পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बच्किम ब्रश्नावणौं DB DDB SiD BDBD D DD DBS BDBDBDS BDBDBB gDB BDBDBS লোলিপি রাজাদিগকে তাই বলিতেছেন-তাঁহার মতে ছোট চোর লকোইয়া চুরি করে, বড় চোর প্রকাশ্যে চুরি করে। তিনি বলিতেছেন, “তসকর দশ্য বা অদশ্য হইয়া হঠাৎ যে সব্বস্ব অপহরণ করে, উভয়ই নিন্দনীয়। সতরাং দায্যোধনের কার্য্যও একপ্রকার তস্যকরকায্য বলিয়া প্ৰতিপন্ন করা যাইতে পারে।” এই ততকরদিগের হাত হইতে নিজস্ব রক্ষা করাকে কৃষ্ণ পরম ধৰ্ম্ম বিবেচনা করেন। আধনিক নীতিজ্ঞদিগেরও সেই মত। ছোট চোরের হাত হইতে নিজস্ব রক্ষার ইংরেজি নাম Justice; বড় চোরের হাত হইতে নিজস্ব রক্ষার নাম Patriotism । উভয়েরই দেশীয় নাম স্বধৰ্ম্মপালন। কৃষ্ণ বলিতেছেন, “এই বিষয়ের জন্য প্ৰাণ পৰ্য্যন্ত পরিত্যাগ করিতে হয়, তাহাও প্লাঘনীয়, তথাপি পৈতৃক রাজ্যের পনরাদ্ধারণে বিমখ হওয়া কোন ক্রমেই উচিত নহে।” কৃষ্ণ সঞ্জয়ের ধৰ্ম্মেমরি ভলেডামি শনিয়া সঞ্জয়কে কিছ সঙ্গত তিরস্কারও করিলেন। বলিলেন, “তুমি এক্ষণে রাজা যধিস্ঠিরকে ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিতে অভিলাষী হইয়াছ, কিন্তু তৎকালে (যখন দঃশাসন সভামধ্যে দ্ৰৌপদীর উপর অশ্রাব্য অত্যাচার করে) সভামধ্যে দঃশাসনকে ধন্মোপদেশ প্রদান কর নাই।” কৃষ্ণ সচরাচর প্রিয়বাদী, কিন্তু যথাৰ্থ দোষকীত্তনকালে বড় উপন্টবক্তা। সত্যই সব্বকালে তাঁহার নিকট প্রিয়। সঞ্জয়কে তিরস্কার করিয়া, শ্ৰীকৃষ্ণ প্রকাশ করিলেন যে, উভয় পক্ষের হিত সাধনাথ সর্বয়ং হস্তিনা নগরে গমন করিবেন। বলিলেন, “যাহাতে পান্ডকগণের অর্থহানি না হয়, এবং কৌরবেরাও সন্ধি সংস্থাপনে সক্ষমত হন, এক্ষণে তদ্বিষয়ে বিশেষ যত্ন করিতে হইবে। তাহা হইলে, সামহৎ পণ্যকমের অনষ্ঠান হয়, এবং কৌরবগণও মাতৃত্যুপাশ হইতে বিমাক্ত হইতে পারেন।” লোকের হিতাৰ্থ, অসংখ্য মনষ্যের প্রাণরক্ষার্থ, কৌরবেরও রক্ষাৰ্থ, কৃষ্ণ এই দলেকর কক্ষেম স্বয়ং উপযাচক হইয়া প্রবত্ত হইলেন। মনষ্যশক্তিতে দলকের কলম, কেন না, এক্ষণে পাণডবেরা তাঁহাকে বরণ করিয়াছে; এজন্য কৌরবেরা তাঁহার সঙ্গে শত্রবৎ ব্যবহার করিবার অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছে। কিন্তু লোকহিতাৰ্থ তিনি নিরস্ত্র হইয়া শত্রপরীমধ্যে প্রবেশ করাই শ্রেয় বিবেচনা दर्कान्नहब्जन्म । তৃতীয় পরিচ্ছেদ-যানসন্ধি এইখানে সঞ্জয়যান-পকবাধ্যায় সমাপ্ত। সঞ্জয়যান-পৰিবাধ্যায়ে শেষ ভাগে দেখা যায় যে, কৃষ্ণ হস্তিনা যাইতে প্রতিশ্রত হইলেন, এবং বাস্তবিক তাহার পরেই তিনি হস্তিনায় গমন করিলেন বটে। কিন্তু সঞ্জয়যান-পৰ্ব্বাধ্যায় ও ভগবদ যান-পৰ্ব্বাধ্যায়ের মধ্যে আর তিনটি পৰিবাধ্যায় আছে ; “প্রজাগর”, “সনৎসজাত”, এবং “যানসন্ধি”। প্রথম দাইটি প্রক্ষিপ্ত, তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। উহাতে মহাভারতের কথাও কিছই নাই-অতি উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্মম ও নীতিকথা আছে। কৃষ্ণের কোন কথাই নাই, সতরাং ঐ দই পৰবাধ্যায়ে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। যানসন্ধি-পঞ্চবাধ্যায়ে সঞ্জয় হস্তিনায় ফিরিয়া আসিয়া ধাতরাষ্ট্ৰকে যাহা বলিলেন, এবং তচ্ছবিণে ধতিরান্ট্রি, দায্যোধন এবং অন্যান্য কৌরবগণে যে বাদানবোদ হইল, তাহাই কথিত আছে। বক্তৃতা সকল অতি দীঘ, পািনরক্তির অত্যন্ত বাহাল্যবিশিস্ট এবং অনেক সময়ে নিম্প্রয়োজনীয়। কৃষ্ণের প্রসঙ্গ, ইহার দাই স্থানে আছে। প্রথম, অস্টপঞ্চাশত্তম অধ্যায়ে। ধাতরাষ্ট্র অতিবিস্তারে অল্পজািনবাক্য সঞ্জয়-মখে শনিয়া, আবার হঠাৎ সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, “বাসদেব ও ধনঞ্জয় যাহা কহিয়াছেন, তাহা শ্রবণ করিবার নিমিত্ত উৎসকে হইয়াছি, অতএব তাহাই কীৰ্ত্তন কর।” তদত্তরে, সঞ্জয়, সভাতলে যে সকল কথাবাত্ত হইয়াছিল, তাহার কিছই না বলিয়া, এক আষাঢ়ে গলপ আরম্ভ করিলেন। বলিলেন যে, তিনি পাটিপি পাটিপা-অৰ্থাৎ চোরের মত, পান্ডবদিগের অন্তঃপারমধ্যে অভিমন্য প্রভৃতিরও অগম্য স্থানে গমন করিয়া ধৰ্ম্ম, ভুকুৱাি; সাক্ষাৎকার লাভ করেন। দেখেন, কৃষ্ণালীজন মদ খাইয়া উন্মত্ত। অর্জন, দ্ৰৌপদী ও সত্যভামার পায়ের উপর পা দিয়া বসিয়া আছেন। কথাবাৰ্ত্তা নািতন কিছুই হইল না। কৃষক কেবল 80s