যশ্রেণীঠ। মনষ্যের শ্রেষ্ঠ ব্যবসায় অবলম্বনই তাঁহাদের বিধেয়, এবং তাহা অবলম্বন করিয়া তাঁহারা লোকহিতসাধন করিয়া গিয়াছেন। ” কথাটা যে আমার সকল শিক্ষিত পাঠক বঝিয়াছেন, এমন আমার বোধ হয় না। বঝিবার একটা প্ৰতিবন্ধক আছে। আদশ পরিষের কথা বলিতেছি। অনেক শিক্ষিত পাঠক “আদশ” শব্দটি ‘Ideal’ শব্দের দ্বারা অন্যবাদ করবেন। অন্যবাদও দােষ্য হইবে না। এখন, একটা ‘Christian ideal” আছে। খািনীস্টিয়ানের আদশ পরিষ যিশ। আমরা বাল্যকাল হইতে খীন্টিয়ান জাতির সাহিত্য অধ্যয়ন করিয়া সেই আদশটি হৃদয়ঙ্গম করিয়াছি। আদশ পরিষের কথা হইলেই সেই আদশের কথা মনে পড়ে। যে আদশ সেই আদশের সঙ্গে মিলে না, তাহাকে আদশ বলিয়া গ্ৰহণ করিতে পারি না। খীস্ট পতিতোদ্ধারী; কোন দারাত্মাকে তিনি প্ৰাণে নস্ট করেন নাই, করিবার ক্ষমতাও রাখিতেন না। শাক্যসিংহ বা চৈতন্যে আমরা সেই গণ দেখিতে পাই, এজন্য ইহাদিগকে আমরা আদর্শ পরিষ বলিয়া গ্রহণ করিতে প্ৰস্তৃত আছি। কিন্তু কৃষ্ণ পতিতপােবন নাম ধরিয়াও, প্রধানতঃ পতিত-নিপাতী বলিয়াই ইতিহাসে পরিচিত। সতরাং তাঁহাকে আদশ পরিষ বলিয়াই আমরা হঠাৎ বঝিতে পারি না। কিন্তু আমাদের একটা কথা বিচার করিয়া দেখা উচিত। এই Christian Ideal কি যথার্থ মনষ্যত্বের আদশ ? সকল জাতির জাতীয় আদশ কি সেইরাপই হইবে ? এই প্রশেন আর একটা প্রশন উঠে-হিন্দর আবার জাতীয় আদশ আছে না কি ? Hindu Ideal আছে না কি ? যদি থাকে, তবে কে ? কথাটা শিক্ষিত হিন্দমন্ডলীমধ্যে জিজ্ঞাসা হইলে অনেকেরই মস্তককন্ডয়নে প্রবত্ত হইবার সম্ভাবনা। কেহ হয়ত জটাবলকলধারী শত্ৰশমিশ্র গম্বফ বিভূষিত ব্যাস বশিষ্ঠাদি ঋষিদিগকে ধরিয়া টানাটানি করিবেন, কেহ হয়ত বলিয়া বসিবেন, “ও ছাই ভস্ম নাই।” নাই বটে সত্য, থাকিলে আমাদের এমন দন্দশা হইবে কেন ? কিন্তু একদিন ছিল। তখন হিন্দ পথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। সে আদেশ হিন্দ কে ? ইহার উত্তর আমি য্যেরােপ বঝিয়াছি, তাহা পাবে ব্যবৰ্মাইয়াছি। রামচন্দ্রাদি ক্ষত্ৰিয়গণ সেই আদশ প্রতিমার নিকটবত্তী, কিন্তু যথাৰ্থ হিন্দী আদশ শ্ৰীকৃষ্ণ । তিনিই যথাৰ্থ মনষ্যত্বের আদশ-খীস্ট প্রভৃতিতে সেরাপ আদশের সম্পর্ণিতা পাইবার সম্ভাবনা নাই। কেন, তাহা বলিতেছি। মনষ্যেত্ব কি, ধর্মতত্ত্বে তাহা বঝাইবার চেষ্টা পাইয়াছি। মনষ্যের সকল বত্তিগলির সম্পণে সাফতি ও সামঞ্জস্যে মনীষ্যত্ব। যাঁহাতে সে সকলের চরম সাফাত্তি ও সামঞ্জস্য পাইয়াছে, তিনিই আদশ মনষ্যে। খীল্টে তােহা নাই—শ্ৰীকৃষ্ণে তাহা আছে। ষিশকে যদি রোমক সমাট য়িহদার শাসনকর্তৃত্বে নিযক্ত করিতেন, তবে কি তিনি সশাসন করিতে পারিতেন ? তাহা পারিতেন না-কেন না, রাজকায্যের জন্য যে সকল ব্যক্তিগলি প্রয়োজনীয়, তাহা তাঁহার অনশীলিত হয় নাই। অথচ এরপ ধৰ্ম্মমাত্মা ব্যক্তি রাজ্যের শাসনকৰ্ত্তা হইলে সমাজের অনন্ত মঙ্গল। পক্ষান্তরে শ্ৰীকৃষ্ণ যে সব্বশ্রেষ্পাঠ নীতিজ্ঞ, তাহা প্ৰসিদ্ধ। শ্রেষ্ঠ নীতিজ্ঞ বলিয়া তিনি মহাভারতে ভুরি ভুরি বর্ণিত হইয়াছেন, এবং যাধিস্ঠির বা উগ্ৰসেন শাসনকায্যে তাঁহার পরামর্শ ভিন্ন কোন গারতের কাজ করিতেন না। এইরূপে কৃষ্ণ নিজে রাজা না হইয়াও প্রজার অশেষ মঙ্গলসাধন করিয়াছিলেন-এই জরাসন্ধের বন্দিগণের মাক্তি তাহার এক উদাহরণ। পানশাচ, মনে কর, যদি য়িহদীরা রোমকের অত্যাচারপীড়িত হইয়া সবাধীনতার জন্য উখিত হইয়া, যিশকে সেনাপতিত্বে বরণ করিত, যিশ কি করিতেন ? যাঁদ্ধে তাঁহার শক্তিও ছিল না, প্রবত্তিও ছিল না। “কাইসরের পাওনা কাইসরকে দাও” বলিয়া তিনি প্রস্থান করিতেন। কৃষ্ণও যন্ধে প্রবত্তিশন-কিন্তু ধৰ্ম্মােৰ্থ যাদ্ধও আছে। ধৰ্ম্মমাৰ্থ যাদ্ধ উপস্থিত হইলে অগত্যা প্রবত্ত হইতেন। যন্ধে প্রবত্ত তিনি অজেয় ছিলেন। যিশ, অশিক্ষিত, কৃষ্ণ সব্বশাস্ত্ৰীবৎ। অন্যান্য গণ সম্পবন্ধেও ঐরােপ। উভয়েই শ্রেষ্ঠ ধাৰ্ম্মিক ও ধৰ্ম্মজ্ঞ। অতএব কৃষ্ণই যথাৰ্থ আদর্শ FIL-“Christian Ideal” TacPrşı “Hindu Ideal” tegeờ ঈদশ . সব্বগণসম্পন্ন আদশ মনষ্যে কাৰ্য্যবিশেষে জীবন সমপণ করিতে পারেন না। তাহা হইলে, ইতর কার্য্যগলি অননঠিত, অথবা অসামঞ্জস্যের সহিত অনতিষ্ঠিত হয়। লোক চরিত্রভেদে, অবস্থাভেদে, শিক্ষাভেদে ভিন্ন ভিন্ন কলম ও ভিন্ন ভিন্ন সাধনের অধিকারী ; আদশ মনীষা, সকল শ্রেণীরই আদশ হওয়া উচিত। এই জন্য শ্ৰীকৃফের, শাক্যসিংহ, যিশ বা চৈতন্যের DD BBB BBBBS BBB sLL BBDBBBB DBDBDBBD BB BDB S D BBBuS 6ayWy