পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯

८डाबाइन SDDDS SDuDS BBBDBSS KDBD DD BBB BBBB BDD DDDBY রামী। সখি, আশ্বস্তা হও, আশ্বাস্ত হও, তোমার প্রাণকান্ত শীঘ্রই আসিবেন। সই, আমারও ঐরােপ যন্ত্রণা হইতেছে। নাথের সন্দশন ভিন্ন আমার বাঁচা ভার হইয়া উঠিয়াছে। (চক্ষ মাছিয়া) পাড়ার সকল পকুরের যদি জল না। শকাইত, তবে এত দিন ডুবিয়া মরিতাম। হে হৃদয়-বল্লভ, জীবিতেশ্বর ! হে রমণীজনমনোমোহনা! হে নিশা শেষোলেমষোলমাখকমলকোরকোপমোত্তেজিতহৃদয়সায্য ! হে অতল জলদলতলনঃস্তরত্নরাজিবন্মহামল্যাপােরষিরত্ন ! হে কামিনীকাঠবিলম্পিাবতরত্নহার্যধিক প্ৰাণাধিক! আর প্রাণ বাঁচে না। আমি অবলা, সরলা, চণ্ডলা, বিকলা, দীনা, হীনা, ক্ষীণা, পীনা, নবীনা, শ্ৰীহীনা,-আর প্রাণ বাঁচে না। আর কত দিন তোমার আশাপথ চাহিয়া থাকিব ? যেমন সরোবরে সরোজিনী ভানর আশা করে, যেমন কুমদিনী কুমন্দবান্ধবের আশা করিয়া থাকে, যেমন চাতক মেঘের জলের আশা করিয়া থাকে-আমি তেমনি তোমার আশা করিতেছি। শ্যামী। (কাঁদিতে, কাঁদিতে) যেমন রাখাল, হারাণ গোেরর আশায় দাঁড়াইয়া থাকে, যেমন বালকে ময়রার দোকান হইতে লোক ফিরিবার আশায় দাঁড়াইয়া থাকে, যেমন অশ্ব তৃণাহরক গ্ৰাসকটের আশা করিয়া থাকে, হে প্ৰাণবন্ধো! আমি তেমনি তোমার আশা করিয়া আছি। যেমন মাছ ধাইতে গেলে পরিচারিকার পশ্চাৎ পশ্চাৎ মাজাের গমন করে, তেমনি তোমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আমার মন গিয়াছে। যেমন উচ্ছিল্টাবশেষ ফেলিতে গেলে, বীভূক্ষ্য কুক্কাের পশ্চাৎ পশ্চাৎ যায়, আমার অবশ্য চিত্ত তেমনি তোমার পশ্চাৎ গিয়াছে। যেমন কলার ঘানিগাছে প্রকাশডকার বলদ ঘরিতে থাকে, তেমনি আশা নামে আমার প্রকাশন্ড বলদ, তোমার প্রণয়রপে ঘানিগাছে ঘরিতেছে। যেমন লোহার চাটতে তপ্ত তৈলে কৈমাছ ভাজে, তেমনি এই বিরহচাটতে বসন্তরীপ তপ্ত তৈলে আমার হৃদয়রােপ কৈমাছকে অহরহ ভাজিতেছে। যেমন এই বসন্তকালের তাপে শাজিন খাড়া ফাটিতেছে, তোমার বিরহসন্তাপে তেমনি আমার হৃদয় খাড়া ফাটিতেছে। যেমন এক লাঙ্গলে যোড়া গোর যাড়িয়া ক্ষেত্ৰকে চাষা ক্ষতবিক্ষত করে, তেমনি এক প্রেমলাঙ্গলে বিরহ এবং বারসত্ৰীভক্তিরােপ যোড়া গোর যাড়িয়া আমার স্বামী চাষা আমার হৃদয়ক্ষেত্ৰকে ক্ষতবিক্ষত করিতেছেন। কথায় আর কি বলিব। বিরহের জবালায় আমার ডালে নন্ণ হয় না, পানে চৰণ হয় না, ঝোলে ঝাল হয় না, ক্ষীরে মিস্ট হয় না। সখি, বিরহের দঃখ যে দিন মনে হয়, সে দিন আমি তিন বেলা বই খাইতে পারি না; আমার দধের বাটি অমনি পড়িয়া থাকে। (চক্ষ ছিয়া) সখি, তোমার বসন্তবর্ণনা সমাপ্ত কর, দঃখের কথায় আর কাজ নাই। রামী। আমার বসন্তবর্ণনা শেষ হইয়াছে। ভ্রমর, কোকিল, মলয় মারত এবং বিরহ, এই চারিটির কথাই বলিয়াছি, আর বাকি কি ? বামী। দড়ি আর কলসী। সাৰণ গোলক কৈলাসশিখরে, নবম কুলশোভিত দেবদার তলায় শান্দলিচৰ্ম্মাসনে বসিয়া হরপার্কবতী পাশা খেলিতেছিলেন। বাজি একটি সাবণ গোলক। মহাদেবের খেলায় দোষ এই--আড়ি মারিতে পারেন না-তােহা পারিলে সমদ্রমন্থনের সময়ে বিষের ভাগটা তাঁহার ঘাড়ে পড়িত না। গৌরী আড়ি মারিতে পার্ট-প্রমাণ পথিবীতে তাঁহার তিন দিন পজা। আর খেলায় যত হউক না।" DBBS BBBB BDDDBuBS BD DBS DDDD BDBDDD S DBBBB DBD DB BDD DDBS হাট বাঁধান-আপনার যদি পড়ে পাঁচ দই সাত, তবে হাঁকেন পোয়া বারো। হাঁকিয়া তিন চক্ষে মহাদেবের প্রতি কটাক্ষ করেন-যে কটাক্ষে সন্টিস্থিতিপ্ৰলয় হয়, তাহার। গণে মহাদেব দান দেখিয়াও দেখিতে পায়েন না। বলা বাহাল্য যে, দেবাদিদেবের হার হইল। ইহাই রীতি। তখন মহাদেব পাব্বিতীকে স্বীকৃত কাঞ্চনগোলক প্রদান করিলেন। উমা তাহা গ্রহণ করিয়া পথিবীতে নিক্ষেপ করিলেন। দেখিয়া, পঞ্চানন ভ্ৰকুটি করিয়া কহিলেন, “আমার প্রদত্ত গোলক ত্যাগ করলে কেন ?” উমা কহিলেন, “প্রভো, আপনার প্রদত্ত গোলক অবশ্য কোন অপৰিবৰ্ণ শক্তিবিশিস্ট এবং মঙ্গলপ্রদ হইবে। মনষ্যের হিতার্থে তাহা প্রেরণা করিয়াছি।” ミ○