পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBBBB DBBBB DDBBBS BBGBB DBB BBBBB BBBBGLBSS BBB BB BBBBBDBBS কিন্তু আবার চাহিলেন ও পাইলেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ সকল সমালোচনার নিতান্ত অযোগ্য। পরদিন সর্ম্যান্ডের প্রক্সিলে আজান জয়দুখকে নিহত করিলেন। তজ্জন্য কৃষ্ণের কোন সাহায্য প্রয়োজন হয় নাই। তথাপি কথিত হইয়ছে, কৃষ্ণ অপরাহুে যোগমায়া দ্বারা সবাকে আছািৰ করিলেন ; জয়দ্ৰথ নিহত হইলে পরে সযকে পানঃপ্রকাশিত করিলেন। কেন ? সােষাত্ত হইয়াছে ভ্ৰমে, জয়দুখ অভিজনের সম্মখে আসিবেন, এইরূপ ভ্ৰান্তির সন্টির জন্য? এইরূপ ভ্ৰান্তিতে পড়িয়া জয়দুথ এবং তাঁহার রক্ষকগণ, উল্লসিত এবং অনবহিত হইবেন, ইহাই কি অভিপ্রেতি ? এইখানে কাব্যের এক হস্তরের উপর আর এক স্তর নিহিত হইয়াছে স্পষ্ট দেখা যায়। এক দিকে দেখা যায় যে, এরপ ভ্ৰান্তিজননের কোন প্রয়োজন ছিল না। যোগমায়াবিকাশের পক্ষেবাও অজােন জয়দ্রথকে দেখিতে পাইতেছিলেন, এবং তিনি জয়দ্রথকে প্রহার করিতেছিলেন, জয়দ্ৰথও তাঁহাকে প্রহার করিতেছিল। সয্যাবরণের পরেও ঠিক তাহাই হইতে লাগিল । সব্যাবরণের পকেবও অঙ্গজনিকে যেরূপ করিতে হইতেছিল, এখনও ঠিক সেইরূপ হইতে লাগিল। সমস্ত কৌরববীরগণকে পরাভূত না করিয়া অঙ্গজনি জয়দ্রথকে নিহত করিতে পারিলেন না। আর এক দিকে এই সকল উক্তির বিরোধী সমৰ্য্যাবরণকারিণী যোগমায়ার বিকাশ। এ ভ্ৰান্তিসমিটির প্রয়োজন, পরপরিচ্ছেদে বিকাইতেছি। हडौम नब्रिटछण-चिडौन छठब्रन कब আমরা এত দীর পর্য্যন্ত সোজা পথে সংবিধামত চলিয়া আসিতেছিলাম; কিন্তু এখন হইতে ঘোরতম গোলযোগ। মহাভারত সমদ্রবিশেষ, কিন্তু এতক্ষণ আমরা, তাহার স্থির বারিরাশিমধ্যে মধর মদগম্ভীর শব্দ শনিতে শনিতে সখে নৌযাত্ৰা করিতেছিলাম। এক্ষণে সহসা আমরা ঘোর বাতায় পড়িয়া, তরঙ্গাভিঘাতে পািনঃ পািনঃ উৎক্ষিপত নিক্ষিপ্ত হইব। কেন না, এখন আমরা বিশেষ প্রকারে মহাভারতের দ্বিতীয় স্তরের কবির হাতে পড়িলাম। তাঁহার হস্তে কৃষ্ণচরিত্র সম্পর্শ পরিবত্তিত হইয়াছে। যাহা উদার ছিল, তাহা এক্ষণে ক্ষত্র ও সংকীর্ণ হইয়া পড়িতেছে ; LLL DBBBS LBL SLBDBuBB SBBBBB BBD DBDBBB DDS DBB BBDBB BBB D S BBBBB আকর; যাহা ন্যায় ও ধন্মের অন্যমোদিত ছিল, তাহা এক্ষণে অন্যায় ও অধশ্চেম কলষিত। দ্বিতীয় স্তরের কবির হাতে কৃষ্ণচরিত্র এইরূপে বিকার প্রাপ্ত হইয়াছে। কিন্তু কেন ইহা হইল ? দ্বিতীয় স্তরের কবি নিতান্ত ক্ষদ্র কবি নহেন; তাঁহার সন্টিকৌশল জাজবল্যমান। তিনি ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মজ্ঞানশন্যে নহেন। তবে তিনি কৃষ্ণের এরােপ দশা ঘটাইয়াছেন কেন ? তাহার অতি নিগঢ়ি তাৎপৰ্য্য দেখা যায়। প্রথমতঃ আমরা পািনঃ পািনঃ দেখিয়াছি ও দেখিব যে, কৃষ্ণ প্রথম স্তরের কবির হাতে ঈশ্বরবিতার বলিয়া পরিস্ফাট নহেন। তিনি নিজে ত সে কথা মাখেও আনেন না; পািনঃ পািনঃ আপনার মানবী প্রকৃতিই প্রবাদিত ও পরিচিত করেন; এবং মানবী শক্তি অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য করেন। কবিও প্রায় সেই ভাবেই তাঁহাকে স্থাপিত করিয়াছেন। প্রথম “স্তরে এমন সন্দেহও হয় যে, যখন ইহা প্রণীত হইয়াছিল, তখন হয়ত কৃষ্ণ ঈশ্বরাবতার বলিয়া সব্বজনসখীকৃত নহেন। তাঁহার নিজের মনেও সে ভাব সকল সময়ে বিরাজমান নহে। স্থল কথা, মহাভারতের প্রথম স্তর কতকগালি প্রাচীন কিংবদন্তীর সংগ্ৰহ মাত্র এবং কাব্যালঙ্কার কবিকৰ্ত্তক রাজিত; এক আখ্যায়িকার সত্রে যথাযথ সন্নিবেশপ্রাপ্ত। কিন্তু যখন দ্বিতীয় স্তর মহাভারতে প্রফিন্ট হইল, তখন বোধ হয়, শ্ৰীকৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব সম্ভবত্র স্বীকৃত। অতএব দ্বিতীয় স্তরের কবি তহিকে ঈশ্বরাবতারস্বরূপই স্থিত ও নিযন্ত করিয়াছেন। তাঁহার রচনায় কৃষকও অনেক বার আপনার ঈশ্বরত্বের পরিচয় দিয়া থাকেন, এবং ঐশী শক্তি দ্বারা কাৰ্য্য নির্বাহ করেন। কিন্তু ঈশ্বর পণ্যময়, কবি তাহাও জানেন। তবে, একটা তত্ত্ব পরিস্ফাট করিবার জন্য তাঁহাকে বড় বয়ন্ত দেখি। ইউরোপীয়েরাও সেই তত্ত্ব লইয়া বড় ব্যস্ত। তাঁহারা বলেন, ভগবান। দয়াময়, করণানুক্রমেই জীবসমষ্টি করিয়াছেন; জীবের মঙ্গলই তাঁহার কামনা। তবে পথিবীতে দািখ কেন ? তিনি পণ্যময়, পণ্যই তাঁহার অভিপ্রেত। তবে আবার পথিবীতে পাপ আসিল কোথা হুইতো? খনীন্টনের পক্ষে এ তত্ত্বের মীমাংসা বড় কথােটকর, কিন্তু হিন্দরে পক্ষে তাহা সহজ { ●●●