পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, कुकब्रिह কিছু দম্ভের কথা বললেন,-বলিলেন, “আমি যখন সহায়, তখন অজ্ঞজনে সকলকে মারিয়া ফেলিবে ।” তার পর অর্জনে কি বললেন, সে কথা এখানে আর কিছ, নাই, অথচ ধন্তরাষ্ট্র তাহা শনিতে চাহিয়াছিলেন। অষ্টপঞ্চাশত্তম অধ্যায়ের শেষে আছে, “অনন্তর মহাবীর কিরীটিী তাঁহার (কৃষ্ণের) বাক্য সকল শনিয়া লোমহষণ বচন প্রয়োগ করিতে লাগিলেন।” এই কথায় পাঠকের এমন মনে হইবে যে, বঝি উন্নষন্টিতম অধ্যায়ে অজ্ঞজন যাহা বলিলেন, তাহাই কথিত হইতেছে। সে দিক দিয়া উন্নষন্টিতম অধ্যায় যায় নাই। উনষষ্টিতম অধ্যায়ে ধাতরাষ্ট্র দৰ্য্যোধনকে কিছ অন্যযোগ করিয়া সন্ধি স্থাপন করিতে বলিলেন। যষ্টিতম অধ্যায়ে দৰ্য্যোধন প্রত্যুত্তরে ব্যাপকে কিন্তু কড়া কড়া শনাইয়া দিল। একষষ্টিতম অধ্যায়ে কৰ্ণ আসিয়া মাঝে পড়িয়া বক্তৃতা করিলেন। ভীষ্মম তাঁহাকে উত্তম মধ্যম রকম শনাইলেন। কণে ভীমে বাধিয়া গেল । দ্বিষষ্টিতমে দায্যোধনে ভীম্মে বাধিয়া গেল। ত্ৰিষণ্টিতমে ভীমের বক্তৃতা। চতুঃষষ্টিতমে বাপ বেটীয় আবার বাধিলা। পরে, এত কালের পর আবার হঠাৎ ধাতরাষ্ট্র জিজ্ঞাসা করিলেন যে, অজ্ঞজনে কি বলিলেন ? তখন সঞ্জয় সেই অস্টপঞ্চাশতম অধ্যায়ের ছিন্ন সত্ৰ যোড়া দিয়া অভিজািনবাক্য বলিতে লাগিলেন। বোধ করি, কোন পাঠকেরই এখন সংশয় নাই যে, ৫৯ ৷৷ ৬o । ৬১ ৷৷ ৬২ ৷৷ ৬৩ ৷৷ ৬৪ অধ্যায়গালি প্রক্ষিপ্ত। এই কয় অধ্যায়ে মহাভারতের ক্রিয়া এক পদও অগ্রসর হইতেছে না। এই অধ্যায়গালি বড় সম্পন্টতঃ প্রক্ষিপ্ত বলিয়া ইহার উল্লেখ করিলাম। যে সকল কারণে এই ছয় অধ্যায়কে প্রক্ষিপ্ত বলা যাইতে পারে, অন্সটপঞ্চাশত্তম অধ্যায়কেও অন্সটপঞ্চাশত্তম অধ্যায় সম্পবন্ধে আরও বলা যাইতে পারে যে, ইহা কেবল অপ্রাসঙ্গিক এবং অসংলগ্ন এমন নহে, পকেবােক্ত কৃষ্ণবাক্যের সম্পপণ্য বিরোধী। এই সকল বক্তান্তের কিছ মাত্র প্রসঙ্গ অনানুক্ৰমণিকাধ্যায়ে বা পৰ্ব্বব্যসংগ্ৰহাধ্যায়ে নাই। বোধ হয়, কোন রসিক লেখক, অসরোনিপাতন শৌরি এবং সরনিপাতিনী সরা, উভয়েরই ভক্ত; একত্র উভয় উপাস্যকে দেখিবার জন্য অম্পটপঞ্চাশত্তম অধ্যায়টি প্রক্ষিপ্ত করিয়াছেন। যানসন্ধি-পৰ্ব্বব্যাধ্যায়ে এই গেল। কৃষ্ণসম্পবিন্ধীয় প্রথম প্রসঙ্গ। দ্বিতীয় প্রসঙ্গ, সপ্তষষ্টিতম হইতে সপ্ততিতম পৰ্য্যন্ত চারি অধ্যায়ে। এখানে সঞ্জয় ধাঁতরালেস্ট্রর জিজ্ঞাসা মতে কৃষ্ণের মহিমা কীত্তন করিতেছেন। সঞ্জয় এখানে পব্বে যাঁহাকে মদ্যপানে উন্মত্ত বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছিলেন, এক্ষণে তাঁহাকেই জগদীশ্বর বলিয়া বণনা করিতেছেন। বোধ হয়। ইহাও প্রক্ষিপ্ত। প্রক্ষিপ্ত হউক না হউক, ইহাতে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। যদি অন্য কারণে কৃষ্ণের ঈশ্বরত্বে আমাদের বিশ্বাস থাকে, তবে সঞ্জয়বাক্যে আমাদের প্রয়োজন কি ? আর যদি সে বিশ্বাস না থাকে, তবে সঞ্জয়বাক্যে এমন কিছ নাই যে, তাহার বলে আমাদিগের সে বিশ্বাস হইতে পারে। অতএব সঞ্জয়বাক্যের সমালোচনা আমাদের নিম্পপ্রয়োজনীয়। কৃষ্ণের মানষি-চরিত্রের কোন কথাই তাঁহাতে আমরা পাই না। তাহাই আমাদের সমালোচ্য। এইখানে যানসন্ধি পৰ্যবোধ্যায় সমাপ্ত হইল। চতুৰ্থ পরিচ্ছেদ--শ্ৰীকৃষ্ণের হস্তিনা-যাত্রার প্রস্তাৰ শ্ৰীকৃষ্ণ, পাকবীকৃত অংশী-শ্রীরামকুলুকেিয় সন্ধি স্থাপনাথ কৌরবদিগের নিকট যাইতে প্রকৃত হইলেন। গমনকালে পাগডবেরা ও দ্ৰৌপদী, সকলেই তাঁহাকে কিছু কিছু বললেন। শ্ৰীকৃষ্ণও তাঁহাদিগের কথার উত্তর দিলেন। এই সকল কথোপকথন অবশ্য ঐতিহাসিক বলিয়া গ্রহণ করা যায় না। তবে কবি ও ইতিহাসবেত্তা যে সকল কথা কৃষ্ণের মখে বলাইয়াছেন, তাহার দ্বারা বিকা বুৰঞ্জর পরিচয় তিনি অবগত ছিলেন। ঐ সকল বক্তৃতা হইতে আমরা কিছু কিছ যধিস্ঠিরের কথার উত্তরে কৃষ্ণ এক স্থানে বলিতেছেন, “হে মহারাজ, ব্ৰহ্মচৰ্য্যাদি ক্ষত্ৰিয়ের পক্ষে বিধেয় নহে। সমদায় আশ্রমীরা ক্ষত্রিয়ের ভৈক্ষাচরুণ নিষেধ করিয়া থাকেন। বিধাতা সংগ্রামে জয়লাভ বা প্ৰাণপরিত্যাগ ক্ষত্রিয়ের নিত্যধৰ্ম্ম বলিয়া নিদ্দেশ করিয়াছেন; অতএব uuBD DuDBBD BBD DBDBD DDBuuuSS SDD DDDuBBB DBDDuuS S BBDD uuD ck &