পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণচরিত্র পায় নাই। অতএব তাঁহারা দৰ্য্যোধনের নিকট আপনাদিগের রাজ্য পাইবার ন্যায়তা ও ধৰ্ম্মতঃ অধিকারী । কিন্তু দায্যোধন রাজ্য ফুিরাইয়া দিবে কি ? না দিবারই সম্ভাবনা। যদি না দেয়, তবে কি করা কত্তব্য ? ষদ্ধ করিয়া তাহাদিগকে বধ করিয়া রাজ্যের পনিরস্কার করা কত্তব্য কি না? অজ্ঞাতবাসের বৎসর অতীত হইলে পাডবেরা বিরাটরাজের নিকট পরিচিত হইলেন। বিরাটরাজ তাঁহাদিগের পরিচয় পাইয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইয়া আপনার কন্যা উত্তরাকে অতীজনপত্রে অভিমন্যকে সম্প্রদান করিলেন। সেই বিবাহ দিতে অভিমন্যার মাতুল কৃষ্ণ ও বলদেব ও অন্যান্য যাদবেরা আসিয়াছিলেন। এবং পান্ডবদিগের শ্বশর দ্রপদ এবং অন্যান্য কুট-বগণও আসিয়াছিলেন। তাঁহারা সকলে বিরাটরাজের সভায় আসীন হইলে, পান্ডব-রাজ্যের পােনরদ্ধার প্রসঙ্গটা উত্থাপিত হইল। নাপতিগণ “শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি দাল্টিপাত করিয়া মৌনাবলম্বন করিলেন।” তখন শ্ৰীকৃষ্ণ রাজাদিগকে সম্বোধন করিয়া অবস্থা সকল বঝাইয়া বললেন। যাহা যাহা ঘটিয়াছে, তাহা বঝাইয়া, তারপর বলিলেন, “এক্ষণে কৌরব ও পাপডিবগণের পক্ষে যাহা হিতকর, ধৰ্ম্মমৰ্য্য, যশস্যকর ও উপযক্তি, আপনারা তাহাই চিন্তা করনি।" কৃষ্ণ এমন কথা বললেন না যে, যাহাতে রাজ্যের পনরািন্ধার হয়, তাহারই চেন্টা করবেন। কেন না, হিত, ধৰ্ম্মম , যশ হইতে বিচ্ছিন্ন যে রাজ্য, তাহা তিনি কাহারও প্রার্থনীয় বিবেচনা করেন না। তাই পনেকবার বাবাইয়া বলিতেছেন, ‘ধৰ্ম্মরাজ যধিষ্ঠির অধৰ্ম্মমাগত সারসাম্রাজ্যও কামনা করেন না, কিন্তু ধৰ্ম্মমাের্থ সংযক্ত একটি গ্রামের আধিপত্যেও অধিকতর অভিলাষী হইয়া থাকেন।” আমরা পর্বে বাকাইয়াছি যে, আদশ মনষ্যে সন্ন্যাসী হইলে চলিবে না।--বিষয়ী হইতে হইবে। বিষয়ীর এই প্রকৃত আদর্শ। অধৰ্ম্মমাগত সরসাম্রাজ্যও কামনা করিব না, কিন্তু ধৰ্ম্মমতঃ আমি যাহার অধিকারী, তাহার এক তিলও বঞ্চককে ছাড়িয়া দিব না; ছাড়িলে কেবল আমি একা দঃখী হইব, এমন নহে, আমি দঃখী না হইতেও পারি, কিন্তু সমাজবিধবংসের পথাবলম্পােবনরােপ পাপ আমাকে সপশ করবে। তারপর কৃষ্ণ কৌরবদিগের লোভ ও শঠতা, যধিষ্ঠিরের ধাৰ্ম্মিকতা এবং ইহাদিগের পরপর সক্ষবন্ধ বিবেচনাপর্বক ইতিকাত্তব্যতা অবধারণ করিতে রাজগণকে অননুরোধ করিলেন। নিজের অভিপ্রায়ও কিছ ব্যক্ত করিলেন। বলিলেন, যাহাতে দায্যোধন যধিস্ঠিরকে রােজ্যাদ্ধ প্রদান করেন---এইরুপ সন্ধির নিমিত্ত কোন ধাৰ্ম্মিমক পরাষ দত হইয়া তাঁহার নিকট গমন করবেন। কৃষ্ণের অভিপ্ৰায় যাদ্ধ নহে, সন্ধি। তিনি এতদর যাদ্ধের বিরদ্ধে যে, অদ্ধািরাজ্য মাত্র প্রাপ্তিতে সন্তুষ্ট থাকিয়া সন্ধিস্থাপন করিতে পরামর্শ দিলেন, এবং শেষ যখন যাদ্ধ অলঙ্ঘনীয় হইয়া উঠিল, তখন তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, তিনি সে যাদ্ধে স্বয়ং অস্ত্ৰধারণা করিয়া নরশোণিতস্রোত বদ্ধি कलिवन ना। কৃষ্ণের বাক্যাবসানে বলদেব তাঁহার বাক্যের অন্যামোদন করিলেন, যধিস্ঠিরকে দ্যতক্ৰীড়ার জন্য কিছ নিন্দা করিলেন, এবং শেষে বলিলেন যে, সন্ধি দ্বারা সম্পাদিত অর্থই অর্থকরা হইয়া থাকে, কিন্তু যে অর্থ সংগ্রাম দ্বারা উপাজিত, তাহা অর্থই নহে। সারাপায়ী বলদেবের এই কথাগলি সোণার অক্ষরে লিখিয়া ইউরোপের ঘরে ঘরে রাখিলে মনয্যেজাতির কিছ মঙ্গল হইতে পারে। বলদেবের কথা সমাপ্ত হইলে, সাত্যাকি গাত্রোথন করিয়া (পাঠক দেখিবেন, সে কালেও 'Parliamentary procedure' ga) প্রতিবক্তৃতা করিলেন। সাত্যকি নিজে মহাবলবান বীরপরিষ, তিনি কৃষ্ণের শিষ্য এবং মহাভারতের যন্ধে পাশডবপক্ষীয় বীরদিগের মধ্যে অর্জন ও অভিমন্যর পরেই তাঁহার প্রশংসা দেখা যায়। কৃষ্ণ সন্ধির প্রস্তাব করায় সাত্যকি কিছল বলিতে সাহস করেন নাই, বলদেবের মাখে ঐ কথা শনিয়া সাত্যকি কুদ্ধ হইয়া বলদেবকে ক্লীব কাপরােষ BBD DBDBD BDD DDDBD DDBDBuDD BDBD DBB BBBDBB BDDDSBB দিয়াছিলেন, সাত্যকি তাহার প্রতিবাদ করিলেন, এবং আপনার অভিপ্রায় এই প্রকাশ করিলেন যে, যদি কৌরবেরা পাপডিবদিগকে তাহদের পৈতৃক রাজ্য সমস্ত প্রত্যাপািশ না করেন, তবে কৌরবদিগকে সমালো নিৰ্ম্মল করাই কত্তব্য। তারপর বদ্ধ দুপদের বক্তৃতা। দুপদও সাত্যাকির মতাবলম্বী। তিনি যাদ্ধাৰ্থ উদ্যোগ করিতে, সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে এবং মিত্ররাজগণের নিকট দতে প্রেরণ করিতে পাণ্ডবগণকে পরামর্শ দিলেন। তবে তিনি এমনও বলিলেন যে, দায্যোধনের নিকটেও দতে প্রেরণ করা হউক।

  • ミーや8 R