পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब. *C i দলবান্ধিও ঈশ্বরপ্রেরিত, কবি এই কথা বলিতে চাহেন। কাশী অজানের জন্য ঐন্দ্ৰী শক্তি जो ब्राशिाशिगन, এখন যে ঘটোৎকচের উপর তাহা পরিত্যাগ করিলেন, ইহা কণ্যের দশাবদ্ধি। কৃষ্ণ বলিতেছেন, সে আমি করাইয়াছি; অর্থাৎ দৰব বুদ্ধি ঈশ্বরপ্রেরিত। শিশপাল দলবান্ধিক্ৰমে সভাতলে কৃষ্ণের অসহ্য অপমান করিয়াছিলেন। জরাসন্ধ, সৈন্যসাহায্যে যন্ধে প্রবত্ত হইলে অজেয় ; পাণ্ডবের কথা দরে থাক, কৃষ্ণসনাথ যাদবেরাও তাঁহাকে জয় করিতে পারেন নাই। কিন্তু শারীরিক বলে ভীম তাঁহার অপেক্ষা বলবান ; একাকী ভীমের সঙ্গে মল্পের মত বাহন্যদ্ধে প্রবত্ত হওয়া তােদশ রাজরাজেশ্বর সম্রাটের পক্ষে দৰব বুদ্ধি। কৃষ্ণোক্তির মৰ্ম্ম এই যে, সে দািবদ্ধিও আমার প্রেরিত। দ্ৰোণাচাৰ্য্য অনাৰ্য্য একলব্যের নিকট গািরদক্ষিণস্বরূপ তাহার দক্ষিণ হন্তের অঙ্গঠ চাহিয়াছিলেন। ঐ অঙ্গঠ গেলে বহকণ্টলন্ধ একলব্যের ধনশিবিদ্যা নিৰ্ম্মফল হয়। কিন্তু একলব্য সে প্রাথিত গািরদক্ষিণা দিয়াছিলেন। ইহা একলব্যের দারগণ দৰবন্ধি। কৃষ্ণের কথার মৰ্ম্ম এই যে, সে দািব্বদ্ধি তাঁহার প্রেরিত-ঈশ্বরপ্রেরিত। রাক্ষসবধ সম্পবন্ধেও ঐরােপ। এ সমস্তই দ্বিতীয় স্তর। পণ্যম পরিচ্ছেদ-দ্রোণবধ প্রাচীন ভারতবর্ষে কেবল ক্ষত্ৰিয়েরাই যাদ্ধ করিতেন, এমত নহে। ব্ৰাহ্মণ ও বৈশ্য যোদ্ধার কথা মহাভারতেই আছে। দৰ্য্যোধনের সেনানায়কদিগের মধ্যে তিন জন প্রধান বীর ব্রাহ্মণ — দ্ৰোণ, তাঁহার শ্যালক কৃপ, এবং তাঁহার পত্র অশ্বথামা। অন্যান্য বিদ্যার ন্যায়, ব্ৰাহ্মণের ষদ্ধবিদ্যারও আচাৰ্য্য ছিলেন। দ্রোণ ও কৃপ, এইরাপ যাদ্ধাচাৰ্য্য। এই জন্য ইহাদিগকে দ্রোণাচাৰ্য্য ७ कुoाताय1 बलिऊ। এদিকে ব্ৰাহ্মণের সঙ্গে যন্ধে , বিপদও বেশী। কেন না, রণেও ব্রাহ্মণকে বধ করিলে, ব্ৰহ্মহত্যার পাতক ঘটে। অন্ততঃ মহাভারতকার এই কারণ, ব্ৰাহ্মণ যোদ্ধগণকে লইয়া বড় বিপন্ন, ইহা সপস্টই দেখা যায়। এই জন্য কৃপ ও অশ্বথামা যন্ধে মরিল না। কৌরবপক্ষীয় সকলেই মরিল, কেবল তাঁহারা দই জনে মরিলেন না; তাঁহারা অমর বলিয়া গ্রন্থকার নিম্প্রকৃতি পাইলেন। কিন্তু দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে না মারিলে চলে না; ভীমের পর তিনি সব্বপ্রধান যোদ্ধা; তিনি জীবিত থাকিতে পান্ডবেরা বিজয়লাভ করিতে পারেন না। কিন্তু এ কথাও গ্রন্থকার বলিতে অনিচ্ছক। যে, ধাৰ্ম্মিমক রাজগণের মধ্যে কেহ তাঁহাকে মারিয়া ব্ৰহ্মহত্যার ভাগী হইল। বিশেষতঃ দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে দ্বৈরথযন্ধে পরাজিত করিতে পারে, পাশডবপক্ষে এমন বীর অজ্ঞজনে ভিন্ন আর কেহই নাই; কিন্তু দ্রোণাচাৰ্য্য অজ্ঞজনের গর, এজন্য অজ্ঞজনের পক্ষে বিশেষরূপে অবধ্য। তাই গ্রন্থকার একটা কৌশল অবলম্বন করিতে বাধ্য হইয়াছেন। পাশডবভাৰ্য্যা দ্ৰৌপদীর পিতা দুপদ রাজার সঙ্গে পৰিবকালে বড় বিবাদ হইয়াছিল। দ্রুপদ, দ্রোণের বিক্রমের সমকক্ষ হইতে পারেন নাই-অপদস্থ ও অপমানিত হইয়াছিলেন। এজন্য তিনি দ্রোণবধাৰ্থ যজ্ঞ করিয়াছিলেন। যজ্ঞকুণড হইতে দ্রোণবধকারী পত্র উদ্ভূত হয়-নাম ধন্টদ্যমান। ধন্টদ্যুম্বন কুরক্ষেত্রের যন্ধে পান্ডবদিগের সেনাপতি। তিনিই দ্রোণবধ করিবেন, পান্ডবদিগের এই ভরসা। যিনি ব্ৰহ্মবধাৰ্থ দৈবকম্পমাজাত, ব্ৰহ্মবধ তাঁহার পক্ষে পাপ নয়। কিন্তু মহাভারত এক হাতের নয়, নানা রচয়িতা নানা দিকে ঘটনাবলী যথেচ্ছা লইয়া গিয়াছেন। পনের দিবস যন্ধ হইল, ধন্টদ্যুশন দ্ৰোণাচায্যের কিছই করিতে পারিলেন না। তাঁহার নিকট পরাভূত হইলেন। অতএব দোশ মরার ভরসা নাই-প্রত্যহ পান্ডবদিগের সৈন্যক্ষয় হইতে লাগিল। তখন দ্রোণবধাথ একটা ঘোরতর পাপাচারের পরামশ পাশডব পক্ষে স্থির হইল। এই মহাপাপমন্ত্রণার কলঙ্কটা কৃষ্ণের সকন্ধে অপিত হইয়াছে। তিনিই ইহার প্রবত্তাক বলিয়া বশিত হইয়াছেন। কৃষ্ণ বলিতেছেন, ug: “হে পাণ্ডবগণ! অন্যের কথা দরে থাকুক, সাক্ষাৎ দেবরাজ ইন্দ্ৰ দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে সংগ্রামে পরাজয় করিতে সমর্থ নহেন। কিন্তু উনি অস্ত্রশস্ত্র পরিত্যাগ করিলে মনষ্যেরাও তাঁহার বিনাশ করিতে পারে, অতএব তোমরা ধৰ্ম্ম পরিত্যাগপন্ধের্বক উপহারে পরাজয় করিবার চেষ্টা कक्ष * ጶ " ኔኩ ታ